Ajker Patrika

ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৭, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৬০০ পরিবার 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৪, ১৫: ৪৬
Thumbnail image

বাংলাদেশের পূর্বে অবস্থিত ভারতীয় রাজ্যে ত্রিপুরায় ভয়াবহ বন্যার প্রকোপে অন্তত সাত জন নিহত হয়েছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা প্রাণ হারিয়েছে। একই সময়ে প্লাবিত হয়েছে বিশাল অঞ্চল। ফলে বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৬০০ পরিবার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রধান চারটি নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলো হলো—হাওড়া, ধলাই, মহুরি ও খোয়াই। এই চার নদীই বাংলাদেশ-ভারত আন্তসীমান্ত নদী। ফলে এসব নদীর পানিতে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোও প্লাবিত হতে পারে। 

ত্রিপুরার রাজস্ব সচিব ব্রিজেশ পাণ্ডে সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে দক্ষিণ ত্রিপুরা ও গোমতি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বাগাফায় ৩৭৫ দশমিক ৮ মিলিমিটার, বিলোনিয়ায় ৩২৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার ও অমরপুরে ৩০৭ দশমিক ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত হাওড়া, ধলাই, মুহুরি ও খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

ত্রিপুরা রাজ্য সরকার বন্যার্তদের জন্য ১৮৩টি আশ্রয়শিবির স্থাপন করেছে, যেখানে ৫ হাজার ৬০৭টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, ত্রিপুরা রাজ্য রাইফেলসসহ ২০০ দল মোতায়েন করেছে। 

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রবল বর্ষণে ফেনী, মুহুরী ও গোমতী নদীতে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেয় পাঁচ শতাধিক মানুষ। তার আগে মে মাসে এক ঘূর্ণিঝড়ে সাড়ে পাঁচ শতাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আড়াই হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়। জুলাইয়ে গোমতী জেলায় ভূমিধসে ১০ বছরের এক শিশু নিহত ও পাঁচ বছরের এক শিশু আহত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত