অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বখ্যাত ‘নাপাম গার্ল’ ছবিটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ১৯৭৩ সালে ‘দ্য টেরর অব ওয়ার’ নামে পরিচিত এই ছবি যখন ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতে নেয়, তখন এর স্বত্ব ছিল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফটোগ্রাফার নিক উটের নামে। কিন্তু সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ছবিটির পূর্বনির্ধারিত স্বত্ব ‘স্থগিত’ করেছে।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটির দৃশ্যমান ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ নতুন এক মতকে সমর্থন করে। আর তা হলো—বিখ্যাত এই ছবিটি নিক উট নয়, বরং গুয়েন থান-ঙ্গে নামে একজন ভিয়েতনামের ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী তুলেছিলেন।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, নতুন বিতর্কটি শুরু হয়েছে ‘দ্য স্ট্রিঙ্গার’ নামে একটি তথ্যচিত্রের সূত্র ধরে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এতে দাবি করা হয়, ১৯৭২ সালের ৮ জুন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ ভিয়েতনামী বিমানবাহিনীর এক নাপাম বোমা হামলা থেকে পালিয়ে আসা শিশু ফান থি কিম ফুকের ছবিটি তুলেছিলেন গুয়েন থান-ঙ্গে। পরবর্তী সময়ে ছবিটি তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু সংস্থাটি তাদের নিজস্ব স্টাফ ফটোগ্রাফার নিক উটের নামে এটির স্বত্ব দেয়।
নিক উট অবশ্য বারবার দাবি করে এসেছেন, ছবিটি তিনিই তুলেছেন। তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে ‘অপেশাদার ও নিন্দনীয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, গুয়েন থান-ঙ্গে পক্ষে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ৯৬ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও। এতে সাক্ষাৎকার, ক্যামেরা পরীক্ষা, থ্রিডি মডেল এবং ছবি বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, এটির স্বত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে—এমন কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। যদিও তারা স্বীকার করেছে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করা কঠিন।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর নির্বাহী পরিচালক জুমানা এল জেইন খৌরি বলেন, ‘অত্যধিক সন্দেহ থাকার কারণে পুরোনো স্বত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। তবে কোনো নতুন আলোকচিত্রীর নামে স্বত্ব নির্ধারণ করার মতো স্পষ্ট প্রমাণও নেই।’
তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ছবিটি যে জায়গা থেকে তোলা হয়েছে, তা থেকে নিক উটের অবস্থান ছিল প্রায় ৬০ মিটার দূরে। এত কম সময়ে তিনি ছবিটি তুলে দৌড়ে গিয়ে আহত শিশুদের সাহায্য করেছেন—এই ধারণাকে তারা ‘অসাধারণ, তবে অসম্ভব নয়’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। যদিও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, দূরত্বটি সম্ভবত ৩৩ মিটারের কাছাকাছি, যা উটের পক্ষে সম্ভব।
ক্যামেরা সম্পর্কেও রয়েছে মতভেদ। নিক উট সাধারণত লেইকা ও নাইকন ক্যামেরা ব্যবহার করতেন। কিন্তু অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, তিনি পেন্টাক্স ক্যামেরাও ব্যবহার করতেন এবং আর্কাইভে তাঁর এমন ছবি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, গুয়েন থান-ঙ্গের ক্যামেরাটি নিশ্চিতভাবেই ছিল পেন্টাক্সের। এই তথ্য বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এ ছাড়া হুয়িন কং ফুক নামে আরও এক ভিয়েতনামী সামরিক আলোকচিত্রীর নাম বিতর্কে উঠে এসেছে। তিনিও তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সংস্থাগুলোর কাছে ছবি বিক্রি করতেন।
উল্লেখ্য, ‘নাপাম গার্ল’ ছবিটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়েছিল। ছবির শিশুটি কিম ফুক বর্তমানে কানাডায় বাস করছেন। তিনি এবং নিক উট বহু বছর ধরে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে আসছেন।
নিক উট এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ছবিটির স্বত্ব তাঁরই প্রাপ্য। তিনি বলেন, ‘এই বিতর্ক আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে।’
বিশ্বখ্যাত ‘নাপাম গার্ল’ ছবিটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ১৯৭৩ সালে ‘দ্য টেরর অব ওয়ার’ নামে পরিচিত এই ছবি যখন ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতে নেয়, তখন এর স্বত্ব ছিল অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফটোগ্রাফার নিক উটের নামে। কিন্তু সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ছবিটির পূর্বনির্ধারিত স্বত্ব ‘স্থগিত’ করেছে।
সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটির দৃশ্যমান ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ নতুন এক মতকে সমর্থন করে। আর তা হলো—বিখ্যাত এই ছবিটি নিক উট নয়, বরং গুয়েন থান-ঙ্গে নামে একজন ভিয়েতনামের ফ্রিল্যান্স আলোকচিত্রী তুলেছিলেন।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, নতুন বিতর্কটি শুরু হয়েছে ‘দ্য স্ট্রিঙ্গার’ নামে একটি তথ্যচিত্রের সূত্র ধরে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। এতে দাবি করা হয়, ১৯৭২ সালের ৮ জুন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন দক্ষিণ ভিয়েতনামী বিমানবাহিনীর এক নাপাম বোমা হামলা থেকে পালিয়ে আসা শিশু ফান থি কিম ফুকের ছবিটি তুলেছিলেন গুয়েন থান-ঙ্গে। পরবর্তী সময়ে ছবিটি তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু সংস্থাটি তাদের নিজস্ব স্টাফ ফটোগ্রাফার নিক উটের নামে এটির স্বত্ব দেয়।
নিক উট অবশ্য বারবার দাবি করে এসেছেন, ছবিটি তিনিই তুলেছেন। তিনি তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে ‘অপেশাদার ও নিন্দনীয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, গুয়েন থান-ঙ্গে পক্ষে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী বা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই।
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ৯৬ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও। এতে সাক্ষাৎকার, ক্যামেরা পরীক্ষা, থ্রিডি মডেল এবং ছবি বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, এটির স্বত্ব পরিবর্তন করা হয়েছে—এমন কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। যদিও তারা স্বীকার করেছে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় বিষয়টি চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করা কঠিন।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর নির্বাহী পরিচালক জুমানা এল জেইন খৌরি বলেন, ‘অত্যধিক সন্দেহ থাকার কারণে পুরোনো স্বত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। তবে কোনো নতুন আলোকচিত্রীর নামে স্বত্ব নির্ধারণ করার মতো স্পষ্ট প্রমাণও নেই।’
তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ছবিটি যে জায়গা থেকে তোলা হয়েছে, তা থেকে নিক উটের অবস্থান ছিল প্রায় ৬০ মিটার দূরে। এত কম সময়ে তিনি ছবিটি তুলে দৌড়ে গিয়ে আহত শিশুদের সাহায্য করেছেন—এই ধারণাকে তারা ‘অসাধারণ, তবে অসম্ভব নয়’ হিসেবে বিবেচনা করেছেন। যদিও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, দূরত্বটি সম্ভবত ৩৩ মিটারের কাছাকাছি, যা উটের পক্ষে সম্ভব।
ক্যামেরা সম্পর্কেও রয়েছে মতভেদ। নিক উট সাধারণত লেইকা ও নাইকন ক্যামেরা ব্যবহার করতেন। কিন্তু অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বলছে, তিনি পেন্টাক্স ক্যামেরাও ব্যবহার করতেন এবং আর্কাইভে তাঁর এমন ছবি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, গুয়েন থান-ঙ্গের ক্যামেরাটি নিশ্চিতভাবেই ছিল পেন্টাক্সের। এই তথ্য বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এ ছাড়া হুয়িন কং ফুক নামে আরও এক ভিয়েতনামী সামরিক আলোকচিত্রীর নাম বিতর্কে উঠে এসেছে। তিনিও তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং সংস্থাগুলোর কাছে ছবি বিক্রি করতেন।
উল্লেখ্য, ‘নাপাম গার্ল’ ছবিটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে যুদ্ধবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়েছিল। ছবির শিশুটি কিম ফুক বর্তমানে কানাডায় বাস করছেন। তিনি এবং নিক উট বহু বছর ধরে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে আসছেন।
নিক উট এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ছবিটির স্বত্ব তাঁরই প্রাপ্য। তিনি বলেন, ‘এই বিতর্ক আমাকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছে।’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। এই চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি এবং সংঘাত নিষ্পত্তির নীতিমালা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে বলে জানান তিনি। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে
৫ ঘণ্টা আগেভারতভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিক ও কর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৯ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, এই এজেন্সিগুলো জেনেশুনে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের সুবিধা দিচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ
৬ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় গাজা উপত্যকার ৯২ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) সংস্থাটি জানায়, গাজার পরিবারগুলো এক অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞের শিকার।
৬ ঘণ্টা আগেরাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের আগে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের ‘রক্তপাত’ থামানোই এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স নিশ্চিত করেছে,
৭ ঘণ্টা আগে