মিরপুরে ডাকাতি
আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
‘জিনসপত্র যা নিয়েছি, নিলাম; কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি করবা না, তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য।’ রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসায় ডাকাতি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার বাসায় থাকা দুই কিশোরীকে এভাবে হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া হোসনে আরা চম্পা।
গত ২০ জুলাই বেলা ২টার দিকে পল্লবী থানার ডিওএইচএসের ৬ নম্বর অ্যাভিনিউর ১১ নম্বর ‘সাবের অ্যান্ড ডেইজি ড্রিম’ নামের বাড়ির ষষ্ঠ তলায় তাঁর ভাড়া ফ্ল্যাটে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবের আলী। হোসনে আরা চম্পা চার মাস ধরে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তিনি ছাড়াও ফ্ল্যাটটিতে তাঁর ছেলে অহিদুল ইসলাম অহিদ (২৪), কিশোরী মেয়ে (১৭) ও কিশোরী গৃহকর্মী থাকে। ঘটনার দিন ২০ জুলাই দুপুরে হোসনে আরা চম্পা তাঁর অসুস্থ ছেলে অহিদুল ইসলাম অহিদকে নিয়ে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ছিলেন। বাসায় ছিল তাঁর কিশোরী মেয়ে ও গৃহকর্মী।
সূত্রমতে, ঘটনার দিন বেলা ২টার দিকে বাড়ির সামনে একটি আকাশি রঙের প্রাইভেট কার এসে থামে। ডাকাত দলের সাত থেকে আটজন সদস্য সেখানে ছিলেন। বাড়ির প্রধান ফটকে নিরাপত্তাকর্মী মাসুম আলী ও তাঁর স্ত্রী রেশমা বেগম কেউ না কেউ সারাক্ষণ থাকেন। সেদিন ফটকে ছিলেন রেশমা বেগম, আর বাড়ির ছাদে এসির মিস্ত্রিরা কাজ করায় সেখানে ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী মাসুম আলী।
রেশমা বেগম আজকের পত্রিকা বলেন, গেটটি খোলাই ছিল, কয়েকজন (পাঁচজন) দ্রুত ওপরে চলে যান, তাঁরা কিছু জানতেই চাইলেন না।
নিরাপত্তাকর্মী মাসুম আলী বলেন, ‘বাড়ির বাইরে একটি গাড়ি থাকায় গেট খোলা ছিল। ডাকাতেরা কিছু না বলেই ওপরে চলে যায়। আমি ছাদে ছিলাম, ছাদ থেকে কিছুক্ষণ পর নিচে নেমে স্ত্রীর কাছে জানতে পারি, ওপরে পাঁচজন লোক গিয়েছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই, গিয়ে দেখতে পাই, ভাড়াটিয়ার মেয়ে ও গৃহকর্মী কাঁপছে আর কান্না করছে। তারা জানায়, সব নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন।’
তিনি সেদিন পুরো ফ্ল্যাটে তছনছ অবস্থায় দেখতে পেয়ে দৌড়ে নিচে নামেন। সবাইকে ঘটনাটি বলেন। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তল্লাশি। মাত্র ১৫ মিনিটে ডাকাতি শেষ করে চলে যায় ডাকাতেরা।
এদিকে ডাকাতেরা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে হোসনে আরা চম্পাকে ফোন করে বলা হয়, ‘আপনি কোথায় আছেন? আপনি তাড়াতাড়ি বাসায় আসেন, আমরা সরকারি লোক। আপনার বাসা ডিজিএফআই ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তল্লাশি করবে।’ এই বলে ফোনটি কেটে দেন।
হোসনে আরা চম্পা পরে ওই নম্বরে আবার কল দেন। তিনি জানতে চান, কোনো সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কি না, অপরিচিত ব্যক্তি বলেন, বাসায় এলেই জানতে পারবেন।
বিষয়টি হোসনে আরা চম্পার সন্দেহ হলে তিনি মোবাইল নম্বরটি ডিওএইচএসের সেনা কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেন। পাশাপাশি ধানমন্ডি থেকে তিনি বাসায় আসেন। বাসায় এসে দেখতে পান, তাঁর পুরো ঘর এলোমেলো। ঘর থেকে গয়না, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, প্রসাধনীসহ দামি সব জিনিস নিয়ে গেছে।
হোসনে আরা চম্পার কাছ থেকে খবর পেয়ে ডিওএইচএসের নিরাপত্তায় থাকা সেনাসদস্যরা প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যান। আটক ব্যক্তিদের পরে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় হোসনে আরা চম্পা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার, সাবেক করপোরাল মুকুল হোসেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হারুন অর রশীদ ওরফে রাকিব হাওলাদার ও প্রাইভেট কারের চালক মোন্তাছির আহম্মেদ মাসুমকে। বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন তাঁরা। তাঁরা ছাড়াও এই চক্রের আরও পলাতক দুজনকে খুঁজছে পুলিশ। তাঁরাও একটি বাহিনীর সাবেক সদস্য। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্লবী থানার এসআই মাসুদুর রহমান।
হারুনের বিরুদ্ধে মাদক ও চুরি-ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া অন্য সদস্যরাও একাধিক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি থেকে ইয়াবাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডাকাত দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার। সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করেন সাবেক করপোরাল মুকুল হোসেন। তাঁদের ডাকাতির জন্য বাড়ি ঠিক করে দিতেন রাকিব হাওলাদার। এরপর দলের সদস্যদের নিয়ে ফিরজো ইফতেখার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তল্লাশির নামে বাড়িতে গিয়ে ডাকাতি করতেন। দলটিতে অবসর ও চাকরিচ্যুত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
সোর্স রাকিব হাওলাদারের সঙ্গে হোসনে আরা চম্পার ছেলে অহিদের সঙ্গে মিরপুর ১০ নম্বরে পরিচয় হয়। এরপর একদিন তিনি (রাকিব) বাসার নিচে এসেছিলেন। বাসার পুরো তথ্য তাঁর কাছে ছিল। এর কয়েক মাস পর তাঁরা ডাকাতি করতে আসেন। ডাকাতির সময় চক্রটি দুই কিশোরীকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছবিও তোলে।
হোসনে আরা চম্পা ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ডাকাতেরা ফ্ল্যাটে কলিং বেল দেয়, গৃহকর্মী দরজা খুলে বলতে চেয়েছিল, কেউ নেই বাসায়। এর মধ্যেই ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা গৃহকর্মী ও তাঁর মেয়েকে একটি কক্ষে যেতে বলে, সব চাবি দিতে বলে। এরপর তারা লুটতরাজ চালায়। তারা অস্ত্র ও মাদক খোঁজার কথা বলে সব নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দুই মেয়েকে, কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি না করতে হুমকি দিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইফতেখার বলেন, ‘যা নিলাম নিয়েছি, তোমাদের যে কোনো ক্ষতি করিনি, তা-ই ভাগ্য।’
সেদিনের ঘটনা নিয়ে বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবের আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটি যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এটা কেবল ডাকাতির ঘটনাই।
মামলা তদন্তের বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার হয়েছে, আরও কিছু উদ্ধারে অন্যদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
‘জিনসপত্র যা নিয়েছি, নিলাম; কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি করবা না, তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য।’ রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসায় ডাকাতি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার বাসায় থাকা দুই কিশোরীকে এভাবে হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া হোসনে আরা চম্পা।
গত ২০ জুলাই বেলা ২টার দিকে পল্লবী থানার ডিওএইচএসের ৬ নম্বর অ্যাভিনিউর ১১ নম্বর ‘সাবের অ্যান্ড ডেইজি ড্রিম’ নামের বাড়ির ষষ্ঠ তলায় তাঁর ভাড়া ফ্ল্যাটে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবের আলী। হোসনে আরা চম্পা চার মাস ধরে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তিনি ছাড়াও ফ্ল্যাটটিতে তাঁর ছেলে অহিদুল ইসলাম অহিদ (২৪), কিশোরী মেয়ে (১৭) ও কিশোরী গৃহকর্মী থাকে। ঘটনার দিন ২০ জুলাই দুপুরে হোসনে আরা চম্পা তাঁর অসুস্থ ছেলে অহিদুল ইসলাম অহিদকে নিয়ে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে ছিলেন। বাসায় ছিল তাঁর কিশোরী মেয়ে ও গৃহকর্মী।
সূত্রমতে, ঘটনার দিন বেলা ২টার দিকে বাড়ির সামনে একটি আকাশি রঙের প্রাইভেট কার এসে থামে। ডাকাত দলের সাত থেকে আটজন সদস্য সেখানে ছিলেন। বাড়ির প্রধান ফটকে নিরাপত্তাকর্মী মাসুম আলী ও তাঁর স্ত্রী রেশমা বেগম কেউ না কেউ সারাক্ষণ থাকেন। সেদিন ফটকে ছিলেন রেশমা বেগম, আর বাড়ির ছাদে এসির মিস্ত্রিরা কাজ করায় সেখানে ছিলেন নিরাপত্তাকর্মী মাসুম আলী।
রেশমা বেগম আজকের পত্রিকা বলেন, গেটটি খোলাই ছিল, কয়েকজন (পাঁচজন) দ্রুত ওপরে চলে যান, তাঁরা কিছু জানতেই চাইলেন না।
নিরাপত্তাকর্মী মাসুম আলী বলেন, ‘বাড়ির বাইরে একটি গাড়ি থাকায় গেট খোলা ছিল। ডাকাতেরা কিছু না বলেই ওপরে চলে যায়। আমি ছাদে ছিলাম, ছাদ থেকে কিছুক্ষণ পর নিচে নেমে স্ত্রীর কাছে জানতে পারি, ওপরে পাঁচজন লোক গিয়েছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই, গিয়ে দেখতে পাই, ভাড়াটিয়ার মেয়ে ও গৃহকর্মী কাঁপছে আর কান্না করছে। তারা জানায়, সব নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন।’
তিনি সেদিন পুরো ফ্ল্যাটে তছনছ অবস্থায় দেখতে পেয়ে দৌড়ে নিচে নামেন। সবাইকে ঘটনাটি বলেন। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তল্লাশি। মাত্র ১৫ মিনিটে ডাকাতি শেষ করে চলে যায় ডাকাতেরা।
এদিকে ডাকাতেরা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে হোসনে আরা চম্পাকে ফোন করে বলা হয়, ‘আপনি কোথায় আছেন? আপনি তাড়াতাড়ি বাসায় আসেন, আমরা সরকারি লোক। আপনার বাসা ডিজিএফআই ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তল্লাশি করবে।’ এই বলে ফোনটি কেটে দেন।
হোসনে আরা চম্পা পরে ওই নম্বরে আবার কল দেন। তিনি জানতে চান, কোনো সার্চ ওয়ারেন্ট আছে কি না, অপরিচিত ব্যক্তি বলেন, বাসায় এলেই জানতে পারবেন।
বিষয়টি হোসনে আরা চম্পার সন্দেহ হলে তিনি মোবাইল নম্বরটি ডিওএইচএসের সেনা কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেন। পাশাপাশি ধানমন্ডি থেকে তিনি বাসায় আসেন। বাসায় এসে দেখতে পান, তাঁর পুরো ঘর এলোমেলো। ঘর থেকে গয়না, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, প্রসাধনীসহ দামি সব জিনিস নিয়ে গেছে।
হোসনে আরা চম্পার কাছ থেকে খবর পেয়ে ডিওএইচএসের নিরাপত্তায় থাকা সেনাসদস্যরা প্রাইভেট কারসহ চারজনকে আটক করেন। অন্যরা পালিয়ে যান। আটক ব্যক্তিদের পরে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় হোসনে আরা চম্পা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার, সাবেক করপোরাল মুকুল হোসেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হারুন অর রশীদ ওরফে রাকিব হাওলাদার ও প্রাইভেট কারের চালক মোন্তাছির আহম্মেদ মাসুমকে। বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন তাঁরা। তাঁরা ছাড়াও এই চক্রের আরও পলাতক দুজনকে খুঁজছে পুলিশ। তাঁরাও একটি বাহিনীর সাবেক সদস্য। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্লবী থানার এসআই মাসুদুর রহমান।
হারুনের বিরুদ্ধে মাদক ও চুরি-ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া অন্য সদস্যরাও একাধিক ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ি থেকে ইয়াবাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ডাকাত দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার। সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করেন সাবেক করপোরাল মুকুল হোসেন। তাঁদের ডাকাতির জন্য বাড়ি ঠিক করে দিতেন রাকিব হাওলাদার। এরপর দলের সদস্যদের নিয়ে ফিরজো ইফতেখার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তল্লাশির নামে বাড়িতে গিয়ে ডাকাতি করতেন। দলটিতে অবসর ও চাকরিচ্যুত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
সোর্স রাকিব হাওলাদারের সঙ্গে হোসনে আরা চম্পার ছেলে অহিদের সঙ্গে মিরপুর ১০ নম্বরে পরিচয় হয়। এরপর একদিন তিনি (রাকিব) বাসার নিচে এসেছিলেন। বাসার পুরো তথ্য তাঁর কাছে ছিল। এর কয়েক মাস পর তাঁরা ডাকাতি করতে আসেন। ডাকাতির সময় চক্রটি দুই কিশোরীকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছবিও তোলে।
হোসনে আরা চম্পা ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ডাকাতেরা ফ্ল্যাটে কলিং বেল দেয়, গৃহকর্মী দরজা খুলে বলতে চেয়েছিল, কেউ নেই বাসায়। এর মধ্যেই ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা গৃহকর্মী ও তাঁর মেয়েকে একটি কক্ষে যেতে বলে, সব চাবি দিতে বলে। এরপর তারা লুটতরাজ চালায়। তারা অস্ত্র ও মাদক খোঁজার কথা বলে সব নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দুই মেয়েকে, কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি না করতে হুমকি দিয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইফতেখার বলেন, ‘যা নিলাম নিয়েছি, তোমাদের যে কোনো ক্ষতি করিনি, তা-ই ভাগ্য।’
সেদিনের ঘটনা নিয়ে বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সাবের আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটি যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এটা কেবল ডাকাতির ঘটনাই।
মামলা তদন্তের বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার হয়েছে, আরও কিছু উদ্ধারে অন্যদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিয়ারতের এই আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেজোবায়েদ হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. মাহির রহমান (১৯), জোবায়েদের ছাত্রী (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)।
এ তিনজন জোবায়েদ হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে এবং আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন। এ দিন বিকেলে বংশাল থানা পুলিশ তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আশরাফ হোসেন তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তিনজনের পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাঁরা আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক।
পরে তিনজনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি মাহির জবানবন্দি দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে। জোবায়েদের ছাত্রী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এবং আসামি আয়নাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানের কাছে জবানবন্দি দেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাঁরা জবানবন্দি দেন।
আদালতের বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জোবায়েদ খুন হওয়ার পর রাতেই মেয়েটিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শান্তিনগর থেকে অপর দুজনকে আটক করা হয়।
এজাহারে যা বলা হয়
মামলায় ওই তিনজন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জবিতে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো ১৯ অক্টোবর (রোববার) বিকেল সাড়ে ৪টার সময় বংশাল থানার নূর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রওশন ভিলায় ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য যান জোবায়েদ। ওই দিন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের সময় ছাত্রীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ স্যার খুন হয়েছেন। কে বা কারা খুন করে ফেলেছে। জানার পর বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অনেক ছাত্র ঘটনাস্থলে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাড়ির সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।
এজাহারে আরও বলা হয়, স্থানীয় লোকজন ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাদী জানতে পেরেছেন এজাহারের ৩ আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ভাইকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে খুন করেছেন।
আদালতে জবানবন্দি
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে তাঁদের মুখোমুখি করা হয়। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেন। পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাঁরা যা বলেছেন আদালতেও সেই রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার দায় স্বীকার পুলিশের কাছে
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জোবায়েদ গত এক বছর ওই ছাত্রীকে (১৯) প্রাইভেট পড়াতেন। এতে তাঁর সঙ্গে ওই ছাত্রীর একটা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগে মাহিরের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। ফলে এটা মাহির মেনে নিতে পারেনি। পরে মেয়েটির পরিকল্পনা অনুযায়ী জোবায়েদকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। রোববার জোবায়েদ বিকেল ৪টার দিকে পড়াতে আসবে, তা মাহিরকে জানায় মেয়েটি। মাহির বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লানসহ (২০) বাসার গলিতে অবস্থান নেন। জোবায়েদ আসার পর তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় জোবায়েদকে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলা হলে তিনি বলেন, ‘মেয়ে তো আমাকে ভালোবাসে আমি কেন সরে যাব।’ একপর্যায়ে জোবায়েদকে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করেন মাহির। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জোবায়েদ সেখানে মারা যান।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যার পরিকল্পনা করেছে মেয়েটিই। বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশে মিল রয়েছে। মেয়েটা দুজনের কারও কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। ফলে তিনি নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজান। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। এটা সম্পূর্ণ ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মাহির বিষয়টি নিয়ে মেয়েটিকে চাপ প্রয়োগ করলে, সেদিনই গৃহশিক্ষক জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। এর সঙ্গে পরিবারের কারোর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
পরে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, জোবায়েদ যখন মারা যান, তখন ছাত্রীটি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, ছাত্রীকে উদ্দেশ করে জোবায়েদের শেষ কথা ছিল, ‘আমাকে বাঁচাও’। ছাত্রী তখন জোবায়েদের উদ্দেশে বলেন, ‘তুমি না সরলে, আমি মাহিরের হব না’ এ ধরনের এক কথা। তদন্তে উঠে এসেছে, দোতলার সিঁড়িতে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় তিনি বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। ছাত্রীর বাসা পাঁচতলায় হলেও ঘটনার সময় তিনি তিনতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে হত্যাকাণ্ড দেখেন। এ সময় দোতলার দরজায় ধাক্কা দিলে তা না খোলায় জোবায়েদ তিনতলায় যেতে চান। তখন সিঁড়িতে পড়ে যান এবং সেখানেই মারা যান।
আদালত এলাকায় মিছিল
এদিকে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং এই মামলায় আরও যাঁরা জড়িত তাঁদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মো. মাহির রহমান (১৯), জোবায়েদের ছাত্রী (১৯) ও ফারদীন আহম্মেদ আয়লান (২০)।
এ তিনজন জোবায়েদ হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে এবং আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন। এ দিন বিকেলে বংশাল থানা পুলিশ তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার এসআই মো. আশরাফ হোসেন তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই তিনজনের পরিকল্পনায় জোবায়েদকে হত্যা করা হয় বলে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা স্বীকার করেছেন। তাঁরা আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ইচ্ছুক।
পরে তিনজনই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি মাহির জবানবন্দি দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের কাছে। জোবায়েদের ছাত্রী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এবং আসামি আয়নাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানের কাছে জবানবন্দি দেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাঁরা জবানবন্দি দেন।
আদালতের বংশাল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রোববার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জোবায়েদ খুন হওয়ার পর রাতেই মেয়েটিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও শান্তিনগর থেকে অপর দুজনকে আটক করা হয়।
এজাহারে যা বলা হয়
মামলায় ওই তিনজন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, বাদীর ছোট ভাই জোবায়েদ জবিতে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন। প্রতিদিনের মতো ১৯ অক্টোবর (রোববার) বিকেল সাড়ে ৪টার সময় বংশাল থানার নূর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং রওশন ভিলায় ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য যান জোবায়েদ। ওই দিন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের সময় ছাত্রীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈকতকে ফোনে জানান, জোবায়েদ স্যার খুন হয়েছেন। কে বা কারা খুন করে ফেলেছে। জানার পর বাদী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও অনেক ছাত্র ঘটনাস্থলে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাড়ির সিঁড়িতে জোবায়েদের লাশ দেখতে পান।
এজাহারে আরও বলা হয়, স্থানীয় লোকজন ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাদী জানতে পেরেছেন এজাহারের ৩ আসামি এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ভাইকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার ডান পাশে আঘাত করে খুন করেছেন।
আদালতে জবানবন্দি
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে তাঁদের মুখোমুখি করা হয়। পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেন। পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তাঁরা যা বলেছেন আদালতেও সেই রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার দায় স্বীকার পুলিশের কাছে
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জোবায়েদ গত এক বছর ওই ছাত্রীকে (১৯) প্রাইভেট পড়াতেন। এতে তাঁর সঙ্গে ওই ছাত্রীর একটা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর আগে মাহিরের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। ফলে এটা মাহির মেনে নিতে পারেনি। পরে মেয়েটির পরিকল্পনা অনুযায়ী জোবায়েদকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। রোববার জোবায়েদ বিকেল ৪টার দিকে পড়াতে আসবে, তা মাহিরকে জানায় মেয়েটি। মাহির বন্ধু ফারদীন আহম্মেদ আয়লানসহ (২০) বাসার গলিতে অবস্থান নেন। জোবায়েদ আসার পর তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় জোবায়েদকে সম্পর্ক থেকে সরে আসতে বলা হলে তিনি বলেন, ‘মেয়ে তো আমাকে ভালোবাসে আমি কেন সরে যাব।’ একপর্যায়ে জোবায়েদকে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করেন মাহির। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জোবায়েদ সেখানে মারা যান।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, হত্যার পরিকল্পনা করেছে মেয়েটিই। বরগুনার মিন্নির ঘটনার সঙ্গে অনেকাংশে মিল রয়েছে। মেয়েটা দুজনের কারও কাছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। ফলে তিনি নিজেই হত্যার পরিকল্পনা সাজান। এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। এটা সম্পূর্ণ ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মাহির বিষয়টি নিয়ে মেয়েটিকে চাপ প্রয়োগ করলে, সেদিনই গৃহশিক্ষক জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাঁরা। এর সঙ্গে পরিবারের কারোর জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।
পরে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, জোবায়েদ যখন মারা যান, তখন ছাত্রীটি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, ছাত্রীকে উদ্দেশ করে জোবায়েদের শেষ কথা ছিল, ‘আমাকে বাঁচাও’। ছাত্রী তখন জোবায়েদের উদ্দেশে বলেন, ‘তুমি না সরলে, আমি মাহিরের হব না’ এ ধরনের এক কথা। তদন্তে উঠে এসেছে, দোতলার সিঁড়িতে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় তিনি বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। ছাত্রীর বাসা পাঁচতলায় হলেও ঘটনার সময় তিনি তিনতলার সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে হত্যাকাণ্ড দেখেন। এ সময় দোতলার দরজায় ধাক্কা দিলে তা না খোলায় জোবায়েদ তিনতলায় যেতে চান। তখন সিঁড়িতে পড়ে যান এবং সেখানেই মারা যান।
আদালত এলাকায় মিছিল
এদিকে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা দ্রুত বিচার দাবি করেন এবং এই মামলায় আরও যাঁরা জড়িত তাঁদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
‘জিনসপত্র যা নিয়েছি; নিলাম, কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি করবা না, তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য।’ রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসায় ডাকাতি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার বাসায় থাকা দুই কিশোরীকে এভাবে হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন ভু
০৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিয়ারতের এই আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেহোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিয়ারতের এই আয়োজন করা হয়।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা জোবায়েদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এতে নিহত জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন, চাচা সাংবাদিক মোহাম্মদ আক্তার হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভেজা কণ্ঠে জোবায়েদের চাচা সাংবাদিক মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ‘জোবায়েদকে তো হারিয়েই ফেলেছি। কিন্তু যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই—যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।’
গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুরান ঢাকায় তাঁর এক ছাত্রীর বাসার সিঁড়িতে খুন হন জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন। বাসার নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত রক্তের দাগ পাওয়া যায়। পরে তিনতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পরদিন গতকাল সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোবায়েদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ মাগরিব নিজ গ্রাম কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভাই হত্যার ঘটনায় আজ সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বংশাল থানায় তিনজননামীয় ও চার–পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আমরা মামলায় প্রকৃত আসামিদের নামই উল্লেখ করেছি। চাই না কোনো নির্দোষ ব্যক্তি ফেঁসে যাক। যারা অপরাধ করেছে, তারাই যেন শাস্তি পায়। ইতিমধ্যে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা সুষ্ঠু বিচার আশা করছি।’
নিহত জোবায়েদ হোসেন হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং কুমিল্লা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিয়ারতের এই আয়োজন করা হয়।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা জোবায়েদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এতে নিহত জোবায়েদের বাবা মোবারক হোসেন, চাচা সাংবাদিক মোহাম্মদ আক্তার হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভেজা কণ্ঠে জোবায়েদের চাচা সাংবাদিক মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, ‘জোবায়েদকে তো হারিয়েই ফেলেছি। কিন্তু যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই—যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।’
গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুরান ঢাকায় তাঁর এক ছাত্রীর বাসার সিঁড়িতে খুন হন জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন। বাসার নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত রক্তের দাগ পাওয়া যায়। পরে তিনতলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে থাকা অবস্থায় পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
পরদিন গতকাল সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোবায়েদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ মাগরিব নিজ গ্রাম কলাগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ভাই হত্যার ঘটনায় আজ সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বংশাল থানায় তিনজননামীয় ও চার–পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, ‘আমরা মামলায় প্রকৃত আসামিদের নামই উল্লেখ করেছি। চাই না কোনো নির্দোষ ব্যক্তি ফেঁসে যাক। যারা অপরাধ করেছে, তারাই যেন শাস্তি পায়। ইতিমধ্যে তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা সুষ্ঠু বিচার আশা করছি।’
নিহত জোবায়েদ হোসেন হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া কৃষ্ণপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং কুমিল্লা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।
‘জিনসপত্র যা নিয়েছি; নিলাম, কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি করবা না, তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য।’ রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসায় ডাকাতি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার বাসায় থাকা দুই কিশোরীকে এভাবে হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন ভু
০৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
রমনা থানায় ২০১৭ সালে হওয়া ওই মামলায় দুদক বাদল ও তাঁর স্ত্রী সোমা আলম রহমানের নামে থাকা সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ করেছিল। ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট এ মামলায় তিনি স্থায়ী জামিন পান। প্রায় এক বছর দুই মাস পর আদালতের রায়ে তিনি পুরোপুরি খালাস পেলেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ২০১৭ সালের ২৮ মে ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ আব্দুস সালাম। পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন মৃধা। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দেন, তৎকালীন সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদলের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁকে হয়রানি করেছে। আরাফাত রহমান কোকোর ব্যবসায়িক অংশীদার ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকার কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। আদালতের ভাষায়, বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে আগের সরকার তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেছে।
ব্যবসায়ী বাদলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. বোরহান উদ্দীন রায় ঘোষণার পর বলেন, ২০১৭ সালে দুদক তাঁর মক্কেলকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল। সে সময় লুৎফর রহমান বিদেশে থাকায় তাঁর স্ত্রী সোমা আলম রহমান আদালতে সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।
আইনজীবী জানান, আদালতে মোট ৬৭টি দলিল জমা দেওয়া হয়, যেখানে সব স্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ ছিল। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আগের সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ থাকায় লুৎফর রহমান বাদল তখন দেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু আইনের প্রতি আস্থা রেখে তিনি ফিরে এসে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
আইনজীবীর ভাষায়, লুৎফর রহমান বাদল আশা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্যান্য হয়রানিমূলক মামলায়ও তিনি আদালতের কাছ থেকে একইভাবে ন্যায়বিচার পাবেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
রমনা থানায় ২০১৭ সালে হওয়া ওই মামলায় দুদক বাদল ও তাঁর স্ত্রী সোমা আলম রহমানের নামে থাকা সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ করেছিল। ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট এ মামলায় তিনি স্থায়ী জামিন পান। প্রায় এক বছর দুই মাস পর আদালতের রায়ে তিনি পুরোপুরি খালাস পেলেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় ২০১৭ সালের ২৮ মে ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ২৯০ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ আব্দুস সালাম। পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন মৃধা। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
রায়ে আদালত পর্যবেক্ষণ দেন, তৎকালীন সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাদলের বিরুদ্ধে মামলা করে তাঁকে হয়রানি করেছে। আরাফাত রহমান কোকোর ব্যবসায়িক অংশীদার ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকার কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। আদালতের ভাষায়, বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে আগের সরকার তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি করেছে।
ব্যবসায়ী বাদলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. বোরহান উদ্দীন রায় ঘোষণার পর বলেন, ২০১৭ সালে দুদক তাঁর মক্কেলকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছিল। সে সময় লুৎফর রহমান বিদেশে থাকায় তাঁর স্ত্রী সোমা আলম রহমান আদালতে সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন।
আইনজীবী জানান, আদালতে মোট ৬৭টি দলিল জমা দেওয়া হয়, যেখানে সব স্থাবর সম্পদের তথ্য উল্লেখ ছিল। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আগের সরকার মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খারাপ থাকায় লুৎফর রহমান বাদল তখন দেশে ফিরতে পারেননি। কিন্তু আইনের প্রতি আস্থা রেখে তিনি ফিরে এসে ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
আইনজীবীর ভাষায়, লুৎফর রহমান বাদল আশা করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে করা অন্যান্য হয়রানিমূলক মামলায়ও তিনি আদালতের কাছ থেকে একইভাবে ন্যায়বিচার পাবেন।
‘জিনসপত্র যা নিয়েছি; নিলাম, কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি করবা না, তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য।’ রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসায় ডাকাতি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার বাসায় থাকা দুই কিশোরীকে এভাবে হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন ভু
০৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিয়ারতের এই আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি মরিচপুর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তখন পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের কালিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় হাত–পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই হাসান মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না। কীভাবে এমন হলো, তা তিনি এখনো বলতে পারছেন না। তবে আমরা ধারণা করছি, গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমার ভাইয়ের বিপক্ষের কিছু লোক তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের ছাত্রদলের এক নেতাকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের পাশে বড় কালিয়ান এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম গন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি মরিচপুর এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তখন পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন কেন্দুয়া–আঠারবাড়ী সড়কের কালিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় হাত–পা বাঁধা অচেতন অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই হাসান মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর গভীর রাতে জাহাঙ্গীরের জ্ঞান ফিরে আসে। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না। কীভাবে এমন হলো, তা তিনি এখনো বলতে পারছেন না। তবে আমরা ধারণা করছি, গন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। আমার ভাইয়ের বিপক্ষের কিছু লোক তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তিনি পুরোপুরি সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
‘জিনসপত্র যা নিয়েছি; নিলাম, কোনো চিৎকার-চেঁচামেচি করবা না, তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য।’ রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের একটি বাসায় ডাকাতি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের নেতা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট (অব.) মোহাম্মদ ফিরজো ইফতেখার বাসায় থাকা দুই কিশোরীকে এভাবে হুমকি দেন বলে জানিয়েছেন ভু
০৭ আগস্ট ২০২৫জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিহত জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত রাজধানীর বংশাল থানায় এ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের কবর জিয়ারত করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যার আগে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জিয়ারতের এই আয়োজন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
১ ঘণ্টা আগে