Ajker Patrika

ভারতে বিরোধী মুখ নিয়েই বিরোধিতা তুঙ্গে

কলকাতা প্রতিনিধি
Thumbnail image

ভারতে ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতায় বিরোধীদের সম্মিলিত মুখ কে হবেন তা নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। কংগ্রেসের অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাঁকে মানতে চাইছে না মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দল। তৃণমূলের তরফে সম্মিলিত বিরোধী দলের মুখ হিসাবে মমতাকেই তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মতে, মমতাই একমাত্র হারাতে পারেন বিজেপিকে। এটা প্রমাণিত। রাহুল গান্ধী ২০১৪ ও ২০১৯ সালে ব্যর্থ। তাই বিজেপিকে হারাতে হলে মমতাকেই চাই বলে মনে করেন তৃণমূল নেতারা। 

২০২৪ সালেও শাসক দল বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন নরেন্দ্র মোদি, মোটামুটি নিশ্চিত ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিরোধিতা। প্রকাশ্যে কংগ্রেস নেতারা মুখ না খুললেও তাঁরা যে অন্য দলের কাউকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে চান না​, সেটা ঘরোয়া আলোচনায় বারবার বলছেন। তবে প্রকাশ্যে এখনই মুখ খুলে তৃণমূলকে চটাতে চাইছে না কংগ্রেস। 

লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, এখনো বিষয়টি নিয়ে চর্চা করার সময় আসেনি। সবে ২০২১ এখন। ভোট হবে ২০২৪। তার আগেই বিরোধী দলের নেতারা আলোচনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মুখ ঠিক করে নেবেন। 

বর্তমানে তৃণমূল একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ক্ষমতায় রয়েছে। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তেমন অস্তিত্বও নেই তাঁদের। তবু দলের মুখপত্র জাগো বাংলা-য় রাহুলের বদলে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরা হয়। ২০২১ সালে মমতা বিজেপিকে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে হ্যাটট্রিক করার পরই তৃণমূলের দাবি আরও জোরদার হয়। দলের প্রবীণ নেতা, সাংসদ সৌগত রায়ের মতে, মমতার লড়াকু ইমেজ, সততা ও অতিসাধারণ জীবনযাপনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি তাঁকে সর্বভারতীয় স্তরে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিয়ে গিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন মমতা। তাই তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরলে বিরোধীরাই উপকৃত হবেন। 

সামনেই উত্তর প্রদেশসহ ৫ রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচন। এই ৫ রাজ্যের মধ্যে কংগ্রেস শাসিত পাঞ্জাবও রয়েছে। পাঞ্জাবে কংগ্রেস নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার। এরই মধ্যে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং ইস্তফা দিয়েছেন। এই অবস্থায় পাঞ্জাব হাত ছাড়া হলে কংগ্রেসের অবস্থা ভারতীয় রাজনীতিতে আরও করুণ হবে। অন্যদিকে, ত্রিপুরা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। এখন দেখার পালা মমতা নিজেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরতে পারেন কিনা। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফ থেকে রাহুলকে ফের দলের সভাপতি করে সংগঠনকে চাঙা করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে বিজেপি বিরোধীদের গুরুত্ব দিতেই নারাজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত