Ajker Patrika

রমজানে ডায়াবেটিস রোগীরা সচেতন থাকুন

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৩, ১২: ১৩
Thumbnail image

যেহেতু রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ পানাহার বন্ধ থাকে এবং অনেক ডায়াবেটিস রোগীই ইনসুলিন নেন বা মুখে ওষুধ খান। তাই তাঁদের বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এ মাসে।

রোজায় খাবারদাবার

  • সাহ্‌রি যতটা সম্ভব দেরি করে খেতে হবে, অর্থাৎ শেষ সময়ে খেতে হবে। সাহ্‌রি না খেয়ে রোজা রাখা যাবে না।
  • ইফতারে প্রয়োজনীয় পানি পান করতে হবে। মিষ্টিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
  • মিষ্টি, জিলাপি, চিনির শরবত না খেয়ে ডাবের পানি, লেবুপানি পান করতে হবে।

ব্যায়াম
আমরা সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীদের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে বা ব্যায়াম করতে বলি। কিন্তু রোজার মাসে দিনের বেলা ব্যায়াম করা যাবে না। প্রয়োজনে ইফতারের দুই ঘণ্টা পর হাঁটা বা ব্যায়াম করা যায়। তবে ২০ রাকাত তারাবিহর নামাজ পড়লে আর ব্যায়াম না করলেও চলবে।

রোজা রেখে করণীয়
নিয়মিত বাড়িতে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করাতে হবে। ইফতারের দুই ঘণ্টা আগে ও ইফতারের দুই ঘণ্টা পরে, দিনের মধ্যভাগে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করাতে পারেন। রোজা রেখে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা যায় এবং ইনসুলিনও নেওয়া যায়। 

এ সময় যেসব সমস্যা হতে পারে

  • ব্লাড সুগার কমে যেতে পারে। শরীর কাঁপছে, চোখে ঝাপসা দেখছেন বা বুক ধড়ফড় করছে—এমন হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস কমে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে রোজা ভেঙে ফেলা যাবে।
  • ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে।
  • পানিশূন্যতা হতে পারে। 

স্বাস্থ্যগত উপকার

  • শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালো হয়।
  • ওজন কমে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
  • শরীরের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশিত হয়।

যাঁদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ

  • যাঁদের রমজানের আগে
  • ব্লাড সুগার কমে যাওয়ার ইতিহাস আছে।
  • যাঁরা কিডনির রোগী ও ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন।
  • যাঁরা গর্ভবতী ও ইনসুলিন নিচ্ছেন।

রোজায় ওষুধ ও ইনসুলিন
ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো রমজান মাসের জন্য ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা ও সময় ঠিক করে নেবেন।

ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত