আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এর ফলে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিদানকারী জি৭ জোটভুক্ত প্রথম দেশ হবে দেশটি।
উল্লেখ্য, জি৭ হলো বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির সাতটি দেশের একটি জোট। এ জোটে ফ্রান্স ছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, কানাডা ও জাপান।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এক্সে মাখোঁ লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি ফ্রান্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং নিজেদের সেই ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির প্রতি ফ্রান্স সৎ থেকেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।’
মাখোঁ আরও লেখেন, ‘এই সময় সবচেয়ে জরুরি যেটি, সেটি হলো যুদ্ধ বন্ধ করা এবং বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত না করলে তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তিও নিশ্চিত করতে হবে।’ এ সময় তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি হামাসের নিরস্ত্রীকরণের ওপরও জোর দেন। বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে হলে ফিলিস্তিনেরও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতে এটিই টেকসই উপায়।’
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা মাখোঁর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি নেতা ও আব্বাসের ডেপুটি হুসেইন আল-শেইখ বলেন, ‘এই অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ফ্রান্সের অঙ্গীকার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষা ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।’ হামাসও ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে “একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বের সব দেশকে ফ্রান্সের পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল কড়া ভাষায় এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্সে লিখেছেন, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যার পর তেল আবিবের পাশে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করারই শামিল। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে পাশাপাশি থেকে রাষ্ট্র চায় না। তারা ইসরায়েলকে বিলুপ্ত করে একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে চায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াও ছিল তীব্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘মাখোঁর এই সিদ্ধান্ত বেপরোয়া এবং আমরা এটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড ইতিমধ্যে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি আজ শুক্রবার সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্র গঠনের অধিকার অখণ্ডনীয়। যুদ্ধবিরতি আমাদের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ ঘোষণা দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। এর ফলে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিদানকারী জি৭ জোটভুক্ত প্রথম দেশ হবে দেশটি।
উল্লেখ্য, জি৭ হলো বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির সাতটি দেশের একটি জোট। এ জোটে ফ্রান্স ছাড়াও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, কানাডা ও জাপান।
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স। এক্সে মাখোঁ লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায়সংগত ও স্থায়ী শান্তির প্রতি ফ্রান্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং নিজেদের সেই ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির প্রতি ফ্রান্স সৎ থেকেছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।’
মাখোঁ আরও লেখেন, ‘এই সময় সবচেয়ে জরুরি যেটি, সেটি হলো যুদ্ধ বন্ধ করা এবং বেসামরিক জনগণকে রক্ষা করা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত না করলে তা সম্ভব নয়। পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তিও নিশ্চিত করতে হবে।’ এ সময় তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি হামাসের নিরস্ত্রীকরণের ওপরও জোর দেন। বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে হলে ফিলিস্তিনেরও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে হবে। হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নিশ্চিতে এটিই টেকসই উপায়।’
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা মাখোঁর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি নেতা ও আব্বাসের ডেপুটি হুসেইন আল-শেইখ বলেন, ‘এই অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ফ্রান্সের অঙ্গীকার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষা ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে।’ হামাসও ফ্রান্সের সিদ্ধান্তকে “একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্বের সব দেশকে ফ্রান্সের পথ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল কড়া ভাষায় এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক্সে লিখেছেন, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যার পর তেল আবিবের পাশে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করারই শামিল। ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের সঙ্গে পাশাপাশি থেকে রাষ্ট্র চায় না। তারা ইসরায়েলকে বিলুপ্ত করে একটি রাষ্ট্র তৈরি করতে চায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়াও ছিল তীব্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘মাখোঁর এই সিদ্ধান্ত বেপরোয়া এবং আমরা এটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্পেন ও আয়ারল্যান্ড ইতিমধ্যে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি আজ শুক্রবার সহিংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের রাষ্ট্র গঠনের অধিকার অখণ্ডনীয়। যুদ্ধবিরতি আমাদের দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও একজনের ওপর যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরের নন্দলালপুরা এলাকায় প্রায় ২৪ জন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি একযোগে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। ফিনাইল বা ফ্লোর ক্লিনার পান করার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল...
১ ঘণ্টা আগেইরানের সাবেক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভীর কুখ্যাত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার নাম ছিল সাভাক। ভিন্ন মতাবলম্বী ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ধরে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করাই ছিল এই সংস্থার প্রধান কাজ।
২ ঘণ্টা আগে২০ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শুরু হওয়ার ঠিক আগে এই বরখাস্তের ঘটনা ঘটল। এই অধিবেশনে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং নতুন সদস্য নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন তিনি, এমন দাবি বহুবারই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আবারও সেই দাবির পক্ষে জোর দিলেন তিনি। ইঙ্গিত দিলেন, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
৩ ঘণ্টা আগে