অনলাইন ডেস্ক
পেহেলাগাম হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় দশকের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। আজ আবার পাকিস্তানও কিছু পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শান্তিচুক্তি ছিল। ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলায় স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু কাশ্মীর হামলার পর এই ঐতিহাসিক চুক্তি এখন হুমকির মুখে।
শিমলা চুক্তি কী?
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) স্বাধীনতার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভারত এই যুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে হস্তক্ষেপ করে। ফলে ভারতের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের। কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান। পরবর্তী সময়ে ভারত নিজেদের সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২ জুলাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। শিমলায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য এটি ‘শিমলা চুক্তি’ নামে পরিচিত।
শিমলা চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটানো। এটি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিল এবং ভবিষ্যতের জন্য তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
শিমলা চুক্তির মূল ফলাফল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্ধারণ করেছিল—
সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান: উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিষ্পত্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। কাশ্মীরের বিরোধের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক ছিল, কারণ ভারত শিমলা চুক্তি অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয়ভাবে এ বিষয়টি সমাধানের ওপর জোর দিয়েছিল।
নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC): ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর যে যুদ্ধবিরতি রেখা বিদ্যমান ছিল, তা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control-LOC) হিসেবে পরিচিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো পক্ষ এ রেখা একতরফাভাবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না বলে সম্মত হয়, যদিও এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিদ্যমান ছিল।
ভূমি পুনরুদ্ধার: এই চুক্তি অনুসারে, ভারত যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি ফিরিয়ে দিয়েছিল। তবে ভারত কৌশলে কয়েকটি এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছিল। যেমন চোরবট উপত্যকার তুরতুক, ধোথাং, তিয়াকশি এবং চালুনকা—যার পরিমাণ ছিল ৮৮৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতি: চুক্তিটি পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতির পথও সুগম করেছিল, যা নতুন রাষ্ট্র গঠনের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
এই চুক্তির প্রভাব ও সীমাবদ্ধতা
শিমলা চুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও, এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ককে খারাপ হওয়া থেকে আটকাতে পারেনি। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ, ১৯৮০-এর দশকে সিয়াচেন হিমবাহ সংঘাত এবং কাশ্মীরে চলমান বিরোধ দুই দেশের সম্পর্ককে তিক্ত করেছে। ১৯৮৪ সালের ‘অপারেশন মেঘদূত’-এর মাধ্যমে ভারত সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান এটিকে শিমলা চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখেছিল। সিয়াচেন সংঘাত আজও বিদ্যমান এবং প্রতিবছর উভয় পক্ষই তুষারপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেনা হারাচ্ছে।
পেহেলাগাম হামলার পর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় সাড়ে ছয় দশকের সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করেছে ভারত। আজ আবার পাকিস্তানও কিছু পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শান্তিচুক্তি ছিল। ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলায় স্বাক্ষরিত এই চুক্তি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু কাশ্মীর হামলার পর এই ঐতিহাসিক চুক্তি এখন হুমকির মুখে।
শিমলা চুক্তি কী?
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) স্বাধীনতার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের (বর্তমান পাকিস্তান) সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভারত এই যুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে হস্তক্ষেপ করে। ফলে ভারতের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের। কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান। পরবর্তী সময়ে ভারত নিজেদের সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২ জুলাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। শিমলায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার জন্য এটি ‘শিমলা চুক্তি’ নামে পরিচিত।
শিমলা চুক্তির মূল লক্ষ্য ছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটানো। এটি দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিল এবং ভবিষ্যতের জন্য তাদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
শিমলা চুক্তির মূল ফলাফল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্ধারণ করেছিল—
সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান: উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিষ্পত্তিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল। কাশ্মীরের বিরোধের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক ছিল, কারণ ভারত শিমলা চুক্তি অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয়ভাবে এ বিষয়টি সমাধানের ওপর জোর দিয়েছিল।
নিয়ন্ত্রণ রেখা (LOC): ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর যে যুদ্ধবিরতি রেখা বিদ্যমান ছিল, তা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control-LOC) হিসেবে পরিচিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো পক্ষ এ রেখা একতরফাভাবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করবে না বলে সম্মত হয়, যদিও এ বিষয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিদ্যমান ছিল।
ভূমি পুনরুদ্ধার: এই চুক্তি অনুসারে, ভারত যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের প্রায় ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার ভূমি ফিরিয়ে দিয়েছিল। তবে ভারত কৌশলে কয়েকটি এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছিল। যেমন চোরবট উপত্যকার তুরতুক, ধোথাং, তিয়াকশি এবং চালুনকা—যার পরিমাণ ছিল ৮৮৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতি: চুক্তিটি পাকিস্তানের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্বীকৃতির পথও সুগম করেছিল, যা নতুন রাষ্ট্র গঠনের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
এই চুক্তির প্রভাব ও সীমাবদ্ধতা
শিমলা চুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও, এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ককে খারাপ হওয়া থেকে আটকাতে পারেনি। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধ, ১৯৮০-এর দশকে সিয়াচেন হিমবাহ সংঘাত এবং কাশ্মীরে চলমান বিরোধ দুই দেশের সম্পর্ককে তিক্ত করেছে। ১৯৮৪ সালের ‘অপারেশন মেঘদূত’-এর মাধ্যমে ভারত সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান এটিকে শিমলা চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখেছিল। সিয়াচেন সংঘাত আজও বিদ্যমান এবং প্রতিবছর উভয় পক্ষই তুষারপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেনা হারাচ্ছে।
থাইল্যান্ডে ভ্রমণ কিংবা অন্য যে কোনো কারণে প্রবেশ ইচ্ছুক বিদেশিদের জন্য আগামী ১ মে থেকে নতুন প্রবেশ নিয়ম চালু হচ্ছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, দেশটিতে প্রবেশের আগে ‘থাইল্যান্ড ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড’ (টিডিএসি) পূরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেচলে যাও! চলে যাও! চলে যাও! টেলিগ্রাম ভিডিওতে উচ্চকিত কণ্ঠে চলছে এই স্লোগান। কখনো বা সুরে সুরে। বার্তা খুবই স্পষ্ট। আর তা হচ্ছে, ‘হামাসের সবাই হটো।’ হামাস, গাজা, ইসরায়েল, বিক্ষোভ, স্লোগান, মধ্যপ্রাচ্য, রয়টার্স, ফিলিস্তিনি,
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়া ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৪৫টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এগুলোর বেশির ভাগই কিয়েভকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবাণিজ্যযুদ্ধ সমাধানে আলোচনায় বসতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে চীনা পণ্যের ওপর থেকে আরোপিত শুল্ক বাতিল করতে হবে। বিশ্বব্যাপী চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন প্রস্তাব দিয়েছে বেইজিং। চীন বলেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি এ সমস্যার সমাধান করতে চান, তবে অবশ্যই আগে আরোপিত শুল্ক বাতিল করবেন।
৫ ঘণ্টা আগে