আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেটার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে! শুধু তা–ই নয়, গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে মেটা। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আল–জাজিরার বলছে, ফেসবুকে উগ্র জায়নবাদী শতাধিক বিজ্ঞাপন দেখেছে তারা। যেগুলোর মধ্যে ইসরায়েলি প্রশাসনের প্রতি ফিলিস্তিনিদের অবকাঠামো ভেঙে ফেলারও আহ্বান ছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব বিজ্ঞাপনের প্রচার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।
বিষয়টি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের ব্যবসায়িক স্বার্থ আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে উঠছে কিনা, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
আল–জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এসব বিজ্ঞাপনের মধ্যে অর্ধশতই ছিল ইসরায়েলি বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানির দেওয়া। এরা মূলত পশ্চিম তীরে দখলকৃত ইসরায়েলি আবাসন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার শুরু করে ফেসবুক, অথচ সে সময় গাজায় পুরোদমে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিজ্ঞাপনগুলোর টার্গেট অডিয়েন্স ছিল ইসরায়েলিরাই। ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কিছু ব্যবহারকারীর কাছেও পৌঁছেছে বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে রয়েছে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান—‘রামাত আদেরেত’, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থায়ন করে ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক নামের ইসরায়েলি একটি ব্যাংক। পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির অর্থায়ন করার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে বিডিএস—বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট ও স্যাংকশন আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক।
রামাত আদেরেতের প্রকল্পটি ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সীমানা নির্ধারণকারী গ্রিন লাইনের ২০ কিলোমিটার পূর্বে দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এদের পৃথক দুটি প্রকল্পের আওতায় সেখানে রয়েছে প্রায় ২৭টি বিলাসবহুল ভবন।
ফেসবুকে এদের প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আল–জাজিরা। তবে তারা সাড়া দেয়নি।
গাবাই রিয়েল এস্টেট নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান অবশ্য কথা বলেছে আল–জাজিরার সাংবাদিকদের সঙ্গে। বাজেট স্বল্পতায় বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা! প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের একজন ইয়ানিভ গাবাই বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা কেবল ৪৮টি বিজ্ঞাপন দিতে পেরেছি কারণ আমাদের বাজেট সীমিত। তবে যত বেশি ইহুদি পশ্চিম তীরে ফিরবে, আমাদের বাজেট তত বাড়বে এবং আমরা আরও বিজ্ঞাপন দিতে পারব।’
আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব বিজ্ঞাপনের অন্তত ৫০টিই কট্টর ডানপন্থী রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান রেগাভিমের দেওয়া। ২০০৬ সালে কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০২৩ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন—পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক অনুমোদনের আর প্রয়োজন নেই।
এই সংস্থার বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনই ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসে প্রশাসন ও দখলদারদের উৎসাহিত করে। একটি বিজ্ঞাপন আল–জাজিরার চোখে পড়ে, যেটিতে একটি ফিলিস্তিনি স্কুল ভেঙে ফেলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। আরেকটি বিজ্ঞাপন দেখা যায়, পশ্চিম তীরে অবস্থিত একটি ওয়াটার পার্ক ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞাপনটিতে লেখা ছিল—‘আমাদের টাকায় ফুর্তি করছে ফিলিস্তিনিরা।’
স্কুল ধ্বংসের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই ধ্বংসযজ্ঞকে বৈষম্যমূলক ও শিশুদের শিক্ষার অধিকারের লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে, প্রায় ৯০ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে রেগাভিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। তবে রেগাভিম নিজেদের কট্টর ডানপন্থী বা বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার করে না। তারা নিজেদের ‘মূলধারার পেশাদার জনমত জরিপকারী এবং জাতীয় নীতি নির্ধারণ ও বিতর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে দাবি করে।
সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের বিজ্ঞাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও। ব্রিটিশ সংসদ সদস্য ব্রায়ান লেইশম্যান বলেছেন, ‘ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো এবং ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো এবং এমনকি সক্রিয় ইসরায়েলি সেনারা—আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ হতে পারে এমন বিষয় প্রচার করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কী ধরনের বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মে প্রচার করতে দিচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কেবল লাভের জন্য বিপজ্জনক ও বিভেদমূলক এজেন্ডা প্রচার করা উচিত নয়।’
বিজ্ঞাপন ইস্যুতে মেটার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এটিকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির একটি ‘ত্রুটি’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আল–জাজিরাকে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিজ্ঞাপন পর্যালোচনার জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া ও টিম রয়েছে। আমাদের পর্যালোচনা ব্যবস্থা বিজ্ঞাপনগুলো লাইভ হওয়ার আগে পরীক্ষা করে। তবে, এটি মূলত স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। যে কারণে সবকিছু ম্যানুয়ালি পর্যালোচনা করা হয় না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পর্যালোচনাও করা হয়।’
তবে যুক্তরাজ্যের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডিজিটাল সিটিজেন–এর প্ল্যাটফর্ম গভর্ন্যান্স গবেষক ক্যারোলিনা আরে আল–জাজিরাকে বলেন, ‘এই বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণ রিয়েল এস্টেট বিজ্ঞাপনের মতো উপস্থাপন করা হয়েছে, যে কারণে এটি স্বয়ংক্রিয় পর্যালোচনা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মডারেটররা আন্তর্জাতিক আইনের সূক্ষ্ম দিকগুলো সম্পর্কে অবগত নাও থাকতে পারেন।’
আল–জাজিরা জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র মডিফিকেশনের উপকরণের বিজ্ঞাপনও রয়েছে। মেটার বিজ্ঞাপন নীতিমালা অনুযায়ী, ‘বিজ্ঞাপনে অস্ত্র, গোলাবারুদ বা বিস্ফোরকের বিক্রয় বা ব্যবহার প্রচার করা যাবে না। কিন্তু ইসরায়েলি বিজ্ঞাপনগুলোতে সরাসরি সামরিক সরঞ্জামের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা স্পষ্টতই এই নীতিমালার পরিপন্থী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নেভ গর্ডন বলেন, ‘ফেসবুক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুনাফা করছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করার ফলে ফেসবুক এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এই বিজ্ঞাপনগুলো যুদ্ধাপরাধকে স্বাভাবিক, বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ভূমিকা রাখে।’
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের সব ইসরায়েলি বসতি অবৈধ। দখলদার শক্তির নিজ দেশের নাগরিকদের দখলকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধির অধীনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত। কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্ট–এর আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইফ ও’ডোনোহু বলেন, ‘পশ্চিম তীরে ব্যক্তিগতভাবে জমি কেনাবেচা করা সম্ভব। তবে বিক্রেতাদের কাছে সেই জমির বৈধ মালিকানা আদৌ আছে কিনা তা একটি বড় প্রশ্ন। ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব, অবৈধ বসতি নির্মাণ প্রতিরোধ করা। কিন্তু তা না করে তারা যদি ইসরায়েল সরকার এতে সহায়তা করে, তাহলে তা তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের শামিল। আর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করায় মেটাও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে।’

মেটার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে! শুধু তা–ই নয়, গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে মেটা। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আল–জাজিরার বলছে, ফেসবুকে উগ্র জায়নবাদী শতাধিক বিজ্ঞাপন দেখেছে তারা। যেগুলোর মধ্যে ইসরায়েলি প্রশাসনের প্রতি ফিলিস্তিনিদের অবকাঠামো ভেঙে ফেলারও আহ্বান ছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এসব বিজ্ঞাপনের প্রচার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।
বিষয়টি সামনে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের ব্যবসায়িক স্বার্থ আন্তর্জাতিক আইনের ঊর্ধ্বে উঠছে কিনা, তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
আল–জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, এসব বিজ্ঞাপনের মধ্যে অর্ধশতই ছিল ইসরায়েলি বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানির দেওয়া। এরা মূলত পশ্চিম তীরে দখলকৃত ইসরায়েলি আবাসন বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। গত বছরের মার্চে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার শুরু করে ফেসবুক, অথচ সে সময় গাজায় পুরোদমে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিজ্ঞাপনগুলোর টার্গেট অডিয়েন্স ছিল ইসরায়েলিরাই। ইসরায়েলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কিছু ব্যবহারকারীর কাছেও পৌঁছেছে বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে রয়েছে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান—‘রামাত আদেরেত’, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৩০০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিষ্ঠানটিকে অর্থায়ন করে ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক নামের ইসরায়েলি একটি ব্যাংক। পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির অর্থায়ন করার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে বিডিএস—বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট ও স্যাংকশন আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তু হয়ে আসছে ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক।
রামাত আদেরেতের প্রকল্পটি ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সীমানা নির্ধারণকারী গ্রিন লাইনের ২০ কিলোমিটার পূর্বে দখলকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এদের পৃথক দুটি প্রকল্পের আওতায় সেখানে রয়েছে প্রায় ২৭টি বিলাসবহুল ভবন।
ফেসবুকে এদের প্রকল্পের বিজ্ঞাপন ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে আল–জাজিরা। তবে তারা সাড়া দেয়নি।
গাবাই রিয়েল এস্টেট নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান অবশ্য কথা বলেছে আল–জাজিরার সাংবাদিকদের সঙ্গে। বাজেট স্বল্পতায় বেশি বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা! প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের একজন ইয়ানিভ গাবাই বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা কেবল ৪৮টি বিজ্ঞাপন দিতে পেরেছি কারণ আমাদের বাজেট সীমিত। তবে যত বেশি ইহুদি পশ্চিম তীরে ফিরবে, আমাদের বাজেট তত বাড়বে এবং আমরা আরও বিজ্ঞাপন দিতে পারব।’
আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব বিজ্ঞাপনের অন্তত ৫০টিই কট্টর ডানপন্থী রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান রেগাভিমের দেওয়া। ২০০৬ সালে কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০২৩ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন—পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক অনুমোদনের আর প্রয়োজন নেই।
এই সংস্থার বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনই ফিলিস্তিনি অবকাঠামো ধ্বংসে প্রশাসন ও দখলদারদের উৎসাহিত করে। একটি বিজ্ঞাপন আল–জাজিরার চোখে পড়ে, যেটিতে একটি ফিলিস্তিনি স্কুল ভেঙে ফেলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। আরেকটি বিজ্ঞাপন দেখা যায়, পশ্চিম তীরে অবস্থিত একটি ওয়াটার পার্ক ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞাপনটিতে লেখা ছিল—‘আমাদের টাকায় ফুর্তি করছে ফিলিস্তিনিরা।’
স্কুল ধ্বংসের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই ধ্বংসযজ্ঞকে বৈষম্যমূলক ও শিশুদের শিক্ষার অধিকারের লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে, প্রায় ৯০ জন মার্কিন আইনপ্রণেতা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে রেগাভিমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান। তবে রেগাভিম নিজেদের কট্টর ডানপন্থী বা বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠী হিসেবে স্বীকার করে না। তারা নিজেদের ‘মূলধারার পেশাদার জনমত জরিপকারী এবং জাতীয় নীতি নির্ধারণ ও বিতর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে দাবি করে।
সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের বিজ্ঞাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও। ব্রিটিশ সংসদ সদস্য ব্রায়ান লেইশম্যান বলেছেন, ‘ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো এবং ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো এবং এমনকি সক্রিয় ইসরায়েলি সেনারা—আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ হতে পারে এমন বিষয় প্রচার করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কী ধরনের বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মে প্রচার করতে দিচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টদের এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কেবল লাভের জন্য বিপজ্জনক ও বিভেদমূলক এজেন্ডা প্রচার করা উচিত নয়।’
বিজ্ঞাপন ইস্যুতে মেটার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এটিকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির একটি ‘ত্রুটি’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আল–জাজিরাকে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিজ্ঞাপন পর্যালোচনার জন্য আমাদের একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া ও টিম রয়েছে। আমাদের পর্যালোচনা ব্যবস্থা বিজ্ঞাপনগুলো লাইভ হওয়ার আগে পরীক্ষা করে। তবে, এটি মূলত স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। যে কারণে সবকিছু ম্যানুয়ালি পর্যালোচনা করা হয় না। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পর্যালোচনাও করা হয়।’
তবে যুক্তরাজ্যের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডিজিটাল সিটিজেন–এর প্ল্যাটফর্ম গভর্ন্যান্স গবেষক ক্যারোলিনা আরে আল–জাজিরাকে বলেন, ‘এই বিজ্ঞাপনগুলো সাধারণ রিয়েল এস্টেট বিজ্ঞাপনের মতো উপস্থাপন করা হয়েছে, যে কারণে এটি স্বয়ংক্রিয় পর্যালোচনা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মডারেটররা আন্তর্জাতিক আইনের সূক্ষ্ম দিকগুলো সম্পর্কে অবগত নাও থাকতে পারেন।’
আল–জাজিরা জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনগুলোর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র মডিফিকেশনের উপকরণের বিজ্ঞাপনও রয়েছে। মেটার বিজ্ঞাপন নীতিমালা অনুযায়ী, ‘বিজ্ঞাপনে অস্ত্র, গোলাবারুদ বা বিস্ফোরকের বিক্রয় বা ব্যবহার প্রচার করা যাবে না। কিন্তু ইসরায়েলি বিজ্ঞাপনগুলোতে সরাসরি সামরিক সরঞ্জামের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা স্পষ্টতই এই নীতিমালার পরিপন্থী বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
যুক্তরাজ্যের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নেভ গর্ডন বলেন, ‘ফেসবুক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুনাফা করছে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করার ফলে ফেসবুক এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এই বিজ্ঞাপনগুলো যুদ্ধাপরাধকে স্বাভাবিক, বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলতে ভূমিকা রাখে।’
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, পশ্চিম তীরের সব ইসরায়েলি বসতি অবৈধ। দখলদার শক্তির নিজ দেশের নাগরিকদের দখলকৃত অঞ্চলে স্থানান্তরিত করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধির অধীনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত। কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্ট–এর আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইফ ও’ডোনোহু বলেন, ‘পশ্চিম তীরে ব্যক্তিগতভাবে জমি কেনাবেচা করা সম্ভব। তবে বিক্রেতাদের কাছে সেই জমির বৈধ মালিকানা আদৌ আছে কিনা তা একটি বড় প্রশ্ন। ইসরায়েল সরকারের দায়িত্ব, অবৈধ বসতি নির্মাণ প্রতিরোধ করা। কিন্তু তা না করে তারা যদি ইসরায়েল সরকার এতে সহায়তা করে, তাহলে তা তৃতীয় জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘনের শামিল। আর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করায় মেটাও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হতে পারে।’

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

বেলারুশ সীমান্তঘেঁষা বনে গোপন এক সুড়ঙ্গ দিয়ে ১৮০ জনের বেশি অভিবাসী পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সীমান্তরক্ষীরা।
গত বৃহস্পতিবার ওই পথটির সন্ধান পাওয়ার পর প্রায় ১৩০ জনকে পোল্যান্ডে আটক করা হয়। তবে বাকিরা এখনো পলাতক রয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পোলিশ বর্ডার গার্ড।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড ২০২১ সাল থেকে বেলারুশ সীমান্তে অভিবাসী সংকট মোকাবিলা করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মানুষদের সীমান্ত পার হতে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশটির পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে বেলারুশ ও তাদের মিত্র মস্কো।
তবে বেলারুশ ও রাশিয়া বারবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পোলিশ বর্ডার গার্ড জানায়, চলতি বছরে পশ্চিম পোদলাস্কি অঞ্চলে আবিষ্কৃত এটি চতুর্থ সুড়ঙ্গ। এ ছাড়া অভিবাসীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আসা ৬৯ বছর বয়সী এক পোলিশ নাগরিক এবং ৪৯ বছর বয়সী এক লিথুয়ানিয়ান নাগরিককেও আটক করেছে সীমান্তরক্ষীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, বনের ভেতর সুড়ঙ্গটির লুকানো প্রবেশপথটি বেলারুশ অংশে সীমান্ত প্রাচীর থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত। অন্যদিকে এর বহির্গমন পথটি পোল্যান্ডের সীমানা প্রাচীর থেকে প্রায় ১০ মিটার দূরে পাওয়া গেছে।
কতজন মানুষ এই সুড়ঙ্গ দিয়ে পার হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক সিস্টেম ব্যবহার করেন। নিখোঁজ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ তল্লাশিতে যোগ দিয়েছে বলেও জানানো হয়।
পোল্যান্ড ২০২২ সালে তাদের ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল।

মেটার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে! শুধু তা–ই নয়, গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে মেটা। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
০২ এপ্রিল ২০২৫
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দীর্ঘদিন নজরদারির পর শুক্রবার রাতে কুলেন্দ্র শর্মাকে গ্রেপ্তার করে এবং প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুলেন্দ্র শর্মা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করতেন। তাঁর মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে সন্দেহজনক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, ল্যাপটপ থেকে কিছু ডেটা মুছে ফেলা হয়েছে।
আসামের শোণিতপুর জেলার উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) হরিচরণ ভূমিজ জানিয়েছেন, কুলেন্দ্র শর্মার সঙ্গে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার যোগসাজশের সন্দেহ প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু বলা যাবে না।
জানা গেছে, অবসরের আগে কুলেন্দ্র শর্মা তেজপুরের এয়ার ফোর্স স্টেশনে জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই স্টেশনে সুখোই-৩০ স্কোয়াড্রনসহ ভারতীয় বিমানবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে। তিনি ২০০২ সালে অবসর গ্রহণ করেন এবং এরপর অল্প সময়ের জন্য তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও কাজ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কুলেন্দ্র শর্মার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মেটার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে! শুধু তা–ই নয়, গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে মেটা। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
০২ এপ্রিল ২০২৫
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

মেটার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে! শুধু তা–ই নয়, গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে মেটা। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
০২ এপ্রিল ২০২৫
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

মেটার মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতির বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে! শুধু তা–ই নয়, গাজায় মোতায়েন করা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য অর্থ সহায়তা সংগ্রহের বিজ্ঞাপনও প্রচার করছে মেটা। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার অনুসন্ধানে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
০২ এপ্রিল ২০২৫
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, সুড়ঙ্গটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সীমান্তরক্ষীরা। এতে দেখা যায়, গাছের শিকড় ও মাটি কেটে তৈরি করা সুড়ঙ্গটি কাঠের খুঁটি ও ধাতব রড দিয়ে ঠেস দেওয়া। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা ১ দশমিক ৫ মিটার (প্রায় ৫ ফুট)। ফলে বেশির ভাগ মানুষকে নিচু হয়ে এর ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে আসাম পুলিশ ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক ব্যক্তির নাম কুলেন্দ্র শর্মা। তিনি তেজপুরের পাতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
১ ঘণ্টা আগে
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
৩ ঘণ্টা আগে