যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ২০৫ ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আগে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনডিটিভিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানিয়েছে, বিমানে থাকা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের পরিচয় যাচাই করা হয়েছে। এই থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারও সম্পৃক্ত। সম্ভবত এই প্রথম কোনো ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার কার্গো বিমানে করে এই ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হচ্ছে। মজার তথ্য হলো, ইউএস এয়ার ফোর্সের সি-১৭ বিমানটিতে ২০৫ জন যাত্রীর জন্য একটি টয়লেট থাকে সাধারণত। তবে এটিতে যদি নতুন করে এয়ার-ট্রান্সপোর্টেবল গ্যালি বা রান্নাঘর দিয়ে সজ্জিত করা হয় তবে টয়লেটের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এই ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অনুসরণ করে করা হয়েছে। এর আগে, মার্কিন সামরিক বিমানের একাধিক ফ্লাইট গুয়াতেমালা, পেরু এবং হন্ডুরাসে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করেছে।
ভারতীয় নাগরিকদের প্রথম দফার বহিষ্কার এমন সময় হয়েছে, যখন খবর এসেছে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। এটি হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর প্রথম সফর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর আগেই বলেছিলেন, ভারতের সরকার অবৈধভাবে বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরতদের ফেরত নিতে ভারতের কোনো সমস্যা নেই।
অনুমান করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ভারতীয়রাও অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীর তালিকা চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মীদের জন্য ইস্যু করা এইচ-১বি ভিসার অধিকাংশই ভারতীয়দের জন্য বরাদ্দ।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নীতির অধীনে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কার করবেন এবং দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেস একটি বিল পাস করে। এই আইনের আওতায় যেসব অবৈধ অভিবাসী অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে এবং নির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত হয়, তাদের আটক ও বহিষ্কার বাধ্যতামূলক করা হয়। এমনকি নির্বাচনী প্রচারের সময়ও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম বহিষ্কার অভিযান শুরু করব।’
ট্রাম্প তাঁর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নে বারবার সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করেছেন। তিনি মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছেন, সামরিক ঘাঁটিতে অভিবাসীদের সাময়িক ঠাঁই দিয়েছেন এবং তাদের বহিষ্কারের জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করেছেন।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গুয়াতেমালায় পাঠানো একটি সামরিক বিমানের ফ্লাইটে প্রতি অভিবাসীর জন্য ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৭৫ ডলার। এই ব্যয় আমেরিকান এয়ারলাইনসের টেক্সাসের এল পাসো ফার্স্ট ক্লাস টিকিটের দামের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। এটি ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) পরিচালিত বাণিজ্যিক চার্টার ফ্লাইটের খরচের চেয়েও অনেক বেশি।
অপরদিকে, অভিবাসন নীতির পাশাপাশি ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইউরোপের জন্যও অনুরূপ পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতারিত করে আসছে। এটি আর চলতে দেওয়া হবে না। আমরা আমাদের সীমান্ত সুরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ২০৫ ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো থেকে প্রায় ছয় ঘণ্টা আগে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনডিটিভিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানিয়েছে, বিমানে থাকা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের পরিচয় যাচাই করা হয়েছে। এই থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, এই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় ভারত সরকারও সম্পৃক্ত। সম্ভবত এই প্রথম কোনো ফ্লাইট যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দিচ্ছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বোয়িং সি-১৭ গ্লোবমাস্টার কার্গো বিমানে করে এই ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হচ্ছে। মজার তথ্য হলো, ইউএস এয়ার ফোর্সের সি-১৭ বিমানটিতে ২০৫ জন যাত্রীর জন্য একটি টয়লেট থাকে সাধারণত। তবে এটিতে যদি নতুন করে এয়ার-ট্রান্সপোর্টেবল গ্যালি বা রান্নাঘর দিয়ে সজ্জিত করা হয় তবে টয়লেটের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এই ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি অনুসরণ করে করা হয়েছে। এর আগে, মার্কিন সামরিক বিমানের একাধিক ফ্লাইট গুয়াতেমালা, পেরু এবং হন্ডুরাসে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করেছে।
ভারতীয় নাগরিকদের প্রথম দফার বহিষ্কার এমন সময় হয়েছে, যখন খবর এসেছে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন। এটি হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাঁর প্রথম সফর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর আগেই বলেছিলেন, ভারতের সরকার অবৈধভাবে বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরতদের ফেরত নিতে ভারতের কোনো সমস্যা নেই।
অনুমান করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ভারতীয়রাও অন্তর্ভুক্ত। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে প্রায় ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীর তালিকা চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মীদের জন্য ইস্যু করা এইচ-১বি ভিসার অধিকাংশই ভারতীয়দের জন্য বরাদ্দ।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নীতির অধীনে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কার করবেন এবং দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যেই মার্কিন কংগ্রেস একটি বিল পাস করে। এই আইনের আওতায় যেসব অবৈধ অভিবাসী অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে এবং নির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত হয়, তাদের আটক ও বহিষ্কার বাধ্যতামূলক করা হয়। এমনকি নির্বাচনী প্রচারের সময়ও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি পুনরায় নির্বাচিত হলে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম বহিষ্কার অভিযান শুরু করব।’
ট্রাম্প তাঁর অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নে বারবার সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করেছেন। তিনি মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছেন, সামরিক ঘাঁটিতে অভিবাসীদের সাময়িক ঠাঁই দিয়েছেন এবং তাদের বহিষ্কারের জন্য সামরিক বিমান ব্যবহার করেছেন।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহে গুয়াতেমালায় পাঠানো একটি সামরিক বিমানের ফ্লাইটে প্রতি অভিবাসীর জন্য ব্যয় হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার ৬৭৫ ডলার। এই ব্যয় আমেরিকান এয়ারলাইনসের টেক্সাসের এল পাসো ফার্স্ট ক্লাস টিকিটের দামের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। এটি ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) পরিচালিত বাণিজ্যিক চার্টার ফ্লাইটের খরচের চেয়েও অনেক বেশি।
অপরদিকে, অভিবাসন নীতির পাশাপাশি ট্রাম্প কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইউরোপের জন্যও অনুরূপ পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রতারিত করে আসছে। এটি আর চলতে দেওয়া হবে না। আমরা আমাদের সীমান্ত সুরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতা বজায় রাখার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
৩৪ মিনিট আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেইলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও প্রযুক্তি মহল যখন উত্তাল, তখন এক অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এসেছে মাস্কের বিচ্ছিন্ন মেয়ে ভিভিয়ান জেনা উইলসনের পক্ষ থেকে।
১ ঘণ্টা আগে