নাগর্নো-কারাবাখের একটি জ্বালানি ডিপোতে এক বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষ। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্মেনীয়দের কাছে স্টেপানাকার্ট নামে পরিচিত খানকেন্দি শহরের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিস্ফোরণের স্থানে ১৩টি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছে আরও সাতজন। চিকিৎসকেরা কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন মাত্রায় পোড়া ২৯০ জন রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
মানবাধিকার ন্যায়পাল গেঘাম স্টেপানিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, অধিকাংশের অবস্থাই অত্যন্ত গুরুতর। নাগর্নো-কারাবাখের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা এ অবস্থায় যথেষ্ট নয়।
আর্মেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে, তারা অঞ্চলটি থেকে রোগীদের সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে। আজারবাইজানও জানিয়েছে সেখানে চিকিৎসাসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রিত এই বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়র আবাসস্থল। আর্মেনিয়ার সরকার বলেছে, প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার আর্মেনীয় নাগর্নো-কারাবাখ থেকে দেশে প্রবেশ করেছে। বড়সংখ্যক আর্মেনীয় এলাকাটি ত্যাগ করছে বলে একমাত্র পথটিতে যানবাহনের ভিড় ছিল অনেক বেশি। পেট্রল স্টেশনগুলোতেও ছিল একই দৃশ্য। এক মাসের অবরোধের কারণে অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে জ্বালানি ঘাটতি।
গত সপ্তাহে নাগর্নো-কারাবাখ দখল করে আজারবাইজান। এরপর ইয়েরেভানে আর্মেনিয়ান সরকার ছিটমহলটিতে বসবাস করা জাতিগত আর্মেনীয়দের দেশে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। যুদ্ধের ফলে গৃহহীনদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, নাগর্নো-কারাবাখে চলছে জাতিগত নিধন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এটি ঘটছে এবং খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হলো আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছিলাম।
তবে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আজারবাইজান। বাকু বলেছে যে, কারাবাখের বাসিন্দারা অন্যান্য নাগরিকের মতো একই অধিকার ভোগ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান সামান্থা পাওয়ার আজারবাইজানকে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার এবং নাগর্নো-কারাবাখের বেসামরিক নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতদের আগামী মঙ্গলবার ব্রাসেলসে আলোচনার জন্য মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত সপ্তাহে আজারবাইজান ছিটমহলটি দখল করার পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। দুই পক্ষের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
নাগর্নো-কারাবাখের একটি জ্বালানি ডিপোতে এক বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষ। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আর্মেনীয়দের কাছে স্টেপানাকার্ট নামে পরিচিত খানকেন্দি শহরের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন যে, বিস্ফোরণের স্থানে ১৩টি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছে আরও সাতজন। চিকিৎসকেরা কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচাতে কাজ করছেন এবং বিভিন্ন মাত্রায় পোড়া ২৯০ জন রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
মানবাধিকার ন্যায়পাল গেঘাম স্টেপানিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, অধিকাংশের অবস্থাই অত্যন্ত গুরুতর। নাগর্নো-কারাবাখের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা এ অবস্থায় যথেষ্ট নয়।
আর্মেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে যে, তারা অঞ্চলটি থেকে রোগীদের সরিয়ে নিতে হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে। আজারবাইজানও জানিয়েছে সেখানে চিকিৎসাসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
আজারবাইজানের নিয়ন্ত্রিত এই বিরোধপূর্ণ অঞ্চলটি প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়র আবাসস্থল। আর্মেনিয়ার সরকার বলেছে, প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার আর্মেনীয় নাগর্নো-কারাবাখ থেকে দেশে প্রবেশ করেছে। বড়সংখ্যক আর্মেনীয় এলাকাটি ত্যাগ করছে বলে একমাত্র পথটিতে যানবাহনের ভিড় ছিল অনেক বেশি। পেট্রল স্টেশনগুলোতেও ছিল একই দৃশ্য। এক মাসের অবরোধের কারণে অঞ্চলটিতে দেখা দিয়েছে জ্বালানি ঘাটতি।
গত সপ্তাহে নাগর্নো-কারাবাখ দখল করে আজারবাইজান। এরপর ইয়েরেভানে আর্মেনিয়ান সরকার ছিটমহলটিতে বসবাস করা জাতিগত আর্মেনীয়দের দেশে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। যুদ্ধের ফলে গৃহহীনদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, নাগর্নো-কারাবাখে চলছে জাতিগত নিধন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে এটি ঘটছে এবং খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হলো আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছিলাম।
তবে জাতিগত নিধনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আজারবাইজান। বাকু বলেছে যে, কারাবাখের বাসিন্দারা অন্যান্য নাগরিকের মতো একই অধিকার ভোগ করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রধান সামান্থা পাওয়ার আজারবাইজানকে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার এবং নাগর্নো-কারাবাখের বেসামরিক নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতদের আগামী মঙ্গলবার ব্রাসেলসে আলোচনার জন্য মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত সপ্তাহে আজারবাইজান ছিটমহলটি দখল করার পর এই প্রথম দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। দুই পক্ষের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা নিজ নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।
নেপালের পর্যটন এলাকা চন্দ্রগিরিতে একটি কেবল কারে আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া, বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মার্কেট, নেতাদের বাসভবন এমনকি থানাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
২ ঘণ্টা আগে‘মধ্যস্থতাকারী’—শব্দটা যেন কাতারের প্রতিশব্দই হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দ্বন্দ্ব চলছে এমন দুই দেশের সঙ্গে বেশ আলাদাভাবে সুসম্পর্ক রয়েছে কাতারের। এবং বরাবরই বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা যায় এই আরব দেশটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, হামাস-
২ ঘণ্টা আগেভারত মিয়ানমারের শক্তিশালী এক বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সহায়তায় দেশটি থেকে বিরল খনিজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছেন, চীনের কড়া নিয়ন্ত্রণে থাকা এ কৌশলগত সম্পদের বিকল্প উৎস খুঁজছে দিল্লি। ভারতের খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিয়ানমারের উত্তর
২ ঘণ্টা আগেভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, নেপালের উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-নেপাল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সশস্ত্র সীমা বল পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
২ ঘণ্টা আগে