ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। যাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তিনি একজনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুদণ্ড নিজ হাতে কার্যকর করেছেন হত্যার শিকার হওয়ার ব্যক্তির বাবা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তালেবানের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম ফারাহ প্রদেশের একটি জনাকীর্ণ ক্রীড়া স্টেডিয়ামে ভুক্তভোগীর বাবা তিনটি গুলি করে অভিযুক্তর মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় তালেবানের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা গত মাসে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। আদেশে তিনি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, অঙ্গচ্ছেদ এবং পাথর নিক্ষেপের মতো শাস্তি অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর এ নির্দেশনার কয়েক সপ্তাহ পরেই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
বিবিসি জানিয়েছে, কোন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের শাস্তি প্রদান করা হবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি তালেবান সরকার। তবে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় অপরাধীদের প্রকাশ্যে দোররা মারা হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছে, বুধবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতি, সামরিক কর্মী এবং বিচার, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ উপস্থিত ছিলেন না।
তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হেরাত প্রদেশের বাসিন্দা তাজমি প্রায় পাঁচ বছর আগে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলেন। পরে তালেবানের তিনটি আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হোন। মোল্লা আখুন্দজাদা তার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন।
নিহত ব্যক্তির মা বিবিসিকে বলেছেন, তালেবান নেতারা তাঁকে ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দোষী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, এই লোকটিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে এবং আমার ছেলের মতোই কবর দিতে হবে। এ থেকে অন্য মানুষেরা শিক্ষা নিতে পারবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আহ্বান জানাই।
তালেবান গোষ্ঠী ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল। তখনো তারা কাবুলের জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করত। সে সব মৃত্যুদণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী নিন্দার শিকার হয়েছিল তালেবান।
গত বছর পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণের পর তালেবানরা অঙ্গীকার করে বলেছিল, তারা আগের মতো দমন-পীড়ন করবে না। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই তারা নারীর স্বাধীনতা কঠোরভাবে খর্ব করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। যাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তিনি একজনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুদণ্ড নিজ হাতে কার্যকর করেছেন হত্যার শিকার হওয়ার ব্যক্তির বাবা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তালেবানের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম ফারাহ প্রদেশের একটি জনাকীর্ণ ক্রীড়া স্টেডিয়ামে ভুক্তভোগীর বাবা তিনটি গুলি করে অভিযুক্তর মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময় তালেবানের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা গত মাসে একটি আদেশ জারি করেছিলেন। আদেশে তিনি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড, অঙ্গচ্ছেদ এবং পাথর নিক্ষেপের মতো শাস্তি অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর এ নির্দেশনার কয়েক সপ্তাহ পরেই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
বিবিসি জানিয়েছে, কোন কোন অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের শাস্তি প্রদান করা হবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি তালেবান সরকার। তবে সম্প্রতি আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি জায়গায় অপরাধীদের প্রকাশ্যে দোররা মারা হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছে, বুধবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সময়ে সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতি, সামরিক কর্মী এবং বিচার, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দ উপস্থিত ছিলেন না।
তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হেরাত প্রদেশের বাসিন্দা তাজমি প্রায় পাঁচ বছর আগে মোস্তফা নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছিলেন। পরে তালেবানের তিনটি আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হোন। মোল্লা আখুন্দজাদা তার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন।
নিহত ব্যক্তির মা বিবিসিকে বলেছেন, তালেবান নেতারা তাঁকে ক্ষমা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দোষী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, এই লোকটিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে এবং আমার ছেলের মতোই কবর দিতে হবে। এ থেকে অন্য মানুষেরা শিক্ষা নিতে পারবে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার আহ্বান জানাই।
তালেবান গোষ্ঠী ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ছিল। তখনো তারা কাবুলের জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করত। সে সব মৃত্যুদণ্ডের জন্য বিশ্বব্যাপী নিন্দার শিকার হয়েছিল তালেবান।
গত বছর পুনরায় ক্ষমতায় আরোহণের পর তালেবানরা অঙ্গীকার করে বলেছিল, তারা আগের মতো দমন-পীড়ন করবে না। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই তারা নারীর স্বাধীনতা কঠোরভাবে খর্ব করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ইরানের এক শীর্ষ কট্টরপন্থী রাজনীতিক মোহাম্মদ-হোসেইন সাফফার-হারান্দি দাবি করেছেন, রাশিয়া আগেই ইসরায়েলের কাছ থেকে জানতে পেরেছিল যে, তারা ইরান সরকারের পতনের পরিকল্পনা করছে। তাঁর এই মন্তব্যে ইরানে রাশিয়ার ভূমিকাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণী নীল তিমি, আগের মতো আর গান গাইছে না। এই নীরবতা বিজ্ঞানীদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে সমুদ্রের তলদেশে বসানো একটি হাইড্রোফোনে (ধ্বনি সংগ্রাহক যন্ত্র) ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নীল তিমির গানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভা
৬ ঘণ্টা আগেইন্টেলের নতুন প্রধান নির্বাহী (সিইও) লিপ-বু তানের পদত্যাগ দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি তানকে ‘চরম বিরোধপূর্ণ’ একজন ব্যক্তি বলে অভিহিত করেছেন। চিনের বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তানের সম্পর্কের কারণে ইন্টেলের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের জেরে যখন ভারত-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে, ঠিক সেই সময়েই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ ক্রেমলিনের প্রেস সার্ভিসের বরাত দিয়ে
৭ ঘণ্টা আগে