অনলাইন ডেস্ক
গত সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালানোর সময় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে কামান ও ড্রোন হামলায় শিশুসহ দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে সহিংসতা থেকে বাঁচতে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিলেন যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি দল। এ সময় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কিছু মরদেহ এবং তাদের ব্যাগগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান লুইন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা মং নি, মায়োমা তাউং এবং মায়োমা কাইন দান সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলেন। পালানোর দিন বিকেল ৫টার দিকে তাদের ওপর ড্রোন হামলা শুরু হয়।
নে সান লুইন বলেন, ‘তারা আমাকে বলছে অন্তত ২০০ জনের বেশি নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে। লাশগুলো সংগ্রহ করার কেউ নেই। সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে। কেউ কেউ অবশ্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।’
জীবিতদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তবে বেঁচে থাকাদের মধ্যে একজন অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারণা দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অনেকেই।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে উৎখাত করতে চাওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মধ্যে আরাকান আর্মি একটি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাখাইন রাজ্যের বিশাল এলাকা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তারা দখল করেছে।
রোহিঙ্গা দলটির ওপর নিধনযজ্ঞের ঘটনায় মিলিশিয়া এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একে অপরকে দায়ী করেছে। তবে অ্যাকটিভিস্টরা বলছে, তাদের ধারণা এই ঘটনার জন্য আরাকান আর্মি দায়ী। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই দলটি।
অধিকারকর্মীরা জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে হত্যা, গ্রামগুলোতে অগ্নিসংযোগ এবং যুবকদের জোর করে বাহিনীতে নিয়োগ দিচ্ছে।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী রহিম নামে একজন গার্ডিয়ানকে বলেছেন, আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি গ্রাম থেকে ড্রোনগুলো উড়ে এসেছিল এবং বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা করেছিল।
রহিমের পরিবার সহিংসতা থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কারণ তারা কাছাকাছি একটি গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে একটি নৌকার ব্যবস্থা করে গত ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৪টায় পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন রহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশে থাকতে পারব না। আমাদের হত্যা করা হবে। তাই আমরা নৌকা নিয়ে সেই সকালেই সীমান্ত পার হলাম। মৃতদেহ এখানে-ওখানে, সব জায়গায় পড়েছিল। আহতদের সাহায্য করতে সেখানে কেউ যেতে পারেনি।’
রহিম আরও বলেন, ‘আমরা যখন ওই জায়গা দিয়ে আসছিলাম, তখনো কিছু লোক বেঁচে ছিল। কিন্তু সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। আমি এখনো একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি। একজন বলছিলেন—আমি এখনো মরিনি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু কেউ তাদের সাহায্য করতে যায়নি। কারণ সবাই তাদের নিজেদের জীবন বাঁচাতে ছুটেছে।’
যারা বেঁচেছিলেন তাঁরা পালিয়ে আসতে নৌকাগুলোর জন্য মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। রহিম জানান, তার এক বন্ধু পালানোর চেষ্টা করার জন্য একটি ছোট নৌকায় উঠেছিল কিন্তু সেটি মানুষের চাপে ডুবে যায়। এতে তাঁর পাঁচ সন্তান মারা যায়।
গত সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালানোর সময় বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে কামান ও ড্রোন হামলায় শিশুসহ দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে সহিংসতা থেকে বাঁচতে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছিলেন যখন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একটি দল। এ সময় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, বেশ কিছু মরদেহ এবং তাদের ব্যাগগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান লুইন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা মং নি, মায়োমা তাউং এবং মায়োমা কাইন দান সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করেছিলেন। পালানোর দিন বিকেল ৫টার দিকে তাদের ওপর ড্রোন হামলা শুরু হয়।
নে সান লুইন বলেন, ‘তারা আমাকে বলছে অন্তত ২০০ জনের বেশি নিহত এবং প্রায় ৩০০ জন আহত হয়েছে। লাশগুলো সংগ্রহ করার কেউ নেই। সবাই প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে। কেউ কেউ অবশ্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।’
জীবিতদের মধ্যে কয়েকজন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা বিশ্বাস করেন ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। তবে বেঁচে থাকাদের মধ্যে একজন অ্যাসোসিয়েট প্রেসকে জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারণা দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন অনেকেই।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে উৎখাত করতে চাওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মধ্যে আরাকান আর্মি একটি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাখাইন রাজ্যের বিশাল এলাকা সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তারা দখল করেছে।
রোহিঙ্গা দলটির ওপর নিধনযজ্ঞের ঘটনায় মিলিশিয়া এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী একে অপরকে দায়ী করেছে। তবে অ্যাকটিভিস্টরা বলছে, তাদের ধারণা এই ঘটনার জন্য আরাকান আর্মি দায়ী। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই দলটি।
অধিকারকর্মীরা জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে হত্যা, গ্রামগুলোতে অগ্নিসংযোগ এবং যুবকদের জোর করে বাহিনীতে নিয়োগ দিচ্ছে।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী রহিম নামে একজন গার্ডিয়ানকে বলেছেন, আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি গ্রাম থেকে ড্রোনগুলো উড়ে এসেছিল এবং বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা করেছিল।
রহিমের পরিবার সহিংসতা থেকে রক্ষা পেয়েছিল। কারণ তারা কাছাকাছি একটি গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে একটি নৌকার ব্যবস্থা করে গত ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৪টায় পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন রহিম। তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশে থাকতে পারব না। আমাদের হত্যা করা হবে। তাই আমরা নৌকা নিয়ে সেই সকালেই সীমান্ত পার হলাম। মৃতদেহ এখানে-ওখানে, সব জায়গায় পড়েছিল। আহতদের সাহায্য করতে সেখানে কেউ যেতে পারেনি।’
রহিম আরও বলেন, ‘আমরা যখন ওই জায়গা দিয়ে আসছিলাম, তখনো কিছু লোক বেঁচে ছিল। কিন্তু সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। আমি এখনো একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি। একজন বলছিলেন—আমি এখনো মরিনি। দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু কেউ তাদের সাহায্য করতে যায়নি। কারণ সবাই তাদের নিজেদের জীবন বাঁচাতে ছুটেছে।’
যারা বেঁচেছিলেন তাঁরা পালিয়ে আসতে নৌকাগুলোর জন্য মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। রহিম জানান, তার এক বন্ধু পালানোর চেষ্টা করার জন্য একটি ছোট নৌকায় উঠেছিল কিন্তু সেটি মানুষের চাপে ডুবে যায়। এতে তাঁর পাঁচ সন্তান মারা যায়।
আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে গত রোববার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ৫ দিনে ৭ শতাধিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় বৃহত্তম শহর গোমাতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া, আরও ২ হাজার ৮০০ জন...
১ ঘণ্টা আগেমহারাষ্ট্র রাজ্যের থানে জেলার ভিবান্ডির একটি অর্কেস্ট্রা বার থেকে নয় নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। পুলিশ বলছে, গত বৃহস্পতিবার অভিযানে গ্রেপ্তার নারীরা বাংলাদেশি। তাঁরা অবৈধভাবে বারে নাচের পেশায় যুক্ত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে। অন্তত সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে মার্কিন দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সাক্ষাৎ এবং কারাকাস থেকে ৬ মার্কিন নাগরিককে দেশে ফেরার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এই ইঙ্গিতই দেয়
১ ঘণ্টা আগেআফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানের একটি পশুর খামারে সশস্ত্র লুটেরাদের হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সকালে পূর্ব ইকুয়াতোরিয়া রাজ্যের মাগুই কাউন্টির নিয়োলো বোমায় দিনকা বোর এলাকায় পশুপালকদের তিনটি ক্যাম্পে লুটেরারা হামলা চালালে...
২ ঘণ্টা আগে