হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার হাজার গ্রামীণ বাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চায়না আর্থকোয়েক সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিগাতসে শহরের দিংরি কাউন্টির চসগো টাউনশিপ। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।
প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে আরও তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা শূন্যেরও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র চসগো টাউনশিপ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চামকো টাউনশিপে সিনহুয়া সংবাদদাতারা অনেক বাড়ি ধসে পড়তে দেখেছেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য খোলা জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। চসগোর বাসিন্দা ৪৯ বছরের পাসাং শেরিং বলেন, ‘প্রথম কম্পনটি ভোরের আগে আঘাত করে এবং এটি ঘরের আলোর উৎস এবং আসবাবপত্র কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এরপর আরও শক্তিশালী একটি কম্পন আসে এবং আমি তৎক্ষণাৎ বাইরে চলে যাই।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা পাসাং বলেন, ‘আমি আগে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি।’ নিজ বাড়ি ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে থাকা পাসাং বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তা হলো রাতে কোথায় থাকব। গ্রামে কিছু অতিরিক্ত তাঁবু রয়েছে এবং কর্মকর্তারা বলছেন আরও আসছে।’
চামকোর গুরুম গ্রামের পার্টি প্রধান শেরিং ফুংছুক এই ভূমিকম্পে তাঁর ৭৪ বছর বয়সী মাকে হারিয়েছেন। তিনি জানান, পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। ২২২ জন বাসিন্দার এই গ্রামে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনই শিশু। গ্রামের সব বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন যুবকেরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের তো কথাই নেই।’
চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সাধারণত জাতীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকারের ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যেখানে উদ্ধারকারী দল এবং তহবিল মোতায়েন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মঙ্গলবার জীবনের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাইস-প্রিমিয়ার ঝাং গুওচিং উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ভূমিকম্পস্থলে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ২২ হাজারটি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, শীতের কোট, কম্বল এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা, পাশাপাশি উচ্চতা প্রবণ ও ঠান্ডা এলাকার জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী।
অঞ্চলটিতে ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, সেনা, পুলিশ এবং পেশাদার উদ্ধারকারীরা রয়েছেন। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শিজাংয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনও দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ৪ হাজার ৬০০টি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, কম্বল, ঠান্ডা নিরোধক জ্যাকেট এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদকেরা গুরুম গ্রাম থেকে জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের কৃষিজমিতে অবস্থিত পুনর্বাসনস্থলে ১৫টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবু সব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং সেখানে যথেষ্ট কম্বল, খাবার ও পানীয় রয়েছে।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত চীনের তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে তার আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত অন্তত ১৮৮ জন। হিমালয়ের উত্তর ঢালে অবস্থিত অঞ্চলটির হাজার হাজার গ্রামীণ বাড়ি ধসে পড়েছে। চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চায়না আর্থকোয়েক সেন্টারের তথ্য অনুসারে, ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রবিন্দু ছিল শিগাতসে শহরের দিংরি কাউন্টির চসগো টাউনশিপ। ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্রের ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ২৭টি গ্রাম আছে এবং এসব গ্রামে প্রায় ৬ হাজার ৯০০ মানুষ বসবাস করে।
প্রাথমিক জরিপ অনুসারে, এসব গ্রামের ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে শিগাতসে শহরের প্রশাসন। তারা আরও জানিয়েছে, ৪০৭ জন আটকে পড়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে আরও তৎপরতা চলছে। উদ্ধারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য তাঁবু স্থাপনের জন্য সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাপমাত্রা শূন্যেরও ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে নেমে যেতে পারে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র চসগো টাউনশিপ এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চামকো টাউনশিপে সিনহুয়া সংবাদদাতারা অনেক বাড়ি ধসে পড়তে দেখেছেন এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য খোলা জায়গায় অবস্থান করতে দেখা গেছে। চসগোর বাসিন্দা ৪৯ বছরের পাসাং শেরিং বলেন, ‘প্রথম কম্পনটি ভোরের আগে আঘাত করে এবং এটি ঘরের আলোর উৎস এবং আসবাবপত্র কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে। এরপর আরও শক্তিশালী একটি কম্পন আসে এবং আমি তৎক্ষণাৎ বাইরে চলে যাই।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা পাসাং বলেন, ‘আমি আগে এত বড় ভূমিকম্প দেখিনি।’ নিজ বাড়ি ধ্বংসাবশেষ থেকে জিনিসপত্র উদ্ধার করতে থাকা পাসাং বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি চিন্তা হলো রাতে কোথায় থাকব। গ্রামে কিছু অতিরিক্ত তাঁবু রয়েছে এবং কর্মকর্তারা বলছেন আরও আসছে।’
চামকোর গুরুম গ্রামের পার্টি প্রধান শেরিং ফুংছুক এই ভূমিকম্পে তাঁর ৭৪ বছর বয়সী মাকে হারিয়েছেন। তিনি জানান, পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ধ্বংসস্তূপে আটকে রয়েছেন। ২২২ জন বাসিন্দার এই গ্রামে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ১১ জনই শিশু। গ্রামের সব বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প হয় তখন যুবকেরাও বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের তো কথাই নেই।’
চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সাধারণত জাতীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় সরকারের ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায়, যেখানে উদ্ধারকারী দল এবং তহবিল মোতায়েন করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মঙ্গলবার জীবনের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক উদ্ধার প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাইস-প্রিমিয়ার ঝাং গুওচিং উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ভূমিকম্পস্থলে একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ২২ হাজারটি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, শীতের কোট, কম্বল এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা, পাশাপাশি উচ্চতা প্রবণ ও ঠান্ডা এলাকার জন্য বিশেষ ত্রাণ সামগ্রী।
অঞ্চলটিতে ১২ হাজারের বেশি উদ্ধারকারী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে অগ্নিনির্বাপক কর্মী, সেনা, পুলিশ এবং পেশাদার উদ্ধারকারীরা রয়েছেন। চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় শিজাংয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনও দুর্যোগ-পরবর্তী জরুরি পুনরুদ্ধারের জন্য ১০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে।
চীনের রেড ক্রস সোসাইটি ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চলে ৪ হাজার ৬০০টি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর জরুরি উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—তুলার তাঁবু, কম্বল, ঠান্ডা নিরোধক জ্যাকেট এবং ভাঁজযোগ্য বিছানা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদকেরা গুরুম গ্রাম থেকে জানিয়েছেন, গ্রামের পাশের কৃষিজমিতে অবস্থিত পুনর্বাসনস্থলে ১৫টি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। এসব তাঁবু সব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং সেখানে যথেষ্ট কম্বল, খাবার ও পানীয় রয়েছে।
২০২৩ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রায় ৬০ বছরের রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটানো গ্যাবনের সামরিক নেতা জেনারেল ব্রিস ওলিগুই এনগেমা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। শনিবারের প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর আরোপিত শুল্ক পুরোপুরি বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান। এ পরিস্থিতিতেই চীন এই আহ্বান জানিয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসির একটি হাসপাতালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবারের মতো বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান ট্রাম্প। রোববার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত
৮ ঘণ্টা আগেচলমান এই বাণিজ্যযুদ্ধে কোন দেশ প্রথম পিছু হটবে, তা বিশ্লেষণ করার জন্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন কী কী আমদানি করে, তা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সিএনএন দেখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প হিসেবে চীন কীভাবে অন্য দেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করে তাদের চাহিদা পূরণ করতে
৯ ঘণ্টা আগে