ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম
অ্যাপেনডিসাইটিস একটি অত্যন্ত সাধারণ সার্জিক্যাল সমস্যা। অ্যাপেনডিসাইটিস হলে প্রথমে নাভির চারপাশে ব্যথা করে। তারপর সেই ব্যথা তলপেটের ডান দিকে চলে যায়। ব্যথার সঙ্গে হালকা জ্বর থাকতে পারে, বমি বমি ভাবও থাকতে পারে। এগুলোই অ্যাপেনডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণ।
এ ছাড়া তলপেটের ডান দিকে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। যেমন—কারও যদি ডান আর্টার অথবা প্রস্রাবের নালিতে পাথর থাকে, সে ক্ষেত্রেও ব্যথা থাকতে পারে। এ ছাড়া কারও যদি হঠাৎ করে গ্যাস্ট্রোএন্টারেটিস্ট, অর্থাৎ পেট খারাপ হয়, সে ক্ষেত্রেও তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
নারীদের ক্ষেত্রে অ্যাক্টোপিক প্রেগন্যান্সি যদি হয়, অর্থাৎ কারও গর্ভধারণ যদি জরায়ুতে না হয়ে একটি নালিতে হয়ে যায়, বিশেষ করে ডান দিকের নালিতে যদি হয়; সে ক্ষেত্রেও কিন্তু তলপেটে হঠাৎ করে ব্যথা হতে পারে। কারও যদি ডান ওভারিতে ব্যথা হয়, তাহলেও তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
কাজেই ডান দিকে ব্যথা হলেই যে অ্যাপেনডিসাইটিস হবে, বিষয়টি সে রকম নয়। অনেকেই বলে থাকেন, অ্যাপেনডিসাইটিস হলেই অপারেশন করাতে হবে, অপারেশন না করালে অ্যাপেনডিক্স ফেটে যেতে পারে এবং রোগী মারা যেতে পারে। অ্যাপেনডিসাইটিস বিভিন্ন রকম হতে পারে, কারও অ্যাকুইট অ্যাপেনডিসাইটিস হতে পারে, কারও দেখা যায় বারবার ব্যথা হয়, সেটাকে রিকোয়াররেন্ট অ্যাপেনডিসাইটিস বলা হয়। কারও যদি অ্যাপেনডিসাইটিস হয় এবং তাঁর যদি শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে, ডায়াবেটিস না থাকে, যদি গর্ভবতী না হন কিংবা শারীরিক দুর্বলতা না থাকে, তবে অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমেও অ্যাপেনডিসাইটিস নিরাময় সম্ভব। কিন্তু অ্যাপেনডিসাইটিসের ক্ষেত্রে যথাসময়ে অপারেশন না করালে অ্যাপেনডিকুলার অ্যাবসাস বা অ্যাপেনডিকুলার লাম্ব হতে পারে। কিংবা ব্রাস্ট অ্যাপেনডিস্ক হতে পারে। সে জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অ্যাপেনডিসাইটিসের ধরন নির্ণয় করতে পারলে দ্রুত অপারেশন করে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কেননা, সঠিক সময়ে অপারেশন না করলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হলে তাকে অ্যাপেনডিসাইটিস বলা হয়। তলপেটের ডান দিকে ব্যথা মানেই কিন্তু অ্যাপেনডিসাইটিস নয়। বিভিন্ন কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যেমন—নারীর মূত্রথলিতে পাথর, অ্যাক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, প্রস্রাবের সমস্যা বা ইনফেকশন, শ্রোণির প্রদাহ বা জরায়ু, ডিম্বনালি ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ ইত্যাদি। এ রকম সমস্যা হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে হবে। চিকিৎসক যদি অপারেশনের পরামর্শ দেন, তাহলে দ্রুততম সময়ে অপারেশন করতে হবে। নইলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে।
বর্তমানে অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন অত্যন্ত সহজভাবে করা সম্ভব। অপারেশনের ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কপিক করা যায়। কয়েকটি ছিদ্র করেই সেটি করা সম্ভব। এতে সুবিধা হচ্ছে, রোগীর অ্যাপেনডিসাইটিস আছে কি না, সেটি ল্যাপারোস্কপিকের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি), জেনারেল ও কোলো-রেকটাল সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
অ্যাপেনডিসাইটিস একটি অত্যন্ত সাধারণ সার্জিক্যাল সমস্যা। অ্যাপেনডিসাইটিস হলে প্রথমে নাভির চারপাশে ব্যথা করে। তারপর সেই ব্যথা তলপেটের ডান দিকে চলে যায়। ব্যথার সঙ্গে হালকা জ্বর থাকতে পারে, বমি বমি ভাবও থাকতে পারে। এগুলোই অ্যাপেনডিসাইটিসের সাধারণ লক্ষণ।
এ ছাড়া তলপেটের ডান দিকে বিভিন্ন কারণে ব্যথা হতে পারে। যেমন—কারও যদি ডান আর্টার অথবা প্রস্রাবের নালিতে পাথর থাকে, সে ক্ষেত্রেও ব্যথা থাকতে পারে। এ ছাড়া কারও যদি হঠাৎ করে গ্যাস্ট্রোএন্টারেটিস্ট, অর্থাৎ পেট খারাপ হয়, সে ক্ষেত্রেও তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
নারীদের ক্ষেত্রে অ্যাক্টোপিক প্রেগন্যান্সি যদি হয়, অর্থাৎ কারও গর্ভধারণ যদি জরায়ুতে না হয়ে একটি নালিতে হয়ে যায়, বিশেষ করে ডান দিকের নালিতে যদি হয়; সে ক্ষেত্রেও কিন্তু তলপেটে হঠাৎ করে ব্যথা হতে পারে। কারও যদি ডান ওভারিতে ব্যথা হয়, তাহলেও তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
কাজেই ডান দিকে ব্যথা হলেই যে অ্যাপেনডিসাইটিস হবে, বিষয়টি সে রকম নয়। অনেকেই বলে থাকেন, অ্যাপেনডিসাইটিস হলেই অপারেশন করাতে হবে, অপারেশন না করালে অ্যাপেনডিক্স ফেটে যেতে পারে এবং রোগী মারা যেতে পারে। অ্যাপেনডিসাইটিস বিভিন্ন রকম হতে পারে, কারও অ্যাকুইট অ্যাপেনডিসাইটিস হতে পারে, কারও দেখা যায় বারবার ব্যথা হয়, সেটাকে রিকোয়াররেন্ট অ্যাপেনডিসাইটিস বলা হয়। কারও যদি অ্যাপেনডিসাইটিস হয় এবং তাঁর যদি শারীরিক অবস্থা ভালো থাকে, ডায়াবেটিস না থাকে, যদি গর্ভবতী না হন কিংবা শারীরিক দুর্বলতা না থাকে, তবে অনেক ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমেও অ্যাপেনডিসাইটিস নিরাময় সম্ভব। কিন্তু অ্যাপেনডিসাইটিসের ক্ষেত্রে যথাসময়ে অপারেশন না করালে অ্যাপেনডিকুলার অ্যাবসাস বা অ্যাপেনডিকুলার লাম্ব হতে পারে। কিংবা ব্রাস্ট অ্যাপেনডিস্ক হতে পারে। সে জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অ্যাপেনডিসাইটিসের ধরন নির্ণয় করতে পারলে দ্রুত অপারেশন করে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব। কেননা, সঠিক সময়ে অপারেশন না করলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।
অনেক ক্ষেত্রে তলপেটে ব্যথা হলে তাকে অ্যাপেনডিসাইটিস বলা হয়। তলপেটের ডান দিকে ব্যথা মানেই কিন্তু অ্যাপেনডিসাইটিস নয়। বিভিন্ন কারণে তলপেটে ব্যথা হতে পারে। যেমন—নারীর মূত্রথলিতে পাথর, অ্যাক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, প্রস্রাবের সমস্যা বা ইনফেকশন, শ্রোণির প্রদাহ বা জরায়ু, ডিম্বনালি ও অন্যান্য প্রজনন অঙ্গের সংক্রমণ ইত্যাদি। এ রকম সমস্যা হলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে হবে। চিকিৎসক যদি অপারেশনের পরামর্শ দেন, তাহলে দ্রুততম সময়ে অপারেশন করতে হবে। নইলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে।
বর্তমানে অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন অত্যন্ত সহজভাবে করা সম্ভব। অপারেশনের ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কপিক করা যায়। কয়েকটি ছিদ্র করেই সেটি করা সম্ভব। এতে সুবিধা হচ্ছে, রোগীর অ্যাপেনডিসাইটিস আছে কি না, সেটি ল্যাপারোস্কপিকের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি), জেনারেল ও কোলো-রেকটাল সার্জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সরকারের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ১১ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেপ্রাচীনকাল থেকেই দীর্ঘায়ু, প্রাণশক্তি ও তারুণ্য ধরে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভ্রান্ত ধারণা। তবে এসব বিভ্রান্তির মধ্যেও কয়েকটি সত্য টিকে রয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ সালে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত হিপোক্রেটিস বলেছিলেন, ‘হাঁটাহাঁটি মানুষের সেরা ওষুধ।’ দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় পর, আধুনিক
১৯ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২০২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তারা ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময়ে কোনো ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়নি। আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য...
২ দিন আগেগরিব রোগীদের অনর্থক টেস্ট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিকিৎসকদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রোগের কথা ভালোভাবে না শুনেই অনেক চিকিৎসক অনর্থক ১৪-১৫টি পরীক্ষা দেন। গরিব রোগীদের প্রতি এই অত্যাচার বন্ধ করুন।
২ দিন আগে