Ajker Patrika

ইরানের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০০: ৫১
গত ১৪ জুলাই তেহরানে আয়োজিত একটি স্মরণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: ইরান ইন্টারন্যাশনাল
গত ১৪ জুলাই তেহরানে আয়োজিত একটি স্মরণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: ইরান ইন্টারন্যাশনাল

ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর ইরানের রাজনৈতিক বিভাজন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বিরুদ্ধে এবার সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে উৎখাত করে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে।

ইরান ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ইরানের ৩০ জনের বেশি সংসদ সদস্য প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানকে অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ইরানে গভীর ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে প্রকাশ করে দিয়েছে।

কট্টরপন্থীরা অভিযোগ করছেন, তুলনামূলকভাবে মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছেন এবং তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টায় রয়েছেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও এমপি আবুলফজল জোহরেভান্দ একটি ভাইরাল ভিডিওতে বলেন, ‘পেজেশকিয়ান সরকার ইসলামি বিপ্লবকে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেষ করে দেবেন। তারা মনে করে বিপ্লবের অবসান ঘটিয়ে ও খামেনির শাসন শেষ করে একটি নতুন যুগ শুরু করা যাবে এবং আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দেওয়া সম্ভব হবে।’

তবে এ ধরনের বক্তব্যকে অনেকেই অতিরঞ্জিত মনে করছেন। খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোখবের স্পষ্টভাবে পেজেশকিয়ানের ওপর চাপ প্রয়োগের বিরোধিতা করেছেন। সংবাদমাধ্যম আসর-ই ইরানকে তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে। এটি একটি ভুল পদক্ষেপ।’

১৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান তাঁর স্টাফদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমাদের অন্যের ওপর নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই। যারা আমাদের বিরোধিতা করে, তারা সবাই আমাদের শত্রু নয়। জবরদস্তির মাধ্যমে নিজের লোক বেছে নেওয়া উচিত নয়।’

এদিকে সংস্কারপন্থীরা বলছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী ঐক্যের বদলে ইরানে এখন বিপজ্জনকভাবে বিভাজন বাড়ছে। দেশটির সরকারের সাবেক মুখপাত্র আলী রাবিয়ি ১০ জুলাই দৈনিক এতমাদ-এ লিখেছেন, ‘বিস্ফোরণের ধুলা এখনো বসেনি, অথচ সমাজ বিভক্তির শব্দ ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের চেয়েও জোরালো। এই বিভাজন ঠেকানো জরুরি—কারণ এটাই আগ্রাসীরা চায়।’

প্রখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী ও সাবেক এমপি আহমাদ শিরজাদ আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের জনগণের কাছে ফিরে যেতে হবে এবং তাদের সরকারে অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

তাদের অনুভব করাতে হবে—এই সরকার তাদেরই।’

সংস্কারপন্থী ফ্রন্টের মুখপাত্র জাভাদ ইমাম বলেন, ‘সরকারকে জনগণের দাবি অগ্রাহ্য করা যাবে না। সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক অংশগ্রহণের সুযোগ খুলে দিতে হবে এবং সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করতে হবে—যাতে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে পারেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত