আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনীয়রা অস্ত্র সমর্পণের পর বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। আজারবাইজানের সেনাসদস্যরা জব্দ করা অস্ত্র নিয়ে অঞ্চলটিতে কুচকাওয়াজ করছেন। বিপরীতে কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক কোনো আশ্রয় ছাড়াই দিনযাপন করছে। জাতিগত আর্মেনীয় নেতারা বলছেন, সহস্রাধিক মানুষ খাবার ও আশ্রয় সংকটে আছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০ টন খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ দিন আগে সামরিক অভিযান চালিয়ে অঞ্চলটি নিজেদের আয়ত্তে আনার পর প্রথমবার সেখানে সহায়তা নিয়ে পৌঁছায় আন্তর্জাতিক রেডক্রসের গাড়িবহর। রাশিয়া বলছে, তারাও ত্রাণ সরবরাহ করেছে। তবে এর পরিমাণ জানা যায়নি। কারাবাখের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে বাস্তুচ্যুত এবং আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কয়েক হাজার মানুষ আজারবাইজানের খানকেন্দি নামে পরিচিত প্রধান শহর স্টেপানাকার্টের বিমানবন্দরের কাছে তাঁবু করে বা খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে।
আঞ্চলিক রাজধানীর পাশের এলাকা সুসায় আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দপ্তরের সামনের প্রাঙ্গণে কর্মকর্তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জমা দেওয়া অস্ত্র প্রদর্শন করেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ছয়টি সাঁজোয়া যান, ৮০০টির বেশি বন্দুক এবং প্রায় ৫ হাজার ইউনিট গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু নাগোরনো-কারাবাখের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়র কী হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আজারবাইজান বলছে, তারা এই অঞ্চলকে পুনরায় একীভূত করতে চায়। এক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কেউ কাউকে লাথি মারছে না। আমরা যদি বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশুদের কথা চিন্তা না করতাম, তাহলে খানকেন্দিতে প্রবেশ করতাম।’ আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাসদস্যরা শরণার্থীদের জন্য কারাবাখের বাইরে ক্যাম্প তৈরি করেছেন। এটি নাগরিকদের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু উভয় পক্ষের মাঝে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেক জাতিগত আর্মেনীয় স্থানান্তরের বিষয়ে রাজি না-ও হতে পারেন।
অপরদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনায়ন বলেছেন, তাঁর দেশও বেসামরিক নাগরিকদের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু তারা (জাতিগত আর্মেনীয়) যদি স্থানান্তরিত হতে না চায়, তবে তিনিও তা চান না।
স্টেপানাকার্টে বসবাসকারীরা বিবিসিকে বলেছেন, অনেকেই আর্মেনিয়ায় স্থানান্তরে রাজি। সিরানুস সার্গসিয়ান নামের এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘এখানে থাকতে চায়—এমন কাউকে আমি চিনি না। আমার এক বয়স্ক নিকটাত্মীয়, যিনি আগের যুদ্ধে তাঁর ছেলেদের হারিয়েছেন, তিনি হয়তো এখানে মরতে পছন্দ করবেন। কিন্তু এ প্রজন্মের বেশির ভাগ মানুষই তা চাইবে না।’
গতকাল রোববার অঞ্চলটির নেতারা রয়টার্সকে বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখের ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয় আজারবাইজানের অধীনে থাকতে চায় না। তারা জাতিগত নিধনের আতঙ্কে আছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল দক্ষিণ ককেশাসের একটি পাহাড়ি এলাকা নাগোরনো-কারাবাখ।
আন্তর্জাতিকভাবে এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে পরিচিত হলেও প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে এর বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনীয়রা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সেখানে আজারবাইজানের সেনা অভিযানের সময় ১০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ২০০ জন জাতিগত আর্মেনীয় নিহত হয়।
বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনীয়রা অস্ত্র সমর্পণের পর বিতর্কিত অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। আজারবাইজানের সেনাসদস্যরা জব্দ করা অস্ত্র নিয়ে অঞ্চলটিতে কুচকাওয়াজ করছেন। বিপরীতে কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক কোনো আশ্রয় ছাড়াই দিনযাপন করছে। জাতিগত আর্মেনীয় নেতারা বলছেন, সহস্রাধিক মানুষ খাবার ও আশ্রয় সংকটে আছে। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০ টন খাদ্য সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাঁচ দিন আগে সামরিক অভিযান চালিয়ে অঞ্চলটি নিজেদের আয়ত্তে আনার পর প্রথমবার সেখানে সহায়তা নিয়ে পৌঁছায় আন্তর্জাতিক রেডক্রসের গাড়িবহর। রাশিয়া বলছে, তারাও ত্রাণ সরবরাহ করেছে। তবে এর পরিমাণ জানা যায়নি। কারাবাখের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে বাস্তুচ্যুত এবং আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কয়েক হাজার মানুষ আজারবাইজানের খানকেন্দি নামে পরিচিত প্রধান শহর স্টেপানাকার্টের বিমানবন্দরের কাছে তাঁবু করে বা খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে।
আঞ্চলিক রাজধানীর পাশের এলাকা সুসায় আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়। দপ্তরের সামনের প্রাঙ্গণে কর্মকর্তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জমা দেওয়া অস্ত্র প্রদর্শন করেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ছয়টি সাঁজোয়া যান, ৮০০টির বেশি বন্দুক এবং প্রায় ৫ হাজার ইউনিট গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু নাগোরনো-কারাবাখের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়র কী হবে, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
আজারবাইজান বলছে, তারা এই অঞ্চলকে পুনরায় একীভূত করতে চায়। এক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ‘কেউ কাউকে লাথি মারছে না। আমরা যদি বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশুদের কথা চিন্তা না করতাম, তাহলে খানকেন্দিতে প্রবেশ করতাম।’ আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাসদস্যরা শরণার্থীদের জন্য কারাবাখের বাইরে ক্যাম্প তৈরি করেছেন। এটি নাগরিকদের জন্য প্রস্তুত। কিন্তু উভয় পক্ষের মাঝে অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেক জাতিগত আর্মেনীয় স্থানান্তরের বিষয়ে রাজি না-ও হতে পারেন।
অপরদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনায়ন বলেছেন, তাঁর দেশও বেসামরিক নাগরিকদের সুবিধা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু তারা (জাতিগত আর্মেনীয়) যদি স্থানান্তরিত হতে না চায়, তবে তিনিও তা চান না।
স্টেপানাকার্টে বসবাসকারীরা বিবিসিকে বলেছেন, অনেকেই আর্মেনিয়ায় স্থানান্তরে রাজি। সিরানুস সার্গসিয়ান নামের এক সাংবাদিক বলেছেন, ‘এখানে থাকতে চায়—এমন কাউকে আমি চিনি না। আমার এক বয়স্ক নিকটাত্মীয়, যিনি আগের যুদ্ধে তাঁর ছেলেদের হারিয়েছেন, তিনি হয়তো এখানে মরতে পছন্দ করবেন। কিন্তু এ প্রজন্মের বেশির ভাগ মানুষই তা চাইবে না।’
গতকাল রোববার অঞ্চলটির নেতারা রয়টার্সকে বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখের ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয় আজারবাইজানের অধীনে থাকতে চায় না। তারা জাতিগত নিধনের আতঙ্কে আছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ব ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়ার সীমান্ত অঞ্চল দক্ষিণ ককেশাসের একটি পাহাড়ি এলাকা নাগোরনো-কারাবাখ।
আন্তর্জাতিকভাবে এটি আজারবাইজানের অংশ হিসেবে পরিচিত হলেও প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে এর বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনীয়রা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সেখানে আজারবাইজানের সেনা অভিযানের সময় ১০ জন বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ২০০ জন জাতিগত আর্মেনীয় নিহত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার অভিজাত অঞ্চল হলিউডে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ইলন মাস্কের বহুল প্রতীক্ষিত ‘টেসলা ডাইনার’। গত সোমবার থেকে শুরু হল দুতলা এই রেস্তোরাঁর। বিশেষ এই রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করবে রোবট ওয়েটার। এ ছাড়া রয়েছে সিনেমা দেখার সুব্যবস্থা, আছে গাড়ি চার্জিং স্টেশন।
৭ মিনিট আগেসাইবার প্রতারণার মামলায় উদ্ধার করা ২ কোটিরও বেশি রূপি ফেরত না দিয়ে নিজেরাই আত্মসাৎ করেছেন দিল্লি পুলিশের দুই সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই)। সেই টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে গোয়া, মানালি আর কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন তারা এই কপোত-কপোতী। পরিকল্পনা করেছিলেন নতুন পরিচয়ে জীবন শুরুর, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। চার মাসের তদন্ত শেষে
১ ঘণ্টা আগেজাপানের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্যচুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘ কয়েক মাসের বাণিজ্য আলোচনার পর এই চুক্তির ঘোষণা এল। তবে, এই চুক্তির বিনিময়ে ট্রাম্প জাপানের কাছ থেকে তাঁর দেশে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর গত সোমবার হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যগত পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তাঁর এই ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ধারাবাহিক কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা তাঁর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
২ ঘণ্টা আগে