Ajker Patrika

ভর্তুকির চালের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় মানুষের ভিড়

আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮: ০২
ভর্তুকির চালের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় মানুষের ভিড়

ইন্দোনেশিয়ায় ভর্তুকির চাল কিনতে নারীদের দীর্ঘ লাইন দেশটির অর্থনৈতিক দুর্দশার চিত্রই তুলে ধরেছে। রাজধানী জাকার্তা থেকে ২৫ কিলোমিটার (১৫.৫ মাইল) পূর্বে বেকাসি শহরে রাষ্ট্রীয় খাদ্য সংগ্রহকারী সংস্থা বুলগ দ্বারা পরিচালিত অস্থায়ী বাজারটিতে ভিড় করেছিলেন ইন্দোনেশীয় নারীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ২৭ কোটি জনসংখ্যার অন্যতম প্রধান খাদ্যপণ্য হচ্ছে চাল। আর গত বছর থেকে দেশটিতে চালের দাম বেড়েছে ১৬ শতাংশেরও বেশি। এল নিনোর প্রভাবে ২০২৩ সালে এশিয়ার বড় একটি অংশেই কমেছে বৃষ্টিপাত। এতে কমেছে খাদ্যশস্যের উৎপাদন এবং সৃষ্টি হয়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ।

৫৫ বছর বয়সী নারকেল বিক্রেতা মসিহ ৫ কেজি (১১ পাউন্ড) চাল কেনার জন্য ধাক্কাধাক্কি করছিলেন। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘এখান থেকেই চাল কিনে ঘরে রাখা ভালো। বাজারে চালের দাম বেশি। আর এখানে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে।’

বাজারে চালের দাম প্রতি কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ৬০০ রুপিয়া। খোলা বাজারে প্রতি কেজি চালের মূল্য ১৪ হাজার ৩০০ রুপিয়া। কেউ যেন খুব বেশি চাল মজুত করতে না পারে, সে জন্য বুলগ প্রতি গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১০ কেজি চাল ক্রয় নির্ধারণ করেছে।

সরকার সাধারণত তখনই ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করে, যখন দাম অনেক বেশি বেড়ে যায়। বিভিন্ন খুচরা দোকানে ঘাটতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর বুলগ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের শত শত বাজারে সরকারি মজুত থেকে তিন লাখ টন চাল বিতরণ করেছে।

বুলগের তত্ত্বাবধানকারী সংস্থা ন্যাশনাল ফুড এজেন্সি জানিয়েছে, তারা জানুয়ারিতে ৪২৯টি অস্থায়ী বাজার পরিচালনা করেছে এবং ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ আরও ৩১৫টি বাজার বসানোর পরিকল্পনা করেছে।

চারা রোপণে বিলম্ব এবং বৃষ্টিপাতের অভাবে এ বছর ইন্দোনেশিয়ায় ফসল কাটতে এক মাস দেরি হয়েছে। দেশটির খামারবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, জানুয়ারিতে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টন এবং ফেব্রুয়ারিতে ১১ লাখ ৫০ হাজার টন চাল সরবরাহের ঘাটতি দেখানো হয়েছে।

২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ চাল আমদানি করেছিল ইন্দোনেশিয়া। ২০২৪ সালের জন্য পূর্বে অনুমোদিত হয়েছিল ২০ লাখ টন চাল। এর সঙ্গে আরও ১৬ লাখ টন চাল অতিরিক্ত আমদানির জন্য বরাদ্দ করেছে দেশটির সরকার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত