অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মা বলেছেন, তাকে ছেলের মরদেহ দেখতে দেওয়া হয়েছে। তবে গোপনে দাফন করার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাপ প্রয়োগ করেছে বলেও জানান নাভালনির মা লিউডমিলা নাভালনায়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় নাভালনায়া বলেন, নাভালনিকে যে মর্গে রাখা হয়েছে সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ছেলের মৃত্যু সনদেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন। সেই মৃত্যু সনদে নাভালনির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে উল্লেখ ছিল। তবে নাভালনির স্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
লিউডমিলা নাভালনায়া বলেন, আইন অনুযায়ী নাভালনির মরদেহ তার কাছে হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ তা না করে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেছে। মরদেহ দেখতে দেওয়ার সুযোগ দিলেও দাফনের জন্য কয়েকটি শর্ত বেধে দিয়েছে। কোথায়, কখন, কীভাবে দাফন করা হয়েছে সেটাও বলে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
নাভালনির মা বলেন, ‘তারা আমাকে একটি তাজা কবরে নিয়ে গিয়ে বলতে চায়, এখানেই শুয়ে আছে আপনার ছেলে।’
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছয় দিন আগে উত্তর রাশিয়ার সালেখার্ড শহরের পেনাল কলোনিতে যান লিউডমিলা নাভালনায়া। সেখানে নাভালনির মরদেহ তাঁকে দেওয়া হয়নি। এরপর গত মঙ্গলবার ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে তিনি ছেলেকে দাফনের অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার লিউডমিলা নাভালনায়া বলেন, রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে যে, আমি যদি গোপনে দাফন করতে রাজি না হই তবে তারা আমার ছেলের লাশ নিয়ে কিছু একটা করে ফেলবে। আর তদন্তকারীরা এটাও বলেছে যে, সময় আমার পক্ষে নেই, মৃতদেহ পচে যাচ্ছে।’
লিউডমিলা নাভালনায়া তার প্রয়াত ছেলের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন। তার ছেলের মরদেহ যেন তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এই আবেদন রেখে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
গত শুক্রবার সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন নাভালনি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নাভালনির মা এবং আইনজীবী যান সেখানে। কিন্তু নাভালনির মরদেহের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এরপরই অভিযোগ ওঠে, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী বলে পরিচিত নোভায়া গেজেটা নামক গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্যারামেডিক বলেছেন যে, নাভালনির লাশ সালেখার্ড অঞ্চলের ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। লাশের মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টরবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মা বলেছেন, তাকে ছেলের মরদেহ দেখতে দেওয়া হয়েছে। তবে গোপনে দাফন করার জন্য রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাপ প্রয়োগ করেছে বলেও জানান নাভালনির মা লিউডমিলা নাভালনায়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
এক ভিডিও বার্তায় নাভালনায়া বলেন, নাভালনিকে যে মর্গে রাখা হয়েছে সেখানে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ছেলের মৃত্যু সনদেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন। সেই মৃত্যু সনদে নাভালনির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে উল্লেখ ছিল। তবে নাভালনির স্ত্রী দাবি করেছিলেন যে, তার স্বামীকে হত্যা করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
লিউডমিলা নাভালনায়া বলেন, আইন অনুযায়ী নাভালনির মরদেহ তার কাছে হস্তান্তর করার কথা। কিন্তু রুশ কর্তৃপক্ষ তা না করে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করেছে। মরদেহ দেখতে দেওয়ার সুযোগ দিলেও দাফনের জন্য কয়েকটি শর্ত বেধে দিয়েছে। কোথায়, কখন, কীভাবে দাফন করা হয়েছে সেটাও বলে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
নাভালনির মা বলেন, ‘তারা আমাকে একটি তাজা কবরে নিয়ে গিয়ে বলতে চায়, এখানেই শুয়ে আছে আপনার ছেলে।’
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছয় দিন আগে উত্তর রাশিয়ার সালেখার্ড শহরের পেনাল কলোনিতে যান লিউডমিলা নাভালনায়া। সেখানে নাভালনির মরদেহ তাঁকে দেওয়া হয়নি। এরপর গত মঙ্গলবার ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে তিনি ছেলেকে দাফনের অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার লিউডমিলা নাভালনায়া বলেন, রুশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘তারা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে যে, আমি যদি গোপনে দাফন করতে রাজি না হই তবে তারা আমার ছেলের লাশ নিয়ে কিছু একটা করে ফেলবে। আর তদন্তকারীরা এটাও বলেছে যে, সময় আমার পক্ষে নেই, মৃতদেহ পচে যাচ্ছে।’
লিউডমিলা নাভালনায়া তার প্রয়াত ছেলের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এসব কথা বলেন। তার ছেলের মরদেহ যেন তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এই আবেদন রেখে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
গত শুক্রবার সাইবেরিয়ান প্রত্যন্ত অঞ্চল ইয়ামালো-নেনেতের আর্কটিক পেনাল কলোনিতে বন্দী অবস্থায় মারা গেছেন নাভালনি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই নাভালনির মা এবং আইনজীবী যান সেখানে। কিন্তু নাভালনির মরদেহের কাছে তাঁদের যেতে দেওয়া হয়নি। এরপরই অভিযোগ ওঠে, নাভালনিকে কীভাবে মারা হয়েছে তা যেন প্রকাশ্যে আসতে না পারে, তা ঠেকাতেই তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী বলে পরিচিত নোভায়া গেজেটা নামক গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্যারামেডিক বলেছেন যে, নাভালনির লাশ সালেখার্ড অঞ্চলের ক্লিনিক্যাল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। লাশের মাথা ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টরবিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন চালিয়েছেন।
অনলাইন প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বুধবার মিয়ানমারের পাঁচটি স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে থাইল্যান্ড। এই প্রতারণা কেন্দ্রগুলো থাইল্যান্ডে ঘুরতে আসা চীনা পর্যটকদের আতঙ্কিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৭ মিনিট আগে৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩৬টি আসন। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত বুথফেরত জরিপে দেখা গেছে, বিজেপি এবারের নির্বাচনে ৪১টি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি ২৮টি ও কংগ্রেস মাত্র একটি আসন পেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেউত্তর ভারতের অমৃতসরে একটি সামরিক বিমানে ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবুধবার দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ইউনেসকোর নেতৃত্বে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের অর্থায়নে ওই স্থাপত্যগুলোর পুনঃ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বলা হচ্ছে—এই উদ্যোগ শুধু ইট-পাথরের পুনর্জন্ম নয়, বরং এটি ধর্মীয় সহাবস্থানের এক নতুন বার্তা বহন করছে।
৩ ঘণ্টা আগে