ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এই প্রস্তাবের আওতায় পুরো রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি বলে দাবি করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন যুদ্ধবিরতি পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৪২ দিন গাজায় কোনো যুদ্ধ হয়নি। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে তা বাস্তবে হয়নি।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালে বন্দিবিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই পর্যায়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার ও আটক কেন্দ্র থেকে ২ হাজােরের বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিনিময়ে ২৫ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে ফেরত দেওয়া হয় এবং আরও আটজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় এখনো ২৭ জন জীবিত বন্দী আছে এবং ৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে এই পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করা থেকে বিরত থেকেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, গাজা পুনর্গঠন শুরু এবং সেখানে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি কাঠামো নির্ধারণ করা ছিল মূল লক্ষ্য। তবে নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, হামাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না।
বর্তমানে অনুমোদিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যেদিন ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই জীবিত ও মৃত বন্দীদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষে যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবে বাকি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি পরিকল্পনা, যা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে, কার্যালয় দাবি করেছে, ইসরায়েল সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলছে, তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।
তবে, ইসরায়েলের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে বলা হয়েছিল, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ‘১৬তম দিনের মধ্যেই’ শুরু করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ৪২ দিন পেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো পরোক্ষ আলোচনা শুরু করেনি।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা উপত্যকার ফিলাডেলফি করিডর থেকে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার শুরু করার কথা ছিল। এই করিডরটি গাজার দক্ষিণ সীমান্তে মিসরের সঙ্গে যুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। তবে চুক্তির এই অংশ ইসরায়েল এখনো বাস্তবায়ন করেনি।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এখনো স্টিভ উইটকফের পরিকল্পনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন পর্যায়ে তারা আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে এবং চুক্তির শর্ত মেনে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে কি না এবং বন্দিবিনিময়ের পুরো প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়েছে গতকাল শনিবার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এই প্রস্তাবের আওতায় পুরো রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল-মায়েদিন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি বলে দাবি করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, নতুন যুদ্ধবিরতি পবিত্র রমজান মাস এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৪২ দিন গাজায় কোনো যুদ্ধ হয়নি। সেই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দুই পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে তা বাস্তবে হয়নি।
প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চলাকালে বন্দিবিনিময় কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই পর্যায়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার ও আটক কেন্দ্র থেকে ২ হাজােরের বেশি ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। বিনিময়ে ২৫ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দীকে ফেরত দেওয়া হয় এবং আরও আটজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় এখনো ২৭ জন জীবিত বন্দী আছে এবং ৩২টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে এই পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করা থেকে বিরত থেকেছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বন্দী বিনিময়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, গাজা পুনর্গঠন শুরু এবং সেখানে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একটি কাঠামো নির্ধারণ করা ছিল মূল লক্ষ্য। তবে নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, হামাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী সম্পূর্ণ ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না।
বর্তমানে অনুমোদিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যেদিন ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনেই জীবিত ও মৃত বন্দীদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষে যদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তবে বাকি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দাবি করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি পরিকল্পনা, যা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে, কার্যালয় দাবি করেছে, ইসরায়েল সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে চলছে, তবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।
তবে, ইসরায়েলের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে বলা হয়েছিল, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ‘১৬তম দিনের মধ্যেই’ শুরু করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ৪২ দিন পেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো পরোক্ষ আলোচনা শুরু করেনি।
এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনীর গাজা উপত্যকার ফিলাডেলফি করিডর থেকে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার শুরু করার কথা ছিল। এই করিডরটি গাজার দক্ষিণ সীমান্তে মিসরের সঙ্গে যুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। তবে চুক্তির এই অংশ ইসরায়েল এখনো বাস্তবায়ন করেনি।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এখনো স্টিভ উইটকফের পরিকল্পনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে যুদ্ধবিরতির বিভিন্ন পর্যায়ে তারা আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা দেখিয়েছে এবং চুক্তির শর্ত মেনে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে কি না এবং বন্দিবিনিময়ের পুরো প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
২ ঘণ্টা আগেভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৫ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে