Ajker Patrika

একুশ শতকের অশউইৎজ গাজা, হোতা জায়নবাদী ইসরায়েল: হামাস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৬: ৪৫
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি একটি এলাকা। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি একটি এলাকা। ছবি: এএফপি

গাজাকে একুশ শতকের অশউইৎজ বলে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। অঞ্চলটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনীর তৈরি করা কুখ্যাত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প ‘অশউইৎজ’ বলে আখ্যা দিয়ে হামাস বলেছে, এটি তৈরি করেছে বর্তমান জায়নবাদী ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এক মন্তব্যের জবাবে হামাস এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, গাজাকে ‘একুশ শতকের অশউইৎজ’ বলে দাবি করেছে হামাস। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘হলোকাস্ট রিমেমব্রেন্স ডে’ বা ইহুদি গণহত্যা স্মরণ দিবসের ভাষণের জবাবে এক বিবৃতিতে এই দাবি করে হামাস।

হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজকের গাজা হলো একুশ শতকের অশউইৎজ। এখানে ছাই ফিলিস্তিনিদের, আর এর হোতা জায়নবাদীরা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যারা নাৎসিবাদের শিকারদের জন্য কাঁদে, তারাই এখন আমাদের সময়ে গণহত্যার হোতা।’

গত বুধবার ইয়াদ ভাশেমে দেওয়া নেতানিয়াহুর ভাষণের প্রতিবাদ জানিয়েছে হামাস। নেতানিয়াহু তাঁর ভাষণে হামাসকে নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বিজয় ৬০ লাখ ইহুদির হত্যাকাণ্ডের পর পুনর্জন্মের ঐতিহাসিক পথের অংশ।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘তারা (হামাস) একেবারে নাৎসিদের মতো। হিটলারের মতো, হামানের মতো। তারা সব ইহুদিকে হত্যা ও ধ্বংস করতে চায়। এটা আমরা হতে দেব না। আমরা এই হামাস দানবকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুরো বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলা ধর্মান্ধ শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রবলভাবে লড়াই করব আমরা। এটাই হলোকাস্টের মূল শিক্ষা।’

নেতানিয়াহুর ভাষণের জবাবে হামাস বলেছে, এই বক্তব্য ‘জাতিবাদী ও চরমপন্থী মন্তব্য, যা আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে তাঁর ফ্যাসিবাদী সরকার পরিচালিত গণহত্যার পথকে আরও শক্তিশালী করে। হামাস আরও বলেছে, নেতানিয়াহু বলে বেড়ান যে আর কখনোই হলোকাস্ট ঘটতে দেওয়া যাবে না, তিনিই আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই গণহত্যায় গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা দেওয়া হচ্ছে, শরণার্থীশিবিরে জীবন্ত কবর দেওয়া হচ্ছে এবং হাসপাতাল ও স্কুলের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা দেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই গণহত্যার জন্য চুল্লির প্রয়োজন নেই—প্রয়োজন শুধু সর্বশেষ পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্র এবং এটি বিশ্বের সামনেই সংঘটিত হচ্ছে। হামাসের বিবৃতির শেষে বলা হয়েছে, এই জায়নবাদী গণহত্যার প্রকল্প প্রতিরোধ করা শুধু একটি বৈধ অধিকার নয়, এটি একটি মানবিক কর্তব্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত