বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের অন্তত ১৩০টি আত্মহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি বিষ বিক্রি করে আসছিলেন ইউক্রেনের বাসিন্দা লিওনিড জাকুটেঙ্কু। আত্মহত্যাকে উৎসাহিত করে একটি ওয়েবসাইটে তিনি তাঁর পরিষেবার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। পরিচয় গোপন রাখা এক প্রতিবেদকের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন—সপ্তাহে অন্তত পাঁচটি বিষের পার্সেল তিনি যুক্তরাজ্যে সরবরাহ করেন। গত বছর একই বিষ সরবরাহের জন্য কেনেথ ল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কানাডায়।
বিবিসি জানিয়েছে, আত্মহত্যার বিষের কারবারি লিওনিডকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত তাঁর নিজ বাসস্থানে শনাক্ত করেছে সংবাদ সংস্থাটি। তবে বিবিসি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে কয়েক বছর ধরে লিওনিড যে মারাত্মক ওই রাসায়নিক (নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম অপ্রকাশিত) সরবরাহ করে আসছিলেন তাঁর নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে বিবিসির কাছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিওনিড ইউক্রেন থেকে যে রাসায়নিকটি পার্সেল করতেন সেই একই বিষ যুক্তরাজ্যেও বৈধ উপায়ে বিক্রি হয়। তবে এটি বিক্রি করা হয় সেসব কোম্পানির কাছে, যারা এটিকে বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। কী উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে, সেই বিষয়ে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে না পারলে এই বিষ কোনো গ্রাহককে সরবরাহ করে না সরবরাহকারীরা।
এটা প্রমাণিত যে কথিত সেই বিষ যদি খুব অল্প পরিমাণেও মানুষের শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়, তবে তার পরিণতি হয় মারাত্মক।
ধারণা করা হচ্ছে, লিওনিডের সরবরাহ করা বিষেই গত বছর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে লিন্ডা ও সারাহ নামে দুই যমজ বোন আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁদের পরিবার লিওনিডকে ‘মানুষরূপী শয়তান’ আখ্যা দিয়েছে। তাঁদের বোন হেলেন কাইট জানান, সুপরিচিত একটি আত্মহত্যার ফোরামে বিষ বিক্রেতা লিওনিডের খোঁজ পেয়েছিল লিন্ডা। পরে কয়েক পাউন্ডের বিনিময়ে সেই বিষ সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে যান যমজ বোনেরা। আত্মহত্যা করা দুই বোন বুদ্ধিমতী, যত্নশীল এবং স্পষ্টবাদী ছিলেন বলেও জানান হেলেন। তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী কথিত সেই বিষের সরবরাহ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের অভাব ছিল বলেও মনে করেন হেলেন।
জানা গেছে, লিওনিড যে বিষ সরবরাহ করেছেন, সেই বিষ সম্পর্কে আত্মহত্যার ওই ফোরামে বেশ খোলাখুলিভাবেই আলোচনা হয়। সদস্যরা একে অপরকে পরামর্শ দেন—কীভাবে এটি কিনতে হবে, এমনকি কীভাবে এটি ব্যবহার করে মৃত্যু নিশ্চিত করা যাবে।
ওই বিষ সরবরাহের অভিযোগে গত বছরের মে মাসে কানাডায় গ্রেপ্তার হওয়া কেনেথ ল ৪০টিরও বেশি দেশে ১ হাজার ২০০টির বেশি পার্সেল করেছিলেন। আর যুক্তরাজ্যে অন্তত ৯৩টি মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর সরবরাহ করা বিষের সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এদিকে বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একই বিষ ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সরবরাহ করে আসছিলেন ইউক্রেনের নাগরিক লিওনিড। কিয়েভ শহরের ছোট একটি ফ্ল্যাটে তাঁর নাগাল পায় সংবাদ সংস্থাটি। কাছাকাছি একটি পোস্ট অফিস থেকে তিনি তাঁর পার্সেলগুলো পাঠাতেন। সেই পোস্ট অফিসের সামনেই লিওনিডকে যখন প্রশ্ন করা হয়—নিজের জীবন শেষ করতে চাওয়া মানুষদের কাছে তিনি কেন তাঁর বিষ সরবরাহ করছেন।
তবে জবাবে লিওনিড বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা।’ তারপরই তিনি ক্যামেরার মুখে হাত রেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে চান।
বিবিসি লিওনিডের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল। কারণ, ছদ্ম পরিচয়ে এই সংবাদ সংস্থাটিই একটি পার্সেল অর্ডার করেছিল। লিওনিড সেই পার্সেল জমা দিয়ে পোস্ট অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই তাঁর মুখোমুখি হয় বিবিসি।
মৃতদের পরিবারকে কী বলার আছে, জিজ্ঞেস করা হলে লিওনিড এ সময় উত্তর দেন, ‘আপনি কী বলছেন, আমি বুঝতে পারছি না।’
জানা গেছে, কানাডার কেনেথ লর কাছ থেকে সংগ্রহ করা ওই বিষে ২০২১ সালের অক্টোবরে আত্মহত্যা করেছিলেন টম নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবক। পরে তাঁর বাবা ডেভিড পারফেট সুপরিচিত ওই আত্মহত্যার ফোরাম বন্ধ করতে এবং লিওনিডের মতো বিষ বিক্রেতাদের থামাতে প্রচারণা শুরু করেন। এমনকি ওই বিষ কতটুকু সহজলভ্য তা জানার জন্য লিওনিডের কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তিনিও একটি পার্সেল সংগ্রহ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এই বিষের কেনাবেচা সম্পর্কে প্রথম জানতে পারে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। সে সময় আত্মহত্যা করা জো নিহিল নামে ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের ময়নাতদন্তের পর ওই বিষ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন এক শব পরীক্ষক।
বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের অন্তত ১৩০টি আত্মহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি বিষ বিক্রি করে আসছিলেন ইউক্রেনের বাসিন্দা লিওনিড জাকুটেঙ্কু। আত্মহত্যাকে উৎসাহিত করে একটি ওয়েবসাইটে তিনি তাঁর পরিষেবার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। পরিচয় গোপন রাখা এক প্রতিবেদকের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন—সপ্তাহে অন্তত পাঁচটি বিষের পার্সেল তিনি যুক্তরাজ্যে সরবরাহ করেন। গত বছর একই বিষ সরবরাহের জন্য কেনেথ ল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কানাডায়।
বিবিসি জানিয়েছে, আত্মহত্যার বিষের কারবারি লিওনিডকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত তাঁর নিজ বাসস্থানে শনাক্ত করেছে সংবাদ সংস্থাটি। তবে বিবিসি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে কয়েক বছর ধরে লিওনিড যে মারাত্মক ওই রাসায়নিক (নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম অপ্রকাশিত) সরবরাহ করে আসছিলেন তাঁর নিশ্চিত প্রমাণ রয়েছে বিবিসির কাছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিওনিড ইউক্রেন থেকে যে রাসায়নিকটি পার্সেল করতেন সেই একই বিষ যুক্তরাজ্যেও বৈধ উপায়ে বিক্রি হয়। তবে এটি বিক্রি করা হয় সেসব কোম্পানির কাছে, যারা এটিকে বৈধ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে। কী উদ্দেশে ব্যবহার করা হবে, সেই বিষয়ে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে না পারলে এই বিষ কোনো গ্রাহককে সরবরাহ করে না সরবরাহকারীরা।
এটা প্রমাণিত যে কথিত সেই বিষ যদি খুব অল্প পরিমাণেও মানুষের শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়, তবে তার পরিণতি হয় মারাত্মক।
ধারণা করা হচ্ছে, লিওনিডের সরবরাহ করা বিষেই গত বছর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে লিন্ডা ও সারাহ নামে দুই যমজ বোন আত্মহত্যা করেছিলেন। তাঁদের পরিবার লিওনিডকে ‘মানুষরূপী শয়তান’ আখ্যা দিয়েছে। তাঁদের বোন হেলেন কাইট জানান, সুপরিচিত একটি আত্মহত্যার ফোরামে বিষ বিক্রেতা লিওনিডের খোঁজ পেয়েছিল লিন্ডা। পরে কয়েক পাউন্ডের বিনিময়ে সেই বিষ সহজেই হাতের নাগালে পেয়ে যান যমজ বোনেরা। আত্মহত্যা করা দুই বোন বুদ্ধিমতী, যত্নশীল এবং স্পষ্টবাদী ছিলেন বলেও জানান হেলেন। তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী কথিত সেই বিষের সরবরাহ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের অভাব ছিল বলেও মনে করেন হেলেন।
জানা গেছে, লিওনিড যে বিষ সরবরাহ করেছেন, সেই বিষ সম্পর্কে আত্মহত্যার ওই ফোরামে বেশ খোলাখুলিভাবেই আলোচনা হয়। সদস্যরা একে অপরকে পরামর্শ দেন—কীভাবে এটি কিনতে হবে, এমনকি কীভাবে এটি ব্যবহার করে মৃত্যু নিশ্চিত করা যাবে।
ওই বিষ সরবরাহের অভিযোগে গত বছরের মে মাসে কানাডায় গ্রেপ্তার হওয়া কেনেথ ল ৪০টিরও বেশি দেশে ১ হাজার ২০০টির বেশি পার্সেল করেছিলেন। আর যুক্তরাজ্যে অন্তত ৯৩টি মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর সরবরাহ করা বিষের সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
এদিকে বিবিসির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একই বিষ ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সরবরাহ করে আসছিলেন ইউক্রেনের নাগরিক লিওনিড। কিয়েভ শহরের ছোট একটি ফ্ল্যাটে তাঁর নাগাল পায় সংবাদ সংস্থাটি। কাছাকাছি একটি পোস্ট অফিস থেকে তিনি তাঁর পার্সেলগুলো পাঠাতেন। সেই পোস্ট অফিসের সামনেই লিওনিডকে যখন প্রশ্ন করা হয়—নিজের জীবন শেষ করতে চাওয়া মানুষদের কাছে তিনি কেন তাঁর বিষ সরবরাহ করছেন।
তবে জবাবে লিওনিড বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা।’ তারপরই তিনি ক্যামেরার মুখে হাত রেখে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে চান।
বিবিসি লিওনিডের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল। কারণ, ছদ্ম পরিচয়ে এই সংবাদ সংস্থাটিই একটি পার্সেল অর্ডার করেছিল। লিওনিড সেই পার্সেল জমা দিয়ে পোস্ট অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই তাঁর মুখোমুখি হয় বিবিসি।
মৃতদের পরিবারকে কী বলার আছে, জিজ্ঞেস করা হলে লিওনিড এ সময় উত্তর দেন, ‘আপনি কী বলছেন, আমি বুঝতে পারছি না।’
জানা গেছে, কানাডার কেনেথ লর কাছ থেকে সংগ্রহ করা ওই বিষে ২০২১ সালের অক্টোবরে আত্মহত্যা করেছিলেন টম নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবক। পরে তাঁর বাবা ডেভিড পারফেট সুপরিচিত ওই আত্মহত্যার ফোরাম বন্ধ করতে এবং লিওনিডের মতো বিষ বিক্রেতাদের থামাতে প্রচারণা শুরু করেন। এমনকি ওই বিষ কতটুকু সহজলভ্য তা জানার জন্য লিওনিডের কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তিনিও একটি পার্সেল সংগ্রহ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এই বিষের কেনাবেচা সম্পর্কে প্রথম জানতে পারে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। সে সময় আত্মহত্যা করা জো নিহিল নামে ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের ময়নাতদন্তের পর ওই বিষ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন এক শব পরীক্ষক।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্প্রতি আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং অপরজন বাংলাদেশ পুলিশের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেচীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অনুরোধেই এই আলোচনা হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
২ ঘণ্টা আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এবং সাবেক বিজেডি সাংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পিনাকী মিশ্র জার্মানিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি সহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই খবর জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেসিমলা চুক্তি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে