Ajker Patrika

উত্তর ভারতে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু

আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৩, ১১: ১৮
উত্তর ভারতে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু

ভারতের উত্তরাঞ্চলে দুই দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল, উত্তরাখন্ড, নয়াদিল্লির আশপাশে এই বৃষ্টিপাতের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) পূর্বাভাস অনুযায়ী, নয়াদিল্লি, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরখন্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু কাশ্মীরে অতি বৃষ্টিপাত হবে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর ভারতে একটি নিম্নচাপ বিরাজ করছে। এটির প্রভাবে শনিবার (৮ জুলাই) দিল্লিসহ অন্যান্য অঞ্চলে অত্যধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৯৮২ সালের পর জুলাই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হওয়ার রেকর্ড।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। সেখানে মানালি, কুলু, চাম্বা, কিন্নৌরে নদীতে চকিত বন্যা হয়েছে, প্রবল ধস নেমেছে পাহাড়ে, উত্তাল নদী একের পর এক বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। শতদ্রু, বিপাশা, চন্দ্রভাগাসহ প্রচুর নদীর জল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

মানালি, কুলু, কাসোলে অনেক গাড়ি জলে ভেসে গেছে। অনেক দোকানও নদীর জলে ভেসে গেছে। বাড়ি ধসেছে। ধসের ফলে হিমাচলে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরাখন্ডের অবস্থাও খারাপ। সেখানেও ধস ও বন্যার খবর এসেছে। প্রায় প্রতিটি নদীই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের কাথুয়া ও সাম্বাতে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। তিন দিন বন্ধ থাকার পর রোববার অমরনাথ যাত্রা আবার শুরু হয়েছে।

গতকাল রোববার দিল্লিসহ আশপাশের শহরগুলোতে বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। এই বৃষ্টির প্রভাবে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা এবং যানজট দেখা গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে গুরুগ্রামের কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

দুই দিনের অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তিতে এক মোটরসাইকেল চালকঅতিবৃষ্টিতে দিল্লিতে ভবনের ছাদ ধসে পড়ে ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া বৃষ্টিসংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনায় রাজস্থানে চারজন প্রাণ হারান।

উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে রোববার সকালে প্রবল বৃষ্টিতে ছাদ ধসে এক নারী ও তার ছয় বছরের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের সিমলায় একই ধরনের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে গিয়ে দুই সেনা মারা গেছেন।

দিল্লির অবস্থা
দিল্লি ও গুড়গাঁওতে পরপর দুই দিন প্রবল বৃষ্টির পর অনেক রাস্তায় জল জমে যায়। প্রচুর গাড়ি সেখানে আটকে পড়ে। শনি ও রোববার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে একটানা বৃষ্টি পড়তে থাকে। বর্ষার শুরুতে রাজধানীর এই অবস্থা সচরাচর দেখা যায় না।

সোমবার দিল্লি ও গুড়গাঁওতে সব স্কুলে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি সরকার বন্যা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার জন্য ১৬টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে। হরিয়ানা থেকে যমুনায় এক লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে যমুনার ধারে নিচু এলাকা ভেসেছে।

রাজস্থান, পা়ঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও নিচু এলাকাগুলো ডুবে গেছে। প্রবল বৃষ্টির ফলে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় সব স্কুল, অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত