অনলাইন ডেস্ক
ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছায়’ গাজা ছাড়তে বাধ্য করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীকে (আইডিএফ) এই নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) এমন একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা গাজার বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় গাজা উপত্যকা ত্যাগের সুযোগ দেবে। ইসরায়েল এমন এক সময়ে এই পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিলেন যখন, ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ‘দখল করে’ এর ‘মালিক’ হয়ে পুনর্গঠনের কথা বলেছেন।
ইসরায়েল কাতজ বলেন, ‘এই পরিকল্পনার আওতায় স্থল সীমান্ত দিয়ে বের হওয়ার বিকল্পসহ সমুদ্র ও আকাশপথে বিশেষ ব্যবস্থায় গাজাবাসীদের বের হওয়ার সুযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’ এ সময় তিনি গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, গাজাবাসীদের পুনর্বাসন বিষয়ে সেটিকে স্বাগত জানান।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হামাস গাজার বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, মানবিক সহায়তা নিজেদের স্বার্থে আত্মসাৎ করেছে এবং গাজাবাসীদের বের হতে দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের মুক্তভাবে বের হওয়ার ও অভিবাসনের সুযোগ পাওয়া উচিত, যেমনটি বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বিদ্যমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করা আইনগতভাবে বিভিন্ন দেশের দায়িত্ব। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং অন্যান্য দেশ—যারা গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রম নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও রক্তচোষা অপবাদ দিয়েছে, তারা আইনগতভাবে বাধ্য যে তারা গাজার যে কোনো বাসিন্দাকে তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেবে।’
উল্লিখিত দেশগুলোর প্রতি সমালোচনার বাণ হেনে কাতজ বলেন, ‘যদি তারা তা না করে, তবে তাদের ভণ্ডামি প্রকাশ হয়ে যাবে। কানাডার মতো কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে কাঠামোবদ্ধ অভিবাসন ব্যবস্থা রয়েছে এবং যারা পূর্বেও গাজার বাসিন্দাদের নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এন ১২-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য তিনটি সম্ভাব্য এলাকা বিবেচনা করছে। এলাকাগুলো হলো—মরক্কো এবং সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড ও সোমালিল্যান্ড।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর যুক্তরাষ্ট্র এই ভূখণ্ডের ‘দখল নেবে’ এবং ‘মালিক হবে’। গাজার জন্য এক ব্যতিক্রমী পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছেন, গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ এ পরিণত করা হবে।
হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তাঁর প্রশাসন গাজায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের নেতৃত্ব দেবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের জন্য ‘অসীম সংখ্যক চাকরি ও বাসস্থান’ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দখল নেবে এবং সেখানে আমরা কাজ করব। আমরা মালিক হব।’ তিনি আরও জানান, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন পরিষ্কার করা এবং বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা ও অন্যান্য অস্ত্র অপসারণের দায়িত্ব তাঁর প্রশাসন নেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজার ওপর দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এটি হালকাভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই এই ধারণাকে পছন্দ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র এই জমির মালিক হবে, এটিকে পুনর্নির্মাণ করবে এবং হাজারো চাকরি তৈরি করবে। বিষয়টি অসাধারণ কিছু হবে।’
আর এ লক্ষ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গাজাবাসীদের একটা বড় অংশকে জর্ডান ও মিসরকে গ্রহণ করতে বলবেন তিনি। তবে আম্মান এবং কায়রো তাঁর বক্তব্যের পরপরই এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে। দেশ দুটি ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করার পর গাজার ফিলিস্তিনিদের মরক্কো ও সোমালিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এল।
এ বিষয়ে এন ১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গাজার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য মরক্কো, পুন্টল্যান্ড এবং সোমালিল্যান্ড অঞ্চলগুলোকে বিবেচনা করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই তিনটি অঞ্চলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল হলো, এগুলো মার্কিন সমর্থনের জন্য যথেষ্ট নির্ভরশীল। সোমালিল্যান্ড ও পুন্টল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মরক্কো পশ্চিম সাহারায় নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা চায়।
এর আগে, ট্রাম্প ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর মতে, জর্ডান ও মিসর গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে তাঁকে না বলবে না। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘ওরা আমাকে না বলবে না। আমি গাজার সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে চাই। এটি ঘটবেই।’
ট্রাম্প এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি কখনোই কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন, ‘গাজার ব্যাপারটা কখনোই কাজ করেনি। আমি গাজার বিষয়ে অনেকের থেকে আলাদাভাবে ভাবি। আমি মনে করি, তাদের ভালো, নতুন, সুন্দর একটি জায়গা পাওয়া উচিত। আমরা কিছু লোককে অর্থায়নে যুক্ত করব, জায়গাটা গড়ে তুলব, এটি বাসযোগ্য ও উপভোগ্য করে তুলব।’
তবে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন একে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে গাজার ভবিষ্যৎ ‘কূটনৈতিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়া উচিত, একতরফা পদক্ষেপের মাধ্যমে নয়।’
ফিলিস্তিনিদের ‘স্বেচ্ছায়’ গাজা ছাড়তে বাধ্য করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ আজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীকে (আইডিএফ) এই নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) এমন একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা গাজার বাসিন্দাদের স্বেচ্ছায় গাজা উপত্যকা ত্যাগের সুযোগ দেবে। ইসরায়েল এমন এক সময়ে এই পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিলেন যখন, ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা ‘দখল করে’ এর ‘মালিক’ হয়ে পুনর্গঠনের কথা বলেছেন।
ইসরায়েল কাতজ বলেন, ‘এই পরিকল্পনার আওতায় স্থল সীমান্ত দিয়ে বের হওয়ার বিকল্পসহ সমুদ্র ও আকাশপথে বিশেষ ব্যবস্থায় গাজাবাসীদের বের হওয়ার সুযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’ এ সময় তিনি গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, গাজাবাসীদের পুনর্বাসন বিষয়ে সেটিকে স্বাগত জানান।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘হামাস গাজার বাসিন্দাদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে, মানবিক সহায়তা নিজেদের স্বার্থে আত্মসাৎ করেছে এবং গাজাবাসীদের বের হতে দেয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের মুক্তভাবে বের হওয়ার ও অভিবাসনের সুযোগ পাওয়া উচিত, যেমনটি বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বিদ্যমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের গ্রহণ করা আইনগতভাবে বিভিন্ন দেশের দায়িত্ব। স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং অন্যান্য দেশ—যারা গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রম নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও রক্তচোষা অপবাদ দিয়েছে, তারা আইনগতভাবে বাধ্য যে তারা গাজার যে কোনো বাসিন্দাকে তাদের ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দেবে।’
উল্লিখিত দেশগুলোর প্রতি সমালোচনার বাণ হেনে কাতজ বলেন, ‘যদি তারা তা না করে, তবে তাদের ভণ্ডামি প্রকাশ হয়ে যাবে। কানাডার মতো কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে কাঠামোবদ্ধ অভিবাসন ব্যবস্থা রয়েছে এবং যারা পূর্বেও গাজার বাসিন্দাদের নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।’
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম এন ১২-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য তিনটি সম্ভাব্য এলাকা বিবেচনা করছে। এলাকাগুলো হলো—মরক্কো এবং সোমালিয়ার পুন্টল্যান্ড ও সোমালিল্যান্ড।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসন করার পর যুক্তরাষ্ট্র এই ভূখণ্ডের ‘দখল নেবে’ এবং ‘মালিক হবে’। গাজার জন্য এক ব্যতিক্রমী পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছেন, গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায়’ এ পরিণত করা হবে।
হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, তাঁর প্রশাসন গাজায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের নেতৃত্ব দেবে, যা এই অঞ্চলের জনগণের জন্য ‘অসীম সংখ্যক চাকরি ও বাসস্থান’ নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার দখল নেবে এবং সেখানে আমরা কাজ করব। আমরা মালিক হব।’ তিনি আরও জানান, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবন পরিষ্কার করা এবং বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত বোমা ও অন্যান্য অস্ত্র অপসারণের দায়িত্ব তাঁর প্রশাসন নেবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজার ওপর দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। এটি হালকাভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয়। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই এই ধারণাকে পছন্দ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র এই জমির মালিক হবে, এটিকে পুনর্নির্মাণ করবে এবং হাজারো চাকরি তৈরি করবে। বিষয়টি অসাধারণ কিছু হবে।’
আর এ লক্ষ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, গাজাবাসীদের একটা বড় অংশকে জর্ডান ও মিসরকে গ্রহণ করতে বলবেন তিনি। তবে আম্মান এবং কায়রো তাঁর বক্তব্যের পরপরই এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে। দেশ দুটি ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করার পর গাজার ফিলিস্তিনিদের মরক্কো ও সোমালিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনার বিষয়টি সামনে এল।
এ বিষয়ে এন ১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন গাজার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য মরক্কো, পুন্টল্যান্ড এবং সোমালিল্যান্ড অঞ্চলগুলোকে বিবেচনা করছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই তিনটি অঞ্চলের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল হলো, এগুলো মার্কিন সমর্থনের জন্য যথেষ্ট নির্ভরশীল। সোমালিল্যান্ড ও পুন্টল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে মরক্কো পশ্চিম সাহারায় নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তা চায়।
এর আগে, ট্রাম্প ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, তাঁর মতে, জর্ডান ও মিসর গাজাবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে তাঁকে না বলবে না। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘ওরা আমাকে না বলবে না। আমি গাজার সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে চাই। এটি ঘটবেই।’
ট্রাম্প এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি কখনোই কার্যকর হয়নি। তিনি বলেন, ‘গাজার ব্যাপারটা কখনোই কাজ করেনি। আমি গাজার বিষয়ে অনেকের থেকে আলাদাভাবে ভাবি। আমি মনে করি, তাদের ভালো, নতুন, সুন্দর একটি জায়গা পাওয়া উচিত। আমরা কিছু লোককে অর্থায়নে যুক্ত করব, জায়গাটা গড়ে তুলব, এটি বাসযোগ্য ও উপভোগ্য করে তুলব।’
তবে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন একে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে যে গাজার ভবিষ্যৎ ‘কূটনৈতিক আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত হওয়া উচিত, একতরফা পদক্ষেপের মাধ্যমে নয়।’
গত ২৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার মুআন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনাটিকে দেশটির ইতিহাসে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ ‘আকাশ দুর্ঘটনা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। এই দুর্ঘটনার ভয়াবহতার পর দেশের সব বিমানবন্দরে বার্ড ডিটেকশন (পাখি শনাক্তকরণ) ক্যামেরা ও রাডার স্থাপনের নির্দ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ (ইউএনএইচআরসি) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফর চলাকালেই এই ঘোষণা এলো। আজ বৃহস্পতিবার আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, প্রয়োজন হলে তাঁর দেশ পানামার কাছ থেকে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেবে। কারণ, ট্রাম্পের দাবি, দেশটি ‘অযৌক্তিক’ হারে খালটি দিয়ে পার হওয়া মার্কিন জাহাজগুলোর ওপর ফি আরোপ...
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন নাগরিককে প্রধান করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সংস্কারের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা মেনে নেওয়া হলে দেশটি সংস্থাটিতে থেকে যাবে। মার্কিন সরকারের দুটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। এ ছাড়া, এই প্রস্তাব
৪ ঘণ্টা আগে