Ajker Patrika

৫০ বছর পর থাকবে না ইউক্রেন, বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন সাংবাদিক 

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

প্রখ্যাত মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন বিশ্বাসঘাতকতা আর কোনো দেশই করেনি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ভূমি বিক্রি করে এবং তৃতীয় বিশ্বের অভিবাসীদের নিয়ে ভরে ফেলে দেশটিকে ধ্বংস করে দেবে। তিনি বলেছেন, আর ৫০ বছর পর ইউক্রেনের অস্তিত্বই থাকবে না। 

গত শুক্রবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে টাকার কার্লসন এই ভবিষ্যদ্বাণী করেন। এই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি টাকার কার্লসনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয় গত শুক্রবারই। 

সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও টাকার কার্লসন উভয়ই একমত হন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্বকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। এ সময় তাঁরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই রাশিয়ার সঙ্গে একটি যুদ্ধে জড়িত আছে। 

ট্রাম্প জুনিয়র বলেছেন, ‘ইউক্রেনে বিজয় কেমন তার প্রকৃতি কেউই স্পষ্ট করেনি। আমি জানি না, এর মানে কি।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘এটা কি ইউক্রেনীয় ও রুশদের চিরস্থায়ী মৃত্যুর মতো যতক্ষণ না তারা সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি ব্ল্যাকরক সেখানে গিয়ে সব কৃষিজমি দখল করে না নেয়? আমার কাছে এটাই মনে হয়।’ 

ব্ল্যাকরক বিশ্বের বৃহত্তম বিনিয়োগ কোম্পানি এবং এর মূলধন প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার। এই কোম্পানিটি ইউক্রেনের সার্বভৌম বন্ডের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালে কিয়েভের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে, যার আওতায় এটি ইউক্রেনের সংঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের প্রধান ব্রায়ান ডিজসহ ব্ল্যাকরকের বেশ কয়েকজন সাবেক চাকরিজীবী বাইডেন প্রশাসনে কাজ করেন। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ২০২০ সালে ভূমি সংস্কারের একটি বিতর্কিত আইনে চালু করেন। এরপর থেকেই এনসিএইচ ক্যাপিটাল, বিএনপি এবং ভ্যানগার্ড গ্রুপের মতো বেশ কয়েকটি বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থা ইউক্রেনের আবাদযোগ্য জমি লিজ নেওয়া শুরু করে। সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, এই কোম্পানিগুলো আবাদযোগ্য জমির প্রায় ২৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে উঠে এসেছে আমেরিকার ওকল্যান্ড ইনস্টিটিউটের গবেষণায়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শেই জেলেনস্কি এই কাজ করেছিলেন। 

এ প্রসঙ্গে টাকার কার্লসন বলেন, ‘তাঁরা (ইউক্রেনের নেতারা) এরই মধ্যে ইউক্রেনের জমিগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করা শুরু করেছে এবং তারা (কোম্পানিগুলো) তৃতীয় বিশ্বের অভিবাসীদের দিয়ে ইউক্রেন ভরিয়ে ফেলবে এবং আগামী ৫০ বছর পর ইউক্রেনের অস্তিত্ব আর থাকবে না। কোনো ইউক্রেনীয় জাতিই থাকবে না। আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি যেমনটি অন্য কোনো দেশই আর কখনো করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত