তারিখটা ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই। তখনো ভোর হয়নি। ঘড়ির কাঁটায় ৩টা ৪২ মিনিট। চীনের খনি ও শিল্প শহর তাংশানের বেশির ভাগ বাসিন্দা তখন গভীর ঘুমে অচেতন। এ সময়ই ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানল শহরটির ওপর। ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলো বাঁচার চেষ্টা করার পর্যন্ত সুযোগ পেল না। সরকারি হিসাবেই তাংশান ও এর আশপাশের এলাকার ২ লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা পড়ে এই ভূমিকম্পে।
তাংশানের এই ভূমিকম্পকে মনে করা হয় গত কয়েক শ বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক ভূমিকম্পগুলোর একটি হিসেবে। এটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
চীনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখতে পাবেন, ভূমিকম্প এখানে নিয়মিতই আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটি ব্যাপক প্রাণহানির কারণ হয়েছে। চীনের সংস্কৃতি, বিজ্ঞানেও এর প্রভাব চোখে পড়ে। চীনারাই প্রথম কার্যকর ভূকম্পমাপক যন্ত্র বা সিসমোমিটার উদ্ভাবন করে।
অবশ্য ভূমিকম্পের আগের দু-এক দিন অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে জানান বেঁচে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা। কুয়ার পানির স্তর ওঠানামা করছিল। ইঁদুরদের দিনের বেলা দলবেঁধে আতঙ্কিতভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। মুরগিরা খাবার খাচ্ছিল না। তবে তিনটা ৪২ মিনিটে যখন ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিল। ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পে তাংশানের ৯০ শতাংশ দালান-কোঠা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়।
বেইজিং থেকে প্রায় ৬৮ মাইল পূর্বে অবস্থান তাংশান শহরটির। সরকারিভাবে ২ লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা গেছে বলা হলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সূত্রের দেওয়া তথ্য বলছে সংখ্যাটা সাড়ে ৬ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। ৭ লাখের বেশি মানুষ আহত হয় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে।
তাংশান শহরের দক্ষিণ অংশে ভূমিকম্পের প্রধান ধাক্কাটি লাগে। কম্পন অনুভূত হয়েছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ৬৮০ মাইল (১১০০ কিলোমিটার) দূরে পর্যন্ত। একই দিনে শহরটির উত্তর-পূর্বে প্রায় ৪৩ মাইল (৭০ কিলোমিটার) দূরে লুয়ানজিয়ান শহরে একটি বড় আফটার শক হয়। এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এতে নতুন করে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারের প্রচেষ্টাও বাধাগ্রস্ত হয়।
এখন তাংশান ফল্ট বা চ্যুতি নামে পরিচিত আগে অজানা একটি ফল্ট থেকে ভূমিকম্পটির সৃষ্টি হয়। ইয়ন শান-ইয়ান শান পার্বত্য বেল্টের সঙ্গে ক্যাংডং ফল্ট সিস্টেমের সংযোগস্থলের কাছে এর অবস্থান।
ভূমিকম্পটি হয় গ্রীষ্মের মাঝামাঝিতে। বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া অনেক মানুষকে বুকে ভর দিয়ে ধূলি-ধূসরিত, রক্তরঞ্জিত ও নগ্ন অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ভূমিকম্পে তাংশানের বিভিন্ন কারখানার বিস্ফোরক প্রজ্বলিত হয়ে অগ্নিকাণ্ড হয়। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শহর ও আশপাশের রেললাইন ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যায়।
আকস্মিক এত বড় একটি বিপর্যয় সামাল দেওয়া মোটেই সহজ কাজ ছিল না। ভূমিকম্পের পরদিন থেকে চীনা সরকার হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ ফেলা শুরু হলো শহরটিতে। ১ লাখ সেনার পাশাপাশি ৩০ হাজার চিকিৎসা কর্মী এবং ৩০ হাজার নির্মাণশ্রমিককেও পাঠানো হলো বিধ্বস্ত এলাকাটিতে। এই ভূমিকম্পে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে।
তবে শহরটিকে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে গজিয়ে ওঠা নতুন শহরে বর্তমানে ২০ লাখের মতো মানুষের বাস।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, ব্রিটানিকা
তারিখটা ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই। তখনো ভোর হয়নি। ঘড়ির কাঁটায় ৩টা ৪২ মিনিট। চীনের খনি ও শিল্প শহর তাংশানের বেশির ভাগ বাসিন্দা তখন গভীর ঘুমে অচেতন। এ সময়ই ভয়াবহ এক ভূমিকম্প আঘাত হানল শহরটির ওপর। ঘুমিয়ে থাকা মানুষগুলো বাঁচার চেষ্টা করার পর্যন্ত সুযোগ পেল না। সরকারি হিসাবেই তাংশান ও এর আশপাশের এলাকার ২ লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা পড়ে এই ভূমিকম্পে।
তাংশানের এই ভূমিকম্পকে মনে করা হয় গত কয়েক শ বছরের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক ভূমিকম্পগুলোর একটি হিসেবে। এটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
চীনের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখতে পাবেন, ভূমিকম্প এখানে নিয়মিতই আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটি ব্যাপক প্রাণহানির কারণ হয়েছে। চীনের সংস্কৃতি, বিজ্ঞানেও এর প্রভাব চোখে পড়ে। চীনারাই প্রথম কার্যকর ভূকম্পমাপক যন্ত্র বা সিসমোমিটার উদ্ভাবন করে।
অবশ্য ভূমিকম্পের আগের দু-এক দিন অস্বাভাবিক কিছু ঘটনা ঘটেছে বলে ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে জানান বেঁচে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা। কুয়ার পানির স্তর ওঠানামা করছিল। ইঁদুরদের দিনের বেলা দলবেঁধে আতঙ্কিতভাবে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। মুরগিরা খাবার খাচ্ছিল না। তবে তিনটা ৪২ মিনিটে যখন ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, তখন বেশির ভাগ মানুষ শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিল। ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী ভূমিকম্পে তাংশানের ৯০ শতাংশ দালান-কোঠা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়।
বেইজিং থেকে প্রায় ৬৮ মাইল পূর্বে অবস্থান তাংশান শহরটির। সরকারিভাবে ২ লাখ ৪২ হাজার মানুষ মারা গেছে বলা হলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সূত্রের দেওয়া তথ্য বলছে সংখ্যাটা সাড়ে ৬ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। ৭ লাখের বেশি মানুষ আহত হয় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে।
তাংশান শহরের দক্ষিণ অংশে ভূমিকম্পের প্রধান ধাক্কাটি লাগে। কম্পন অনুভূত হয়েছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ৬৮০ মাইল (১১০০ কিলোমিটার) দূরে পর্যন্ত। একই দিনে শহরটির উত্তর-পূর্বে প্রায় ৪৩ মাইল (৭০ কিলোমিটার) দূরে লুয়ানজিয়ান শহরে একটি বড় আফটার শক হয়। এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এতে নতুন করে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারের প্রচেষ্টাও বাধাগ্রস্ত হয়।
এখন তাংশান ফল্ট বা চ্যুতি নামে পরিচিত আগে অজানা একটি ফল্ট থেকে ভূমিকম্পটির সৃষ্টি হয়। ইয়ন শান-ইয়ান শান পার্বত্য বেল্টের সঙ্গে ক্যাংডং ফল্ট সিস্টেমের সংযোগস্থলের কাছে এর অবস্থান।
ভূমিকম্পটি হয় গ্রীষ্মের মাঝামাঝিতে। বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘরের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া অনেক মানুষকে বুকে ভর দিয়ে ধূলি-ধূসরিত, রক্তরঞ্জিত ও নগ্ন অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ভূমিকম্পে তাংশানের বিভিন্ন কারখানার বিস্ফোরক প্রজ্বলিত হয়ে অগ্নিকাণ্ড হয়। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শহর ও আশপাশের রেললাইন ও রাস্তাঘাট ধ্বংস হয়ে যায়।
আকস্মিক এত বড় একটি বিপর্যয় সামাল দেওয়া মোটেই সহজ কাজ ছিল না। ভূমিকম্পের পরদিন থেকে চীনা সরকার হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ ফেলা শুরু হলো শহরটিতে। ১ লাখ সেনার পাশাপাশি ৩০ হাজার চিকিৎসা কর্মী এবং ৩০ হাজার নির্মাণশ্রমিককেও পাঠানো হলো বিধ্বস্ত এলাকাটিতে। এই ভূমিকম্পে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে।
তবে শহরটিকে পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে গজিয়ে ওঠা নতুন শহরে বর্তমানে ২০ লাখের মতো মানুষের বাস।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, ব্রিটানিকা
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, পরিবারের বিরুদ্ধে বিয়ের পর জীবন ও স্বাধীনতার ওপর কোনো হুমকি না এলে পুলিশের সাহায্য দাবি করা উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দম্পতির পারস্পরিক সহায়তায় নির্ভর করে সমাজের মুখোমুখি হওয়া উচিত। হুমকির পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেওয়া যেতে পারে।
২৫ মিনিট আগেভারতের সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত ওয়াক্ফ আইনের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানিতে এই আইনের বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে। গতকাল বুধবার থেকে এই আইনের বিরুদ্ধে করা ৭৩টি পিটিশনের শুনানি শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ সংশোধিত ওয়াক
৪১ মিনিট আগেফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজা ও ইসরায়েলের দুই প্রতিবেশী লেবানন ও সিরিয়ায় দেশটির সেনারা অনির্দিষ্টকাল অবস্থান করবে। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। গতকাল বুধবার তিনি বলেছেন, গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে
২ ঘণ্টা আগেইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী বৈঠক ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার স্থান নিয়ে প্রাথমিকভাবে বিভ্রান্তির পর গতকাল বুধবার ইরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানানো হয় তথ্যটি।
৩ ঘণ্টা আগে