সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ভারতের রাজস্থানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বশেষ মন্তব্য ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হলেও মোদির মন্তব্য দেশটিতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিবিসিসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ইসলামফোবিক বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম নেতৃত্ব।
ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠা ওই বক্তব্যে মোদি অভিযোগ করেছিলেন—বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করবে। তিনি মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তারা বেশি সন্তানের জন্ম দেয় বলেও মন্তব্য করেন।
মোদি বলেন, ‘যখন তারা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় ছিল, তারা বলেছিল—সম্পদের ওপর মুসলিমদের প্রথম অধিকার। তারা আপনার সব ধন-সম্পদ একত্র করে তাদের মধ্যে বণ্টন করবে, যাদের বেশি সন্তান আছে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করবে।’
মোদির এই ধরনের বক্তব্যে সমাবেশে উপস্থিত বিজেপি সমর্থকেরা উচ্ছ্বসিত করতালির মধ্য দিয়ে সমর্থন প্রকাশ করে। এ সময় মোদি তাঁর সমর্থকদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘তাদের কষ্টার্জিত সম্পদ যদি অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দেওয়া হয়, তবে তারা কি তা মেনে নেবেন?’
বিরোধী দল ভারতের নির্বাচন কমিশনকে মোদির মন্তব্য তাঁর আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কি না তা তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) নিয়ম অনুসারে, জাতপাত এবং সাম্প্রদায়িক অনুভূতির ভিত্তিতে ভোটের জন্য আবেদন করা উচিত নয়। কারণ, এটি বিভেদ বাড়াতে পারে বা পারস্পরিক ঘৃণা বা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরাও ঘৃণাত্মক মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির নিন্দা করেছেন। ভারতীয় মুসলিম সাংবাদিক রানা আইয়ুব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘এটি একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি, নির্লজ্জ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য।’
অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিনের সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘মোদি আজ মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী এবং অনেক সন্তানের বাবা বলে অভিহিত করেছেন। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদির একমাত্র গ্যারান্টি ছিল মুসলমানদের কলঙ্কিত করে ভোট পাওয়া।’
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে মোদির মন্তব্যকে ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ এবং ‘মনোযোগ সরানোর জন্য একটি সুচিন্তিত চক্রান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চরমপন্থায় অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবী সংঘকে (আরএসএস) ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী সংঘের মূল্যবোধ থেকে যা শিখেছেন, তা করেছেন। ভারতের ইতিহাসে, কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদের মর্যাদাকে মোদির মতো এত নিচে নামাননি।’
সাধারণ নির্বাচনের মধ্যে ভারতের রাজস্থানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বশেষ মন্তব্য ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জয়ী হবে বলে আশা করা হলেও মোদির মন্তব্য দেশটিতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিবিসিসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ইসলামফোবিক বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধী দলের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মুসলিম নেতৃত্ব।
ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠা ওই বক্তব্যে মোদি অভিযোগ করেছিলেন—বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বিতরণ করবে। তিনি মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং তারা বেশি সন্তানের জন্ম দেয় বলেও মন্তব্য করেন।
মোদি বলেন, ‘যখন তারা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় ছিল, তারা বলেছিল—সম্পদের ওপর মুসলিমদের প্রথম অধিকার। তারা আপনার সব ধন-সম্পদ একত্র করে তাদের মধ্যে বণ্টন করবে, যাদের বেশি সন্তান আছে। তারা অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিতরণ করবে।’
মোদির এই ধরনের বক্তব্যে সমাবেশে উপস্থিত বিজেপি সমর্থকেরা উচ্ছ্বসিত করতালির মধ্য দিয়ে সমর্থন প্রকাশ করে। এ সময় মোদি তাঁর সমর্থকদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘তাদের কষ্টার্জিত সম্পদ যদি অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দেওয়া হয়, তবে তারা কি তা মেনে নেবেন?’
বিরোধী দল ভারতের নির্বাচন কমিশনকে মোদির মন্তব্য তাঁর আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে কি না তা তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) নিয়ম অনুসারে, জাতপাত এবং সাম্প্রদায়িক অনুভূতির ভিত্তিতে ভোটের জন্য আবেদন করা উচিত নয়। কারণ, এটি বিভেদ বাড়াতে পারে বা পারস্পরিক ঘৃণা বা উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরাও ঘৃণাত্মক মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির নিন্দা করেছেন। ভারতীয় মুসলিম সাংবাদিক রানা আইয়ুব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘এটি একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি, নির্লজ্জ বিদ্বেষমূলক বক্তব্য।’
অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিনের সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘মোদি আজ মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী এবং অনেক সন্তানের বাবা বলে অভিহিত করেছেন। ২০০২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মোদির একমাত্র গ্যারান্টি ছিল মুসলমানদের কলঙ্কিত করে ভোট পাওয়া।’
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে মোদির মন্তব্যকে ‘ঘৃণাত্মক বক্তব্য’ এবং ‘মনোযোগ সরানোর জন্য একটি সুচিন্তিত চক্রান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চরমপন্থায় অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবী সংঘকে (আরএসএস) ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী সংঘের মূল্যবোধ থেকে যা শিখেছেন, তা করেছেন। ভারতের ইতিহাসে, কোনো প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদের মর্যাদাকে মোদির মতো এত নিচে নামাননি।’
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
২ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৪ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে