অনলাইন ডেস্ক
তৃতীয়বারের মতো শরণার্থীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন আর্মেনীয় এলাদা সার্গসিয়ান। তাঁর জন্ম আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে। সোভিয়েত ইউনিয়নে ভাঙন শুরু হলে ১৯৮৮ সালে ১৯ বছর বয়সে জন্মস্থান ছেড়ে পালিয়ে যান এলাদা।
নাগোর্নো–কারাবাখে জাতিগত সংঘাতের কারণে বিতাড়িত হয় বাকুর বৃহৎ আর্মেনীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। স্বশাসিত নাগোর্নো–কারাবাখ মূলত মুসলিম প্রধান সোভিয়েত গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ আজারবাইজানে অবস্থিত আর্মেনীয়দের খ্রিষ্টানপ্রধান একটি অঞ্চল। শিগগিরই অঞ্চলটি একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হওয়ার পথে।
আজারবাইজানের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে সার্গসিয়ান ও তাঁর পরিবার পালিয়ে সোভিয়েত আর্মেনিয়াতে চলে যান। সেখানে নাগোর্নো–কারাবাখের আকনাঘব্যুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। আজারবাইজানের ভাষায় গ্রামটি আগবুলাক নামে পরিচিত। পার্বত্য অঞ্চলটি আজারবাইজানেই অবস্থিত এবং সেসময় তা বাকু সরকারের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত ছিল।
২০২০ সালে তাঁরা সে আশ্রয়টিও হারিয়ে ফেলেন। আর্মেনিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধে তুরস্কের সহযোগিতায় আজারবাইজান তাঁদের গ্রামটিসহ কারাবাখের বেশ কয়েকটি অঞ্চল পুনরায় দখল করে ফেলে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যখন আজারবাইজান কারাবাখের বাকি অংশটুকুও দখল করে ফেলে তখন ৫৪ বছর বয়সী সার্গসিয়ান তৃতীয়বারের মতো তাঁর বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
আজারবাইজানের অবরোধের কারণে প্রায় নয় মাস ধরে আর্মেনিয়া থেকে আসা প্রয়োজনীয় সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সার্গসিয়ান ও ওই অঞ্চলের এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা। আজারবাইজানের নাগরিক হলে তাঁদের অধিকার রক্ষা করা হবে—বাকুর এমন দাবির কোনো প্রতিফলন তিনি দেখছেন না।
বর্তমানে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানের উপকণ্ঠের শহর মাসিসে অব্যবহৃত একটি কিন্ডারগার্টেনে অন্য আরও ৬৭ শরণার্থীর সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন সার্গসিয়ান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। যারা প্রথমবারের মতো তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তাঁদের জন্য এটি বেশ কঠিন। তাঁরা কান্না করেন। তবে তাঁদের সয়ে যাবে, যেমন আমাদের সয়ে গেছে।’
মাসিস শহরে মাত্র ২০ হাজার মানুষের বাস। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ শহরে কারাবাখ থেকে প্রায় ৮ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। ১৯৮০–এর দশক পর্যন্ত মাসিস মূলত আজারবাইজানি সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য আবাসস্থল ছিল। তবে তাঁদের সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়। এখন সেখানকার পৌরসভার খালি ভবনগুলোতে আর্মেনিয়ার সর্বশেষ প্রজন্মের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
মাসিসে আশ্রয় নেওয়া বেশির ভাগ শরণার্থীই শূন্য হাতে এসেছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কারাবাখে আজারবাইজানের চূড়ান্ত হামলার সময় তাঁরা খালি হাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন।
আজারবাইজানের হারুতিউনাগোমার গ্রাম ছেড়ে প্রতিবেশীর ট্রাকে করে মাসিসে পালিয়ে এসেছেন আলিনা হারুতিউনিয়ান (৩৪)। এখন স্বামী ও চার সন্তানসহ লাইব্রেরির এক কক্ষে থাকছেন তিনি।
আর্মেনিয়া সরকার তাঁদের সহায়তা বলতে দুটি বিছানা ও ২৫০ ডলার দিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর স্বামী কারাবাখ সেনাবাহিনীর একজন সৈন্য ছিল। এখন তিনি আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে কিছু আয় উপার্জন করতে পারলেও তাঁদের সেই স্থানীয়দের দয়ার ওপরই নির্ভর করতে হয়।
হারুতিউনিয়ান বলেন, ‘যদি সম্ভব হতো তবে আমি আবার সেখানে ফেরত যেতাম আর আমাদের সব জিনিস নিয়ে আসতাম। কারণ এখানে আমাদের সবকিছুর জন্য ভিক্ষা করতে হয়।’
তৃতীয়বারের মতো শরণার্থীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন আর্মেনীয় এলাদা সার্গসিয়ান। তাঁর জন্ম আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে। সোভিয়েত ইউনিয়নে ভাঙন শুরু হলে ১৯৮৮ সালে ১৯ বছর বয়সে জন্মস্থান ছেড়ে পালিয়ে যান এলাদা।
নাগোর্নো–কারাবাখে জাতিগত সংঘাতের কারণে বিতাড়িত হয় বাকুর বৃহৎ আর্মেনীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। স্বশাসিত নাগোর্নো–কারাবাখ মূলত মুসলিম প্রধান সোভিয়েত গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ আজারবাইজানে অবস্থিত আর্মেনীয়দের খ্রিষ্টানপ্রধান একটি অঞ্চল। শিগগিরই অঞ্চলটি একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হওয়ার পথে।
আজারবাইজানের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে সার্গসিয়ান ও তাঁর পরিবার পালিয়ে সোভিয়েত আর্মেনিয়াতে চলে যান। সেখানে নাগোর্নো–কারাবাখের আকনাঘব্যুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। আজারবাইজানের ভাষায় গ্রামটি আগবুলাক নামে পরিচিত। পার্বত্য অঞ্চলটি আজারবাইজানেই অবস্থিত এবং সেসময় তা বাকু সরকারের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত ছিল।
২০২০ সালে তাঁরা সে আশ্রয়টিও হারিয়ে ফেলেন। আর্মেনিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় যুদ্ধে তুরস্কের সহযোগিতায় আজারবাইজান তাঁদের গ্রামটিসহ কারাবাখের বেশ কয়েকটি অঞ্চল পুনরায় দখল করে ফেলে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে যখন আজারবাইজান কারাবাখের বাকি অংশটুকুও দখল করে ফেলে তখন ৫৪ বছর বয়সী সার্গসিয়ান তৃতীয়বারের মতো তাঁর বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
আজারবাইজানের অবরোধের কারণে প্রায় নয় মাস ধরে আর্মেনিয়া থেকে আসা প্রয়োজনীয় সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সার্গসিয়ান ও ওই অঞ্চলের এক লাখ ২০ হাজার আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা। আজারবাইজানের নাগরিক হলে তাঁদের অধিকার রক্ষা করা হবে—বাকুর এমন দাবির কোনো প্রতিফলন তিনি দেখছেন না।
বর্তমানে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানের উপকণ্ঠের শহর মাসিসে অব্যবহৃত একটি কিন্ডারগার্টেনে অন্য আরও ৬৭ শরণার্থীর সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছেন সার্গসিয়ান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমার এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। যারা প্রথমবারের মতো তাদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তাঁদের জন্য এটি বেশ কঠিন। তাঁরা কান্না করেন। তবে তাঁদের সয়ে যাবে, যেমন আমাদের সয়ে গেছে।’
মাসিস শহরে মাত্র ২০ হাজার মানুষের বাস। গত সেপ্টেম্বর থেকে এ শহরে কারাবাখ থেকে প্রায় ৮ হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। ১৯৮০–এর দশক পর্যন্ত মাসিস মূলত আজারবাইজানি সম্প্রদায়ের জন্য উল্লেখযোগ্য আবাসস্থল ছিল। তবে তাঁদের সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়। এখন সেখানকার পৌরসভার খালি ভবনগুলোতে আর্মেনিয়ার সর্বশেষ প্রজন্মের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।
মাসিসে আশ্রয় নেওয়া বেশির ভাগ শরণার্থীই শূন্য হাতে এসেছেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কারাবাখে আজারবাইজানের চূড়ান্ত হামলার সময় তাঁরা খালি হাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন।
আজারবাইজানের হারুতিউনাগোমার গ্রাম ছেড়ে প্রতিবেশীর ট্রাকে করে মাসিসে পালিয়ে এসেছেন আলিনা হারুতিউনিয়ান (৩৪)। এখন স্বামী ও চার সন্তানসহ লাইব্রেরির এক কক্ষে থাকছেন তিনি।
আর্মেনিয়া সরকার তাঁদের সহায়তা বলতে দুটি বিছানা ও ২৫০ ডলার দিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর স্বামী কারাবাখ সেনাবাহিনীর একজন সৈন্য ছিল। এখন তিনি আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে কিছু আয় উপার্জন করতে পারলেও তাঁদের সেই স্থানীয়দের দয়ার ওপরই নির্ভর করতে হয়।
হারুতিউনিয়ান বলেন, ‘যদি সম্ভব হতো তবে আমি আবার সেখানে ফেরত যেতাম আর আমাদের সব জিনিস নিয়ে আসতাম। কারণ এখানে আমাদের সবকিছুর জন্য ভিক্ষা করতে হয়।’
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বলেছেন, ভারতের সামরিক শক্তি বা আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে পাকিস্তানকে ভয় দেখানো যাবে না। তিনি ঘোষণা করেন, কাশ্মীরের জন্য যদি ১০টি যুদ্ধও করতে হয়, তবে পাকিস্তান তা করতে প্রস্তুত। গত বুধবার পাকিস্তানভুক্ত আজাদ কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে
২ মিনিট আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের পর্যাপ্ত জমি আছে। দেশটি চাইলে তাদের ফাঁকা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১৪ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৯ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আদালতের বিরুদ্ধে ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবৈধ ও ভিত্তিহীন পদক্ষেপ গ্রহণের’ অভিযোগ এনেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেক
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর প্রথমবারের মতো ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের কৌশল বাস্তবায়ন করতে চাইছে। এই তাঁর আগের মেয়াদে শুরু হয়েছিল। এবারের নিষেধাজ্ঞায় ইরানের তেল খাতকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু...
১ ঘণ্টা আগে