অনলাইন ডেস্ক
আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ভারতীয় রুপি প্রাথমিক লেনদেনে ৬৭ পয়সা অবমূল্যায়িত হয়ে ডলারের বিপরীতে ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে পৌঁছেছে। এই অবস্থান মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেকর্ড সর্বনিম্ন মান। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর শঙ্কার কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থানের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় রুপি। ডলারের অপরিবর্তিত চাহিদা এবং রুপির ঝুঁকি গ্রহণের দুর্বল মনোভাবের কারণে মূল্য আরও কমেছে। আজ সোমবার সকালে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুপির বাজার শুরু হয় ডলারের বিপরীতে ৮৭ রুপি নিয়ে। পরে তা কমে, ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে নেমে যায়। গত শুক্রবার ডলারের রুপির দর ছিল ৮৬ দশমিক ৬২। অর্থাৎ, আজ তা ৬৭ পয়সা কমেছে।
সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজার্সের এমডি অমিত পাবারি বলেন, ‘সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক বাজারগুলো চাপের মধ্যে ছিল। কারণ, ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শুল্ক হুমকি বাস্তবায়ন করেছেন, মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করে।’
এর আগে, ভারতীয় বাণিজ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, আগামী ৬ থেকে ১০ মাসের মধ্যে ভারতীয় রুপির দাম আরও পড়তে পারে। এমনকি প্রতি ডলারের দাম হতে পারে ৯০-৯২ রুপি। খবরে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক নিফটি এবং সেনসেক্স এক বছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে।
কিন্তু এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ২৬ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ, মার্কিন সূচকের তুলনায় ভারতের সূচকের বৃদ্ধি অনেক কম। এ ছাড়া, এক বছরে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ৩ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়নের ফলে এই পার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ভারতীয় সূচক দুটি যদি কাঙ্ক্ষিত গতি লাভ করতে না পারে তবে রুপির তীব্র অবমূল্যায়নের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
মার্কিন অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে নির্দেশিত সুদহার কমানোর সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে দুটিতে আনাতে বাধ্য হয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষেত্রে তার সম্প্রসারণমূলক করসংস্থান ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভকে শক্তিশালী নীতিমালা গ্রহণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মার্কিন নীতির কারণে মুদ্রাবাজারে ইউরোজোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির পার্থক্য বাড়ছে এবং এটি ডলারকে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সূচকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখছে। আবার চীন ডলারের রিজার্ভ কমানোর পাশাপাশি মন্দা মোকাবিলায় আরও বেশি মুদ্রায় লেনদেনের মতো নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর ফলে ডলারের বাজারে সূচকের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে আবার যুক্তরাষ্ট্র জিডিপি-ঋণ অনুপাত কমানোর উদ্যোগ গ্রহণের পর ডলারকে স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, ডলারের সূচক বৃদ্ধির আরেকটি সহায়ক কারণ হলো বাড়তি ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি, যা বিশ্বজুড়ে নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি বিগত দুই বছরে চমৎকার অনমনীয়তা প্রদর্শন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) আগ্রাসী ফরেক্স রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। মুদ্রা অনমনীয়তা পরিমাপের হার অনুসারে ভারতীয় রুপির নমনীয়তার হার ১। যেখানে ‘০-শূণ্য’ নির্দেশ করে পূর্ণ নমনীয় মুদ্রার এবং ১ প্রতিনিধিত্ব করে সর্বোচ্চ অনমনীয়তার।
কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফলে ৪ ট্রিলিয়ন রুপির সমপরিমাণ অর্থের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টি এই অবস্থাকে আরও নাজুক করেছে। এদিকে, রিজার্ভের ঘাটতির কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কারণ, বাড়তি বাণিজ্যিক লেনদেন রুপি দুর্বল হওয়ার পক্ষেই কাজ করতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন (৯০ শতাংশ) অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় বেশি হয়েছে। কারণ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পার্থক্য সংকুচিত হয়েছে। ফলে, প্রবৃদ্ধির পারফরম্যান্সে কোনো নেতিবাচক চমক রুপি দুর্বল করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সাম্প্রতিক প্রান্তিকে, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা মহামারির সময়ে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর সংকুচিত হয়েছে। চাহিদার দুর্বলতা এবং মুনাফার চাপে আগামী বছরগুলোতেও আরও মন্দার পূর্বাভাস আছে। ২০২৫-২৭ অর্থবছরের জন্য নিফটির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের জন্য মার্কিন সূচকের (১৬ শতাংশ) তুলনায় বেশ কম।
বৈশ্বিক মডেলের অনুমান, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এর ফলে, মার্কিন সুদহার বর্তমান ৪ দশমিক ৬ থেকে ৪ শতাংশে নামাতে পারে। এর বাইরে স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে ডলার আরও শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির মূল্য ৭-১০ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়িত হতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিক অবমূল্যায়নের হার ৪ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে, যেখানে শীর্ষ পর্যায়ে অবমূল্যায়ন হতে পারে ৯ শতাংশ পর্যন্ত। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক বাস্তব নীতি হার এবং বিস্তৃত বাস্তব কার্যকর বিনিময় হারের অতিমূল্যায়ন বিনিময় হারে প্রভাব ফেলবে।
সব দিক বিবেচনায়, আমাদের অনুমান বলে যে, সাম্প্রতিক ৮৪-এর (ডলারের বিপরীতে রুপির অবস্থা) স্তর থেকে ৭-১০ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়ে ৯০-৯২ রুপি/প্রতি ডলারের স্তরে পৌঁছাতে পারে আগামী ৬-১০ মাসে।
আন্তর্জাতিক লেনদেনের মুদ্রা মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। আজ সোমবার সকাল নাগাদ ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান ৬৭ পয়সা কমেছে। এর অর্থ হলো, এখন এক ডলার কিনতে ভারতীয় মুদ্রায় ৮৭ দশমিক ২৯ রুপি ব্যয় করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ভারতীয় রুপি প্রাথমিক লেনদেনে ৬৭ পয়সা অবমূল্যায়িত হয়ে ডলারের বিপরীতে ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে পৌঁছেছে। এই অবস্থান মার্কিন ডলারের বিপরীতে রেকর্ড সর্বনিম্ন মান। মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর শঙ্কার কারণে এমনটা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাওয়া এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী অবস্থানের কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় রুপি। ডলারের অপরিবর্তিত চাহিদা এবং রুপির ঝুঁকি গ্রহণের দুর্বল মনোভাবের কারণে মূল্য আরও কমেছে। আজ সোমবার সকালে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে রুপির বাজার শুরু হয় ডলারের বিপরীতে ৮৭ রুপি নিয়ে। পরে তা কমে, ৮৭ দশমিক ২৯ রুপিতে নেমে যায়। গত শুক্রবার ডলারের রুপির দর ছিল ৮৬ দশমিক ৬২। অর্থাৎ, আজ তা ৬৭ পয়সা কমেছে।
সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজার্সের এমডি অমিত পাবারি বলেন, ‘সপ্তাহের শুরুতে আর্থিক বাজারগুলো চাপের মধ্যে ছিল। কারণ, ইউএস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর শুল্ক হুমকি বাস্তবায়ন করেছেন, মেক্সিকো, কানাডা এবং চীনের থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করে।’
এর আগে, ভারতীয় বাণিজ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, আগামী ৬ থেকে ১০ মাসের মধ্যে ভারতীয় রুপির দাম আরও পড়তে পারে। এমনকি প্রতি ডলারের দাম হতে পারে ৯০-৯২ রুপি। খবরে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারতের শেয়ারবাজারের সূচক নিফটি এবং সেনসেক্স এক বছরে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে।
কিন্তু এই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচক ২৬ শতাংশ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ, মার্কিন সূচকের তুলনায় ভারতের সূচকের বৃদ্ধি অনেক কম। এ ছাড়া, এক বছরে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির ৩ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়নের ফলে এই পার্থক্য আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় ভারতীয় সূচক দুটি যদি কাঙ্ক্ষিত গতি লাভ করতে না পারে তবে রুপির তীব্র অবমূল্যায়নের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
মার্কিন অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে নির্দেশিত সুদহার কমানোর সংখ্যা চার থেকে কমিয়ে দুটিতে আনাতে বাধ্য হয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষেত্রে তার সম্প্রসারণমূলক করসংস্থান ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এই বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভকে শক্তিশালী নীতিমালা গ্রহণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
মার্কিন নীতির কারণে মুদ্রাবাজারে ইউরোজোনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির পার্থক্য বাড়ছে এবং এটি ডলারকে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির সূচকে শক্তিশালী অবস্থানে রাখছে। আবার চীন ডলারের রিজার্ভ কমানোর পাশাপাশি মন্দা মোকাবিলায় আরও বেশি মুদ্রায় লেনদেনের মতো নমনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর ফলে ডলারের বাজারে সূচকের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়বে। তবে আবার যুক্তরাষ্ট্র জিডিপি-ঋণ অনুপাত কমানোর উদ্যোগ গ্রহণের পর ডলারকে স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া, ডলারের সূচক বৃদ্ধির আরেকটি সহায়ক কারণ হলো বাড়তি ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি, যা বিশ্বজুড়ে নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে।
ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপি বিগত দুই বছরে চমৎকার অনমনীয়তা প্রদর্শন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) আগ্রাসী ফরেক্স রিজার্ভ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। মুদ্রা অনমনীয়তা পরিমাপের হার অনুসারে ভারতীয় রুপির নমনীয়তার হার ১। যেখানে ‘০-শূণ্য’ নির্দেশ করে পূর্ণ নমনীয় মুদ্রার এবং ১ প্রতিনিধিত্ব করে সর্বোচ্চ অনমনীয়তার।
কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। ফলে ৪ ট্রিলিয়ন রুপির সমপরিমাণ অর্থের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের দ্রুত শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিষয়টি এই অবস্থাকে আরও নাজুক করেছে। এদিকে, রিজার্ভের ঘাটতির কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। কারণ, বাড়তি বাণিজ্যিক লেনদেন রুপি দুর্বল হওয়ার পক্ষেই কাজ করতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির অবমূল্যায়ন (৯০ শতাংশ) অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় বেশি হয়েছে। কারণ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পার্থক্য সংকুচিত হয়েছে। ফলে, প্রবৃদ্ধির পারফরম্যান্সে কোনো নেতিবাচক চমক রুপি দুর্বল করার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সাম্প্রতিক প্রান্তিকে, ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা মহামারির সময়ে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পর সংকুচিত হয়েছে। চাহিদার দুর্বলতা এবং মুনাফার চাপে আগামী বছরগুলোতেও আরও মন্দার পূর্বাভাস আছে। ২০২৫-২৭ অর্থবছরের জন্য নিফটির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ ধরা হয়েছে। এটি ২০২৫ সালের জন্য মার্কিন সূচকের (১৬ শতাংশ) তুলনায় বেশ কম।
বৈশ্বিক মডেলের অনুমান, ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। এর ফলে, মার্কিন সুদহার বর্তমান ৪ দশমিক ৬ থেকে ৪ শতাংশে নামাতে পারে। এর বাইরে স্বল্প মেয়াদে মূল্যস্ফীতি কমার কারণে ডলার আরও শক্তিশালী হবে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপির মূল্য ৭-১০ শতাংশ পর্যন্ত অবমূল্যায়িত হতে পারে।
এ ছাড়া, ভারতীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিক অবমূল্যায়নের হার ৪ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে, যেখানে শীর্ষ পর্যায়ে অবমূল্যায়ন হতে পারে ৯ শতাংশ পর্যন্ত। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক বাস্তব নীতি হার এবং বিস্তৃত বাস্তব কার্যকর বিনিময় হারের অতিমূল্যায়ন বিনিময় হারে প্রভাব ফেলবে।
সব দিক বিবেচনায়, আমাদের অনুমান বলে যে, সাম্প্রতিক ৮৪-এর (ডলারের বিপরীতে রুপির অবস্থা) স্তর থেকে ৭-১০ শতাংশ অবমূল্যায়িত হয়ে ৯০-৯২ রুপি/প্রতি ডলারের স্তরে পৌঁছাতে পারে আগামী ৬-১০ মাসে।
ব্রেক্সিটের ৫ বছর পর প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইইউর এক বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন কিয়ার স্টারমার। প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন তিনি। পাশাপাশি ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
১১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ সংক্রান্ত আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি। গতকাল রোববার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এক কথা বলেন। ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম কিয়েভ...
২০ মিনিট আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট মিলে মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দেবেন এবং এই অঞ্চলে শান্তির বলয় বাড়িয়ে তুলবেন। গতকাল রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে তিনি এই কথা বলেন।
৩২ মিনিট আগেবিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) চেয়ারম্যান ইলন মাস্ক বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় ট্রাম্প সম্মতি দিয়েছেন যে, সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়া উচিত
২ ঘণ্টা আগে