Ajker Patrika

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভদকা পান করে ১৪ বিরোধী নেতাকে মুক্তি দেন লুকাশেঙ্কো

অনলাইন ডেস্ক
মিনস্কের বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্য জন কোলের সঙ্গে করমর্দন করছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। ছবি: বেলসেট
মিনস্কের বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্য জন কোলের সঙ্গে করমর্দন করছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। ছবি: বেলসেট

রাজধানী মিনস্কে বেলারুশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরল আলোচনার সময় এক দীর্ঘ মধ্যাহ্নভোজে ভদকা পান করার ঘটনা বিরোধী নেতাদের মুক্তিতে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জন কোল। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগের উপ-প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত রোববার পলিটিকো-তে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে কোল জানান, গত মাসে মিনস্কে হওয়া উচ্চপর্যায়ের ওই আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ভদকা পানের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। এই ‘অসাধারণ কূটনৈতিক পন্থা’ অবলম্বনের ফলেই ১৪ জন বিরোধী নেতার মুক্তি সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

কোল বলেন, ‘আমি দুটো শট নিয়েছিলাম। বমি করিনি, তবে তৃতীয়টা আর নিতে পারিনি।’

মঙ্গলবার রাশিয়া টুডে (আরটি) জানিয়েছে, জন কোলের এই অপ্রচলিত কূটনীতির ফলেই বেলারুশ সরকার বিরোধী নেতাদের মুক্তি দেয়। মুক্তি পাওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন সের্গেই তিখানোভস্কির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী নেতা। মুক্তি পাওয়ার পরপরই তিনি অবশ্য লিথুয়ানিয়ায় চলে গেছেন।

এই বিষয়ে বেলারুশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অনুরোধে এবং পরিবারের কথা ভেবে মানবিক বিবেচনায় ওই বন্দীদের ক্ষমা করেছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। আলোচনায় শুধু মুক্তি নয়, যুক্তরাষ্ট্র-বেলারুশ সম্পর্ক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

আলোচিত মধ্যাহ্নভোজ সম্পর্কে জানা গেছে, এটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বন্ধ কক্ষে। তবে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো মার্কিন প্রতিনিধিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন, কেলগকে জড়িয়ে ধরছেন এবং অন্যদের কাঁধে হাত রাখছেন।

পলিটিকো জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূতেরা অনেক সময়ই বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের ঐতিহ্যবাহী প্রটোকল এড়িয়ে অপ্রচলিতভাবে সরাসরি কূটনীতি চালিয়ে থাকেন। তবে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ওই বৈঠক এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছে।

বৈঠক প্রসঙ্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন, ‘এটি কোনো ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত নয়। আমরা কারও কাছে মাথা নত করিনি। এটা ছিল পারস্পরিক শ্রদ্ধার আলোচনা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবন বিলিয়ে দিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের বাঁচালেন, কে এই মাহরীন চৌধুরী

পাচার করা ৭৮১ কোটি টাকা ফেরত দিতে চেয়েও জামিন পেলেন না নাসার চেয়ারম্যান নজরুল

প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না, সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়ার সুযোগ

পাইলটের শেষ বার্তা: বিমান ভাসছে না, নিচে পড়ছে

মেয়ের কফিনে বাবার চুমু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত