ইউরোপের কাছে আসন্ন শীত ক্রমেই দুর্ভাবনা থেকে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। কপাল কুঁচকে বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা একটা কোনো উপায় খুঁজছেন। কারণ, রাশিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে—আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তারপর গ্যাস সরবরাহ। অথচ ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া থেকে আসা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ২০২১ সালেও ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ ছিল গ্যাসনির্ভর। আর এই গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ইউরোপ তাকিয়ে থাকে রাশিয়ার দিকে।
এত দিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ সব হিসাব পাল্টে দিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর ইউরোপ এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ইউরোপের ওপর পাল্টা চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর প্রভাব পড়েছে অন্য জ্বালানির ওপরও। বিশেষত জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই বাড়ছে।
সামনে শীত। ইউরোপ নিজেকে উষ্ণ রাখতে হলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ ছাড়া উপায় নেই। অথচ রাশিয়ার এক কথা—আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে ইউরোপের পরিস্থিতি এমনই যে, গ্যাস সরবরাহ আগের অবস্থায় না ফিরলে এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হবে। ফলে শীতের সেই সময়ে শুধু তাপ নয়, আলো নিয়ে টানাটানি পড়ে যেতে পারে।
আল-জাজিরা জানাচ্ছে, ইউরোপ বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও তাপ উৎপাদনের জন্য ভীষণভাবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ২০২১ সালে মোট জ্বালানি চাহিদার ৩৪ শতাংশই তারা মিটিয়েছে গ্যাস দিয়ে। ইউরোপের মধ্যে বেলারুশ আবার সবচেয়ে বেশি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির মোট জ্বালানি চাহিদার ৬২ শতাংশই গ্যাসনির্ভর। এরপরই আছে রাশিয়া, ৫৪ শতাংশ, ইতালি ৪২, যুক্তরাজ্য ৪০ ও হাঙ্গেরি ৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে উৎপাদক ও সরবরাহকারী দেশ হিসেবে রাশিয়ার হিসাবটি বাইরে রাখলে বাকি দেশগুলো ভীষণ বিপাকে রয়েছে বলাই যায়।
মোটাদাগে গোটা ইউরোপ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। মহাদেশটির মোট জ্বালানি চাহিদার ৭৬ শতাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। গ্যাসের বাইরে জ্বালানি তেল ৩১ শতাংশ ও কয়লা ১১ শতাংশ। এর বাইরে বায়ুকল, সোলার, বায়োফুয়েল, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান ১৪ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে।
এ অবস্থায় রাশিয়ার গ্যাস অনিশ্চিত হওয়ায় ইউরোপকে এখন হন্যে হয়ে বিকল্প উৎস খুঁজতে হচ্ছে। জার্মানি ধীরে ধীরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটি এখন সাময়িকভাবে সেই পরিকল্পনা স্থগিত করেছে। শুধু জার্মানি নয়, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট এই সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে কয়েক শ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি মোকাবিলা করাই এই তহবিলের মূল লক্ষ্য।
আল-জাজিরা জানায়, জার্মানি স্থানীয় সময় গত রোববার ৬৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় এই তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। একই রকম উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বাসা-বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বর্তমান সীমায় স্থির রাখার একটি পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং এর ফল হিসেবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীসহ নাগরিকদের সহায়তার লক্ষ্যে ইতালিও ১৭ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে। একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোটা ইউরোপকে বিকল্প জ্বালানি উৎস, বিশেষত নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর ৯ হাজার ১১৯ টির বেশি বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এত নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের আর কোনো দেশের ওপর আরোপিত হয়নি। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ লাইন নর্ড স্ট্রিম-১ এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। এ কারণে এই পাইপলাইন দিয়ে আগের হা গ্যাস সরবরাহ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও ইউরোপ বলছে, রাশিয়া এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইউরোপের কাছে আসন্ন শীত ক্রমেই দুর্ভাবনা থেকে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠছে। কপাল কুঁচকে বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা একটা কোনো উপায় খুঁজছেন। কারণ, রাশিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছে—আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তারপর গ্যাস সরবরাহ। অথচ ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশই রাশিয়া থেকে আসা গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, ২০২১ সালেও ইউরোপের মোট জ্বালানি চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ ছিল গ্যাসনির্ভর। আর এই গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ইউরোপ তাকিয়ে থাকে রাশিয়ার দিকে।
এত দিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ সব হিসাব পাল্টে দিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর ইউরোপ এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আর রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ইউরোপের ওপর পাল্টা চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর প্রভাব পড়েছে অন্য জ্বালানির ওপরও। বিশেষত জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই বাড়ছে।
সামনে শীত। ইউরোপ নিজেকে উষ্ণ রাখতে হলে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ ছাড়া উপায় নেই। অথচ রাশিয়ার এক কথা—আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে ইউরোপের পরিস্থিতি এমনই যে, গ্যাস সরবরাহ আগের অবস্থায় না ফিরলে এমনকি বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হবে। ফলে শীতের সেই সময়ে শুধু তাপ নয়, আলো নিয়ে টানাটানি পড়ে যেতে পারে।
আল-জাজিরা জানাচ্ছে, ইউরোপ বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহন ও তাপ উৎপাদনের জন্য ভীষণভাবে গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ২০২১ সালে মোট জ্বালানি চাহিদার ৩৪ শতাংশই তারা মিটিয়েছে গ্যাস দিয়ে। ইউরোপের মধ্যে বেলারুশ আবার সবচেয়ে বেশি গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির মোট জ্বালানি চাহিদার ৬২ শতাংশই গ্যাসনির্ভর। এরপরই আছে রাশিয়া, ৫৪ শতাংশ, ইতালি ৪২, যুক্তরাজ্য ৪০ ও হাঙ্গেরি ৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে উৎপাদক ও সরবরাহকারী দেশ হিসেবে রাশিয়ার হিসাবটি বাইরে রাখলে বাকি দেশগুলো ভীষণ বিপাকে রয়েছে বলাই যায়।
মোটাদাগে গোটা ইউরোপ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। মহাদেশটির মোট জ্বালানি চাহিদার ৭৬ শতাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। গ্যাসের বাইরে জ্বালানি তেল ৩১ শতাংশ ও কয়লা ১১ শতাংশ। এর বাইরে বায়ুকল, সোলার, বায়োফুয়েল, জলবিদ্যুৎ ইত্যাদি নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান ১৪ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ আসে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে।
এ অবস্থায় রাশিয়ার গ্যাস অনিশ্চিত হওয়ায় ইউরোপকে এখন হন্যে হয়ে বিকল্প উৎস খুঁজতে হচ্ছে। জার্মানি ধীরে ধীরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে সরে আসার পরিকল্পনা নিয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটি এখন সাময়িকভাবে সেই পরিকল্পনা স্থগিত করেছে। শুধু জার্মানি নয়, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট এই সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে কয়েক শ কোটি ডলারের জরুরি তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি মোকাবিলা করাই এই তহবিলের মূল লক্ষ্য।
আল-জাজিরা জানায়, জার্মানি স্থানীয় সময় গত রোববার ৬৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠন করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় এই তহবিলের অর্থ ব্যয় করা হবে। একই রকম উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বাসা-বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বর্তমান সীমায় স্থির রাখার একটি পরিকল্পনা তিনি নিয়েছেন। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং এর ফল হিসেবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীসহ নাগরিকদের সহায়তার লক্ষ্যে ইতালিও ১৭ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে। একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোটা ইউরোপকে বিকল্প জ্বালানি উৎস, বিশেষত নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর ৯ হাজার ১১৯ টির বেশি বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এত নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের আর কোনো দেশের ওপর আরোপিত হয়নি। রাশিয়া বলছে, এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ লাইন নর্ড স্ট্রিম-১ এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না। এ কারণে এই পাইপলাইন দিয়ে আগের হা গ্যাস সরবরাহ তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও ইউরোপ বলছে, রাশিয়া এই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
আন্দিজ পর্বতের প্রায় ৩ হাজার মিটার উচ্চতায় বিস্তৃত ইকুয়েডরের মাকিজো দেল কাআস অঞ্চলটি একটি বিশেষ ধরনের পরিবেশ—যাকে বলা হয় প্যারামো। প্রাকৃতিক স্পঞ্জের মতো কাজ করে এই অঞ্চলটি। মেঘ থেকে টেনে আনে আর্দ্রতা, আর জল জোগায় ছয়টি বড় নদীকে।
৩১ মিনিট আগেট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টে লিখেছেন, ‘ভারত শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেলই কিনছে না, তারা সেই তেলের বড় অংশ খোলাবাজারে বিক্রি করে বড় লাভ করছে। ইউক্রেনে রুশ যুদ্ধ যন্ত্রের কারণে কত মানুষ মারা যাচ্ছে, তা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।’
২ ঘণ্টা আগেসীমান্ত এলাকায় স্থাপন করা উত্তর কোরিয়া বিরোধী প্রচারে ব্যবহৃত লাউডস্পিকারগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লি কিয়ং-হো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আজ থেকেই দেশটির সামরিক বাহিনী লাউডস্পিকার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি এক অবৈধ বসতি স্থাপনকারীর গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনি শিক্ষক ও অধিকারকর্মী আওদাহ হাতালিনের মৃতদেহ ফেরতের দাবিতে অনশন করছেন ৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নারী। পশ্চিম তীরের হেবরনের দক্ষিণের গ্রাম উম আল-খাইরে এই অনশন শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
৩ ঘণ্টা আগে