Ajker Patrika

এবার ইউক্রেনে বিধ্বস্ত হলো ফ্রান্সের মিরাজ যুদ্ধবিমান

অনলাইন ডেস্ক
কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ২০২৫ সালের শুরুতে ইউক্রেনকে মিরাজ যুদ্ধবিমান সরবরাহ শুরু করে ফ্রান্স। ছবি: এএএফপি
কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে ২০২৫ সালের শুরুতে ইউক্রেনকে মিরাজ যুদ্ধবিমান সরবরাহ শুরু করে ফ্রান্স। ছবি: এএএফপি

ইউক্রেনে ফ্রান্সের দেওয়া একটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উড়োজাহাজটির পাইলট নিরাপদে ইজেক্ট করেছেন বলেও জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটেছে।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উড়োজাহাজটিতে ত্রুটি টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ফ্লাইট ডিরেক্টরকে তা অবগত করেন পাইলট। সংকটময় পরিস্থিতি অনুযায়ী যে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা, তা তিনি নিয়েছেন। এবং নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন। উদ্ধারকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করেছে। এবং পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।’

ঘটনার একদিন পর আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকালে এ নিয়ে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনার সঙ্গে রাশিয়ার কোনো যোগসাজশ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা আমাদের অত্যন্ত সক্রিয় ও প্রয়োজনীয় একটি যুদ্ধবিমান হারালাম। এটি ছিল ফরাসি মিরাজ ২০০০-৫।’

এই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়াকে ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর সক্ষমতার জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সের কাছ থেকে মিরাজ ২০০০-৫ যুদ্ধবিমান গ্রহণ শুরু করেছিল ফ্রান্স। এর আগে গত বছর জুনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ঘোষণা দেন, ইউক্রেনকে মিরাজ সরবরাহের পাশাপাশি ইউক্রেনীয় পাইলটদের ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। লক্ষ্য ছিল—এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউক্রেন যেন পরবর্তী ধাপে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত এফ-১৬ পরিচালনায় সক্ষম হয়।

এক ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বহুমুখী যুদ্ধবিমানটি ১৯৭০-এর দশকে ফরাসি বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়। নকশার দিক থেকে এটি মার্কিন এফ-১৬-এর সঙ্গে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ।

এর আগে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফাল বিধ্বস্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ফ্রান্স।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত