আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো শত্রু মনে করে।
প্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজান ও তুরস্কের মাঝে অবস্থিত আর্মেনিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজানের সঙ্গে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত। আর্মেনিয়ার পশ্চিম প্রতিবেশী তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। আজারবাইজান যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, সেখানে আর্মেনিয়ার সিংহভাগ মানুষ খ্রিষ্টান।
ইউক্রেনের সঙ্গে তিন বছরের যুদ্ধের কারণে রাশিয়া তার আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। প্রথমে রাশিয়া সিরিয়ায় মিত্র হারিয়েছে। দেশটিতে বাশার আল-আসাদের শাসন পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত বিদ্রোহীদের সৃষ্ট গৃহযুদ্ধে ভেঙে পড়েছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করেছেন। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি গোষ্ঠীটির সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের পতন ঘটান। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র সৌদি আরবও বাশার আল-আসাদের পতনে অংশ নেয়। আসাদ পরিবার পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছে। এই দেশটি মস্কোর জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি ছিল।
সিরিয়ার পর রাশিয়া এখন আর্মেনিয়াতেও বাধা পাচ্ছে। দেশটি এখন আর্মেনিয়ার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে পারছে না। এমনকি আর্মেনিয়া যেসব অস্ত্রের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে, সেগুলোও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এর ফলে ইয়েরেভান অন্যান্য বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্মেনিয়া বেশির ভাগ অস্ত্র কেনার জন্য ফ্রান্স ও ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সরবরাহ রাশিয়ার অনুমোদন পেলেও, আর্মেনিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক মস্কোর জন্য একটি অশনিসংকেত। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত বুধবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মির্জোয়ানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি মস্কোর পক্ষ থেকে চুক্তি বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করেন। লাভরভ বলেন, কিছু আদেশ বাতিলও করা হয়েছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সম্মিলিত পশ্চিমাদের সঙ্গে ‘অস্তিত্বের লড়াইকে’ দায়ী করেন।
লাভরভ বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে অতীতের মতো আমাদের পুরো ইউরোপের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।’ তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘নাৎসি স্লোগান’ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর্মেনীয় বন্ধুরা বোঝেন যে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা সময় মতো আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারি না।’
ফ্রান্সের সঙ্গে আর্মেনিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক করে লাভরভ বলেন, মস্কো ইয়েরেভানের অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কেনার বিরোধিতা না করলেও, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ বাড়ছে আর্মেনিয়ার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে।
লাভরভ বলেন, ‘যখন কোনো মিত্র দেশ শত্রু শিবিরের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সের মতো একটি দেশের দিকে ঝুঁকে তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’ এ সময় লাভরভ আরও বলেন, ফ্রান্সের ‘প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীরা রাশিয়ার প্রতি খোলাখুলি ঘৃণা প্রকাশ করেন’ এবং তাই যখন কোনো মিত্র দেশ তাদের প্রতি ঝুঁকে যায়, ‘তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’
লাভরভের এই মন্তব্য কেবল মস্কোর অস্ত্র সরবরাহের অক্ষমতার কারণেই নয়, বরং ইয়েরেভানের সঙ্গে তার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হওয়ার কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার মিত্র রয়ে গেছে, তবে সম্মিলিত পশ্চিমের সঙ্গে ইয়েরেভানের দ্রুত বর্ধনশীল সম্পর্ক মস্কোর জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্মেনিয়া রাশিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধেও কাজ করেছে। দেশটি কার্যকরভাবে যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থায় (সিএসটিও) অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। এই জোট রাশিয়ার নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা চুক্তি। এ ছাড়া, কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার সমর্থনের অভাবের কারণেও আর্মেনিয়া ক্ষুব্ধ। ইয়েরেভান মস্কোর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আজারবাইজানের আকস্মিক সামরিক অভিযান এবং ২০২৩ সালে অঞ্চলটি দখল করার পর কারাবাখ থেকে পালিয়ে আসা ১ লাখেরও বেশি জাতিগত আর্মেনীয়দের রক্ষা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো শত্রু মনে করে।
প্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজান ও তুরস্কের মাঝে অবস্থিত আর্মেনিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজানের সঙ্গে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত। আর্মেনিয়ার পশ্চিম প্রতিবেশী তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। আজারবাইজান যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, সেখানে আর্মেনিয়ার সিংহভাগ মানুষ খ্রিষ্টান।
ইউক্রেনের সঙ্গে তিন বছরের যুদ্ধের কারণে রাশিয়া তার আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। প্রথমে রাশিয়া সিরিয়ায় মিত্র হারিয়েছে। দেশটিতে বাশার আল-আসাদের শাসন পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত বিদ্রোহীদের সৃষ্ট গৃহযুদ্ধে ভেঙে পড়েছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করেছেন। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি গোষ্ঠীটির সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের পতন ঘটান। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র সৌদি আরবও বাশার আল-আসাদের পতনে অংশ নেয়। আসাদ পরিবার পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছে। এই দেশটি মস্কোর জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি ছিল।
সিরিয়ার পর রাশিয়া এখন আর্মেনিয়াতেও বাধা পাচ্ছে। দেশটি এখন আর্মেনিয়ার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে পারছে না। এমনকি আর্মেনিয়া যেসব অস্ত্রের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে, সেগুলোও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এর ফলে ইয়েরেভান অন্যান্য বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্মেনিয়া বেশির ভাগ অস্ত্র কেনার জন্য ফ্রান্স ও ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সরবরাহ রাশিয়ার অনুমোদন পেলেও, আর্মেনিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক মস্কোর জন্য একটি অশনিসংকেত। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত বুধবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মির্জোয়ানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি মস্কোর পক্ষ থেকে চুক্তি বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করেন। লাভরভ বলেন, কিছু আদেশ বাতিলও করা হয়েছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সম্মিলিত পশ্চিমাদের সঙ্গে ‘অস্তিত্বের লড়াইকে’ দায়ী করেন।
লাভরভ বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে অতীতের মতো আমাদের পুরো ইউরোপের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।’ তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘নাৎসি স্লোগান’ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর্মেনীয় বন্ধুরা বোঝেন যে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা সময় মতো আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারি না।’
ফ্রান্সের সঙ্গে আর্মেনিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক করে লাভরভ বলেন, মস্কো ইয়েরেভানের অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কেনার বিরোধিতা না করলেও, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ বাড়ছে আর্মেনিয়ার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে।
লাভরভ বলেন, ‘যখন কোনো মিত্র দেশ শত্রু শিবিরের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সের মতো একটি দেশের দিকে ঝুঁকে তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’ এ সময় লাভরভ আরও বলেন, ফ্রান্সের ‘প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীরা রাশিয়ার প্রতি খোলাখুলি ঘৃণা প্রকাশ করেন’ এবং তাই যখন কোনো মিত্র দেশ তাদের প্রতি ঝুঁকে যায়, ‘তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’
লাভরভের এই মন্তব্য কেবল মস্কোর অস্ত্র সরবরাহের অক্ষমতার কারণেই নয়, বরং ইয়েরেভানের সঙ্গে তার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হওয়ার কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার মিত্র রয়ে গেছে, তবে সম্মিলিত পশ্চিমের সঙ্গে ইয়েরেভানের দ্রুত বর্ধনশীল সম্পর্ক মস্কোর জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্মেনিয়া রাশিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধেও কাজ করেছে। দেশটি কার্যকরভাবে যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থায় (সিএসটিও) অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। এই জোট রাশিয়ার নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা চুক্তি। এ ছাড়া, কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার সমর্থনের অভাবের কারণেও আর্মেনিয়া ক্ষুব্ধ। ইয়েরেভান মস্কোর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আজারবাইজানের আকস্মিক সামরিক অভিযান এবং ২০২৩ সালে অঞ্চলটি দখল করার পর কারাবাখ থেকে পালিয়ে আসা ১ লাখেরও বেশি জাতিগত আর্মেনীয়দের রক্ষা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো শত্রু মনে করে।
প্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজান ও তুরস্কের মাঝে অবস্থিত আর্মেনিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজানের সঙ্গে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত। আর্মেনিয়ার পশ্চিম প্রতিবেশী তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। আজারবাইজান যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, সেখানে আর্মেনিয়ার সিংহভাগ মানুষ খ্রিষ্টান।
ইউক্রেনের সঙ্গে তিন বছরের যুদ্ধের কারণে রাশিয়া তার আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। প্রথমে রাশিয়া সিরিয়ায় মিত্র হারিয়েছে। দেশটিতে বাশার আল-আসাদের শাসন পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত বিদ্রোহীদের সৃষ্ট গৃহযুদ্ধে ভেঙে পড়েছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করেছেন। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি গোষ্ঠীটির সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের পতন ঘটান। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র সৌদি আরবও বাশার আল-আসাদের পতনে অংশ নেয়। আসাদ পরিবার পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছে। এই দেশটি মস্কোর জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি ছিল।
সিরিয়ার পর রাশিয়া এখন আর্মেনিয়াতেও বাধা পাচ্ছে। দেশটি এখন আর্মেনিয়ার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে পারছে না। এমনকি আর্মেনিয়া যেসব অস্ত্রের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে, সেগুলোও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এর ফলে ইয়েরেভান অন্যান্য বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্মেনিয়া বেশির ভাগ অস্ত্র কেনার জন্য ফ্রান্স ও ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সরবরাহ রাশিয়ার অনুমোদন পেলেও, আর্মেনিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক মস্কোর জন্য একটি অশনিসংকেত। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত বুধবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মির্জোয়ানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি মস্কোর পক্ষ থেকে চুক্তি বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করেন। লাভরভ বলেন, কিছু আদেশ বাতিলও করা হয়েছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সম্মিলিত পশ্চিমাদের সঙ্গে ‘অস্তিত্বের লড়াইকে’ দায়ী করেন।
লাভরভ বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে অতীতের মতো আমাদের পুরো ইউরোপের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।’ তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘নাৎসি স্লোগান’ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর্মেনীয় বন্ধুরা বোঝেন যে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা সময় মতো আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারি না।’
ফ্রান্সের সঙ্গে আর্মেনিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক করে লাভরভ বলেন, মস্কো ইয়েরেভানের অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কেনার বিরোধিতা না করলেও, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ বাড়ছে আর্মেনিয়ার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে।
লাভরভ বলেন, ‘যখন কোনো মিত্র দেশ শত্রু শিবিরের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সের মতো একটি দেশের দিকে ঝুঁকে তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’ এ সময় লাভরভ আরও বলেন, ফ্রান্সের ‘প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীরা রাশিয়ার প্রতি খোলাখুলি ঘৃণা প্রকাশ করেন’ এবং তাই যখন কোনো মিত্র দেশ তাদের প্রতি ঝুঁকে যায়, ‘তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’
লাভরভের এই মন্তব্য কেবল মস্কোর অস্ত্র সরবরাহের অক্ষমতার কারণেই নয়, বরং ইয়েরেভানের সঙ্গে তার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হওয়ার কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার মিত্র রয়ে গেছে, তবে সম্মিলিত পশ্চিমের সঙ্গে ইয়েরেভানের দ্রুত বর্ধনশীল সম্পর্ক মস্কোর জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্মেনিয়া রাশিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধেও কাজ করেছে। দেশটি কার্যকরভাবে যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থায় (সিএসটিও) অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। এই জোট রাশিয়ার নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা চুক্তি। এ ছাড়া, কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার সমর্থনের অভাবের কারণেও আর্মেনিয়া ক্ষুব্ধ। ইয়েরেভান মস্কোর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আজারবাইজানের আকস্মিক সামরিক অভিযান এবং ২০২৩ সালে অঞ্চলটি দখল করার পর কারাবাখ থেকে পালিয়ে আসা ১ লাখেরও বেশি জাতিগত আর্মেনীয়দের রক্ষা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো শত্রু মনে করে।
প্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজান ও তুরস্কের মাঝে অবস্থিত আর্মেনিয়া বিগত কয়েক দশক ধরে অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। দেশটি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আজারবাইজানের সঙ্গে নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে সংঘাতে লিপ্ত। আর্মেনিয়ার পশ্চিম প্রতিবেশী তুরস্ক আজারবাইজানকে সমর্থন দেয়। আজারবাইজান যেখানে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, সেখানে আর্মেনিয়ার সিংহভাগ মানুষ খ্রিষ্টান।
ইউক্রেনের সঙ্গে তিন বছরের যুদ্ধের কারণে রাশিয়া তার আঞ্চলিক মিত্রদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। প্রথমে রাশিয়া সিরিয়ায় মিত্র হারিয়েছে। দেশটিতে বাশার আল-আসাদের শাসন পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত বিদ্রোহীদের সৃষ্ট গৃহযুদ্ধে ভেঙে পড়েছে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করেছেন। সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আল-কায়েদার সম্পর্ক ছিল। পরে তিনি গোষ্ঠীটির সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসাদের পতন ঘটান। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র সৌদি আরবও বাশার আল-আসাদের পতনে অংশ নেয়। আসাদ পরিবার পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছে। এই দেশটি মস্কোর জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি ছিল।
সিরিয়ার পর রাশিয়া এখন আর্মেনিয়াতেও বাধা পাচ্ছে। দেশটি এখন আর্মেনিয়ার নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে পারছে না। এমনকি আর্মেনিয়া যেসব অস্ত্রের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে, সেগুলোও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। এর ফলে ইয়েরেভান অন্যান্য বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আর্মেনিয়া বেশির ভাগ অস্ত্র কেনার জন্য ফ্রান্স ও ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। ভারতের মতো দেশের কাছ থেকে সরবরাহ রাশিয়ার অনুমোদন পেলেও, আর্মেনিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক মস্কোর জন্য একটি অশনিসংকেত। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত বুধবার আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরারাত মির্জোয়ানের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি মস্কোর পক্ষ থেকে চুক্তি বিলম্বের বিষয়টি স্বীকার করেন। লাভরভ বলেন, কিছু আদেশ বাতিলও করা হয়েছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সম্মিলিত পশ্চিমাদের সঙ্গে ‘অস্তিত্বের লড়াইকে’ দায়ী করেন।
লাভরভ বলেন, ‘আমরা বর্তমানে এমন এক পরিস্থিতিতে রয়েছি, যেখানে অতীতের মতো আমাদের পুরো ইউরোপের সঙ্গে লড়াই করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।’ তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘নাৎসি স্লোগান’ ব্যবহার করে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর্মেনীয় বন্ধুরা বোঝেন যে, এমন পরিস্থিতিতে আমরা সময় মতো আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে পারি না।’
ফ্রান্সের সঙ্গে আর্মেনিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক করে লাভরভ বলেন, মস্কো ইয়েরেভানের অন্য দেশ থেকে অস্ত্র কেনার বিরোধিতা না করলেও, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর তাদের নির্ভরতা নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ বাড়ছে আর্মেনিয়ার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে।
লাভরভ বলেন, ‘যখন কোনো মিত্র দেশ শত্রু শিবিরের নেতৃত্ব দেওয়া ফ্রান্সের মতো একটি দেশের দিকে ঝুঁকে তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’ এ সময় লাভরভ আরও বলেন, ফ্রান্সের ‘প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীরা রাশিয়ার প্রতি খোলাখুলি ঘৃণা প্রকাশ করেন’ এবং তাই যখন কোনো মিত্র দেশ তাদের প্রতি ঝুঁকে যায়, ‘তখন তা প্রশ্ন তৈরি করে।’
লাভরভের এই মন্তব্য কেবল মস্কোর অস্ত্র সরবরাহের অক্ষমতার কারণেই নয়, বরং ইয়েরেভানের সঙ্গে তার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হওয়ার কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার মিত্র রয়ে গেছে, তবে সম্মিলিত পশ্চিমের সঙ্গে ইয়েরেভানের দ্রুত বর্ধনশীল সম্পর্ক মস্কোর জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আর্মেনিয়া রাশিয়ার স্বার্থের বিরুদ্ধেও কাজ করেছে। দেশটি কার্যকরভাবে যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থায় (সিএসটিও) অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। এই জোট রাশিয়ার নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা চুক্তি। এ ছাড়া, কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার সমর্থনের অভাবের কারণেও আর্মেনিয়া ক্ষুব্ধ। ইয়েরেভান মস্কোর শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে, আজারবাইজানের আকস্মিক সামরিক অভিযান এবং ২০২৩ সালে অঞ্চলটি দখল করার পর কারাবাখ থেকে পালিয়ে আসা ১ লাখেরও বেশি জাতিগত আর্মেনীয়দের রক্ষা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগে
আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর-ডানপন্থি শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশিরভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’
৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উস্কানিমূলক ভাষার উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’
জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।
ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলিতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ঐ কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর-ডানপন্থিদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেনসহ দেশগুলি অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।
তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ঙ্কর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের উপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’
ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, "এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।"
ইউক্রেনে নির্বাচন মার্চ ২০২৪-এ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
শীর্ষ মার্কিন আলোচকরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সাথে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে কয়েকদিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর-ডানপন্থি শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশিরভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’
৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উস্কানিমূলক ভাষার উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’
জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।
ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলিতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ঐ কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর-ডানপন্থিদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেনসহ দেশগুলি অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।
তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ঙ্কর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের উপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’
ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, "এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।"
ইউক্রেনে নির্বাচন মার্চ ২০২৪-এ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
শীর্ষ মার্কিন আলোচকরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সাথে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে কয়েকদিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো...
২২ মে ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগে
আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় নেতারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ইউরোপ শুধু কথা বলে কিন্তু বাস্তব ফল আনতে পারে না।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিচ্ছে যতক্ষণ না তারা ভেঙে পড়ে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লন্ডন জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ বাড়ান এবং তাঁকে চুক্তিতে আসতে বলেন। এই চুক্তিতে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো ভূমি ছাড়বে না। শিগগিরই ইউরোপের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উপস্থাপন করবেন।
জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ মিলে যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব দিক নিয়ে কাজ করছে এবং এই পরিকল্পনা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, মতাদর্শগত বিভাজন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে দুর্বল করছে। তাঁর মতে, অনেক ইউরোপীয় নেতা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হবে তা জানেন না এবং অতিরিক্ত ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার’ মধ্যে আটকে আছেন।
ট্রাম্পের এই সমালোচনা ঠিক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সদ্য প্রকাশ করেছে ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। রাশিয়া এই কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মন্তব্য করেছেন, কৌশলটির কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য অংশগুলো ইউরোপ প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর মতে, ইউরোপের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব ইউরোপেরই।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় নেতারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ইউরোপ শুধু কথা বলে কিন্তু বাস্তব ফল আনতে পারে না।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিচ্ছে যতক্ষণ না তারা ভেঙে পড়ে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লন্ডন জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ বাড়ান এবং তাঁকে চুক্তিতে আসতে বলেন। এই চুক্তিতে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো ভূমি ছাড়বে না। শিগগিরই ইউরোপের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উপস্থাপন করবেন।
জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ মিলে যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব দিক নিয়ে কাজ করছে এবং এই পরিকল্পনা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, মতাদর্শগত বিভাজন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে দুর্বল করছে। তাঁর মতে, অনেক ইউরোপীয় নেতা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হবে তা জানেন না এবং অতিরিক্ত ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার’ মধ্যে আটকে আছেন।
ট্রাম্পের এই সমালোচনা ঠিক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সদ্য প্রকাশ করেছে ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। রাশিয়া এই কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মন্তব্য করেছেন, কৌশলটির কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য অংশগুলো ইউরোপ প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর মতে, ইউরোপের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব ইউরোপেরই।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো...
২২ মে ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২৪ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগে
আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।
মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’
ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।
অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।
মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’
ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।
অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো...
২২ মে ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় জাতি—এ কথা উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) গার্ড অব অনারের পর সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, তবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি বা চ্যালেঞ্জ বরদাশত করা হবে না।
চলতি বছরের ৭ মে ভারত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান চালায়। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘জঙ্গি অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে।
এই অভিযানের পর দুই দেশের মধ্যে চার দিনের তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১০ মে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। পাকিস্তান এ সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেয়। তবে ভারত বলে, এখানে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা ছিল না।
ফিল্ড মার্শাল মুনির তাঁর ভাষণে পুনরায় বলেন, পাকিস্তান শান্তিকামী হলেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
আফগানিস্তানকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে আসিম মুনির বলেন, কাবুলের তালেবান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তালেবানদের এখন বেছে নিতে হবে—ফিতনা আল-খাওয়ারিজ (টিটিপি) নাকি পাকিস্তান।
গত বছর পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এ ছাড়া বেলুচিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তারা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করে থাকে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, মূলত ভারতের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বোঝাতেই এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিফেন্স ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাকাঠামোর একটি মৌলিক পরিবর্তনের প্রতীক। তিনি বলেন, বর্ধিত ও পরিবর্তনশীল হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিন বাহিনীর সমন্বিত নেতৃত্বে বহুমাত্রিক সামরিক সক্ষমতা আরও উন্নত করা জরুরি। প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও প্রস্তুতি বজায় রাখবে আর সিডিএফ সদর দপ্তর তিন বাহিনীর যৌথ অভিযান সমন্বয় করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দু, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ ও তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
গত সপ্তাহে পাঁচ বছরের মেয়াদে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগসংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে পাকিস্তান সরকার। তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্বও একযোগে পালন করবেন।
সিডিএফ পদটি গঠিত হয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সংশোধনী বিল, ২০২৫-এর ভিত্তিতে।

পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় জাতি—এ কথা উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) গার্ড অব অনারের পর সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, তবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি বা চ্যালেঞ্জ বরদাশত করা হবে না।
চলতি বছরের ৭ মে ভারত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান চালায়। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘জঙ্গি অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে।
এই অভিযানের পর দুই দেশের মধ্যে চার দিনের তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১০ মে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। পাকিস্তান এ সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেয়। তবে ভারত বলে, এখানে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা ছিল না।
ফিল্ড মার্শাল মুনির তাঁর ভাষণে পুনরায় বলেন, পাকিস্তান শান্তিকামী হলেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।
আফগানিস্তানকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে আসিম মুনির বলেন, কাবুলের তালেবান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তালেবানদের এখন বেছে নিতে হবে—ফিতনা আল-খাওয়ারিজ (টিটিপি) নাকি পাকিস্তান।
গত বছর পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এ ছাড়া বেলুচিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তারা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করে থাকে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, মূলত ভারতের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বোঝাতেই এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিফেন্স ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাকাঠামোর একটি মৌলিক পরিবর্তনের প্রতীক। তিনি বলেন, বর্ধিত ও পরিবর্তনশীল হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিন বাহিনীর সমন্বিত নেতৃত্বে বহুমাত্রিক সামরিক সক্ষমতা আরও উন্নত করা জরুরি। প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও প্রস্তুতি বজায় রাখবে আর সিডিএফ সদর দপ্তর তিন বাহিনীর যৌথ অভিযান সমন্বয় করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দু, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ ও তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
গত সপ্তাহে পাঁচ বছরের মেয়াদে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগসংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে পাকিস্তান সরকার। তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্বও একযোগে পালন করবেন।
সিডিএফ পদটি গঠিত হয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সংশোধনী বিল, ২০২৫-এর ভিত্তিতে।

দীর্ঘদিনের সাবেক সোভিয়েত মিত্র আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে চিড় ধরছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কো আর্মেনিয়াকে দেওয়া বেশ কিছু প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি। রাশিয়া এই বিষয়টি স্বীকার করলেও, মস্কো ইয়েরেভানকে (আর্মেনিয়ার রাজধানী) এমন দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সতর্ক করেছে যাদের মস্কো...
২২ মে ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
২৪ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগে