আয়নাল হোসেন, ঢাকা

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ইব্রাহিম সরকারের মতো সবাই এখন আর বাইরে এসব পরীক্ষা করান না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। অনেকে এখন প্রেশার বা রক্তের চাপ মাপার মেশিন, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ওজন মাপার যন্ত্র, ডায়াবেটিস পরিমাপের যন্ত্র ঘরেই রাখেন। কিন্তু আমদানি করা এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতির মান যাচাই করা হচ্ছে না। এগুলোর পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। অথচ এসব যন্ত্রের রোগের পরিমাপ সঠিক কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানির পর জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব (এনএমএল) বিভাগ এসব যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন (পরিমাপের সূক্ষ্মতা নির্ণয়) ও ভেরিফিকেশন করে। কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক নয়। তাই ক্যালিব্রেশনে খরচ আছে বিধায় বেশির ভাগ আমদানিকারক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উৎপাদনকারী কোম্পানির দেওয়া ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশনেই এসব যন্ত্রপাতি বাজারজাত হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যন্ত্রপাতি সঠিক না হলে ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। একই সঙ্গে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ভোক্তা রীতিমতো প্রতারণার শিকার হওয়ার শঙ্কা থাকে।
উত্তরার বাসিন্দা রাফি হোসেনের কথায় প্রমাণ মেলে প্রতারণার। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি একটি ওষুধের দোকান থেকে ডায়াবেটিস পরিমাপক (গ্লুকোমিটার) যন্ত্র কেনেন। কিন্তু তাঁর সেই যন্ত্রে ডায়াবেটিস অবিশ্বাস্য রকম কম রিডিং দেখাচ্ছিল। সন্দেহ হলে তিনি পরে হাসপাতালে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, তাঁর কেনা যন্ত্রের চেয়ে হাসপাতালের পরীক্ষায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বেশি দেখাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান প্যাথলজিস্ট আলমাস উদ্দিন বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন, ভেরিফিকেশন ছাড়াও নিয়মিত কিউসি (মান নিয়ন্ত্রণ) করতে হয়। এটি করা না হলে একই পরীক্ষা ভিন্ন ল্যাবে ভিন্ন ফল দেবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের রোগ নির্ণয়ের জন্য আমদানি করা মেডিকেল যন্ত্রপাতি বাজারজাত করার আগে বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ), ইউরোপের ইইউ এবং সিইর মতো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগে। এসব যন্ত্রপাতি আমদানির পর মান যাচাই বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকেরা তা মানতে বাধ্য হবেন।
মেডিকেল যন্ত্রপাতি শতভাগই আমদানিনির্ভর। চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়। তবে টাকা খরচের ভয়ে বিএসটিআইয়ের এনএমএল বিভাগ থেকে আমদানিকারকেরা যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করেন না। এই সুযোগে তাঁরা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আমদানি করে বাজারজাত করেন। এতে ঠকছেন ক্রেতা। শুধু তাই নয়, ভুল রিডিংয়ের কারণে এসব যন্ত্রপাতির ব্যবহারকারীকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখান থেকে প্রায় ২৮ হাজার যন্ত্রের ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন করেছে।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, প্রেশার মেশিন, থার্মোমিটার ও ওয়েট মিটার—এই তিনটি যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন করা উচিত। তবে বাধ্যবাধকতা না থাকায় আমদানিকারকেরা সুযোগ নিচ্ছেন। অর্থ বাঁচাতে তাঁরা ক্যালিব্রেশন করান না।
সূত্র জানায়, দেশে মেডিকেল যন্ত্রপাতির গুণাগুণ পরীক্ষার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। ২০১৫ সালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন তৈরি করে। কিন্তু আমদানি করা যন্ত্রপাতির মান যাচাইয়ের সক্ষমতা ঔষধ প্রশাসনের নেই। যন্ত্রপাতির সঠিক পরিমাপ জানতে হলে বিএসটিআই থেকে ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন দরকার।
জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ূব হোসেন বলেন, আমদানিকারকেরা নিজেরাই যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করে। অনেক সময় তৃতীয় কোনো মাধ্যমেও এটি করা হচ্ছে। তবে বিএসটিআইয়ের মেটেরোলজি ল্যাব থেকে করা হচ্ছে কি না, সেটি তাঁর জানা নেই।
মেডিকেল যন্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হেলথওয়ের মালিক নূর হোসেন বলেন, ওজন মাপার যন্ত্র ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রেশার, থার্মোমিটার, ডায়াবেটিস মেশিন ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে না। সরকার বাধ্যতামূলক করলে সবাই সেটি করবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ইব্রাহিম সরকারের মতো সবাই এখন আর বাইরে এসব পরীক্ষা করান না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। অনেকে এখন প্রেশার বা রক্তের চাপ মাপার মেশিন, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ওজন মাপার যন্ত্র, ডায়াবেটিস পরিমাপের যন্ত্র ঘরেই রাখেন। কিন্তু আমদানি করা এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতির মান যাচাই করা হচ্ছে না। এগুলোর পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। অথচ এসব যন্ত্রের রোগের পরিমাপ সঠিক কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানির পর জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব (এনএমএল) বিভাগ এসব যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন (পরিমাপের সূক্ষ্মতা নির্ণয়) ও ভেরিফিকেশন করে। কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক নয়। তাই ক্যালিব্রেশনে খরচ আছে বিধায় বেশির ভাগ আমদানিকারক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উৎপাদনকারী কোম্পানির দেওয়া ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশনেই এসব যন্ত্রপাতি বাজারজাত হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যন্ত্রপাতি সঠিক না হলে ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। একই সঙ্গে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ভোক্তা রীতিমতো প্রতারণার শিকার হওয়ার শঙ্কা থাকে।
উত্তরার বাসিন্দা রাফি হোসেনের কথায় প্রমাণ মেলে প্রতারণার। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি একটি ওষুধের দোকান থেকে ডায়াবেটিস পরিমাপক (গ্লুকোমিটার) যন্ত্র কেনেন। কিন্তু তাঁর সেই যন্ত্রে ডায়াবেটিস অবিশ্বাস্য রকম কম রিডিং দেখাচ্ছিল। সন্দেহ হলে তিনি পরে হাসপাতালে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, তাঁর কেনা যন্ত্রের চেয়ে হাসপাতালের পরীক্ষায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বেশি দেখাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান প্যাথলজিস্ট আলমাস উদ্দিন বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন, ভেরিফিকেশন ছাড়াও নিয়মিত কিউসি (মান নিয়ন্ত্রণ) করতে হয়। এটি করা না হলে একই পরীক্ষা ভিন্ন ল্যাবে ভিন্ন ফল দেবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের রোগ নির্ণয়ের জন্য আমদানি করা মেডিকেল যন্ত্রপাতি বাজারজাত করার আগে বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ), ইউরোপের ইইউ এবং সিইর মতো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগে। এসব যন্ত্রপাতি আমদানির পর মান যাচাই বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকেরা তা মানতে বাধ্য হবেন।
মেডিকেল যন্ত্রপাতি শতভাগই আমদানিনির্ভর। চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়। তবে টাকা খরচের ভয়ে বিএসটিআইয়ের এনএমএল বিভাগ থেকে আমদানিকারকেরা যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করেন না। এই সুযোগে তাঁরা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আমদানি করে বাজারজাত করেন। এতে ঠকছেন ক্রেতা। শুধু তাই নয়, ভুল রিডিংয়ের কারণে এসব যন্ত্রপাতির ব্যবহারকারীকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখান থেকে প্রায় ২৮ হাজার যন্ত্রের ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন করেছে।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, প্রেশার মেশিন, থার্মোমিটার ও ওয়েট মিটার—এই তিনটি যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন করা উচিত। তবে বাধ্যবাধকতা না থাকায় আমদানিকারকেরা সুযোগ নিচ্ছেন। অর্থ বাঁচাতে তাঁরা ক্যালিব্রেশন করান না।
সূত্র জানায়, দেশে মেডিকেল যন্ত্রপাতির গুণাগুণ পরীক্ষার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। ২০১৫ সালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন তৈরি করে। কিন্তু আমদানি করা যন্ত্রপাতির মান যাচাইয়ের সক্ষমতা ঔষধ প্রশাসনের নেই। যন্ত্রপাতির সঠিক পরিমাপ জানতে হলে বিএসটিআই থেকে ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন দরকার।
জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ূব হোসেন বলেন, আমদানিকারকেরা নিজেরাই যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করে। অনেক সময় তৃতীয় কোনো মাধ্যমেও এটি করা হচ্ছে। তবে বিএসটিআইয়ের মেটেরোলজি ল্যাব থেকে করা হচ্ছে কি না, সেটি তাঁর জানা নেই।
মেডিকেল যন্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হেলথওয়ের মালিক নূর হোসেন বলেন, ওজন মাপার যন্ত্র ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রেশার, থার্মোমিটার, ডায়াবেটিস মেশিন ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে না। সরকার বাধ্যতামূলক করলে সবাই সেটি করবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ইব্রাহিম সরকারের মতো সবাই এখন আর বাইরে এসব পরীক্ষা করান না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। অনেকে এখন প্রেশার বা রক্তের চাপ মাপার মেশিন, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ওজন মাপার যন্ত্র, ডায়াবেটিস পরিমাপের যন্ত্র ঘরেই রাখেন। কিন্তু আমদানি করা এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতির মান যাচাই করা হচ্ছে না। এগুলোর পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। অথচ এসব যন্ত্রের রোগের পরিমাপ সঠিক কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানির পর জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব (এনএমএল) বিভাগ এসব যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন (পরিমাপের সূক্ষ্মতা নির্ণয়) ও ভেরিফিকেশন করে। কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক নয়। তাই ক্যালিব্রেশনে খরচ আছে বিধায় বেশির ভাগ আমদানিকারক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উৎপাদনকারী কোম্পানির দেওয়া ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশনেই এসব যন্ত্রপাতি বাজারজাত হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যন্ত্রপাতি সঠিক না হলে ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। একই সঙ্গে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ভোক্তা রীতিমতো প্রতারণার শিকার হওয়ার শঙ্কা থাকে।
উত্তরার বাসিন্দা রাফি হোসেনের কথায় প্রমাণ মেলে প্রতারণার। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি একটি ওষুধের দোকান থেকে ডায়াবেটিস পরিমাপক (গ্লুকোমিটার) যন্ত্র কেনেন। কিন্তু তাঁর সেই যন্ত্রে ডায়াবেটিস অবিশ্বাস্য রকম কম রিডিং দেখাচ্ছিল। সন্দেহ হলে তিনি পরে হাসপাতালে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, তাঁর কেনা যন্ত্রের চেয়ে হাসপাতালের পরীক্ষায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বেশি দেখাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান প্যাথলজিস্ট আলমাস উদ্দিন বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন, ভেরিফিকেশন ছাড়াও নিয়মিত কিউসি (মান নিয়ন্ত্রণ) করতে হয়। এটি করা না হলে একই পরীক্ষা ভিন্ন ল্যাবে ভিন্ন ফল দেবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের রোগ নির্ণয়ের জন্য আমদানি করা মেডিকেল যন্ত্রপাতি বাজারজাত করার আগে বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ), ইউরোপের ইইউ এবং সিইর মতো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগে। এসব যন্ত্রপাতি আমদানির পর মান যাচাই বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকেরা তা মানতে বাধ্য হবেন।
মেডিকেল যন্ত্রপাতি শতভাগই আমদানিনির্ভর। চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়। তবে টাকা খরচের ভয়ে বিএসটিআইয়ের এনএমএল বিভাগ থেকে আমদানিকারকেরা যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করেন না। এই সুযোগে তাঁরা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আমদানি করে বাজারজাত করেন। এতে ঠকছেন ক্রেতা। শুধু তাই নয়, ভুল রিডিংয়ের কারণে এসব যন্ত্রপাতির ব্যবহারকারীকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখান থেকে প্রায় ২৮ হাজার যন্ত্রের ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন করেছে।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, প্রেশার মেশিন, থার্মোমিটার ও ওয়েট মিটার—এই তিনটি যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন করা উচিত। তবে বাধ্যবাধকতা না থাকায় আমদানিকারকেরা সুযোগ নিচ্ছেন। অর্থ বাঁচাতে তাঁরা ক্যালিব্রেশন করান না।
সূত্র জানায়, দেশে মেডিকেল যন্ত্রপাতির গুণাগুণ পরীক্ষার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। ২০১৫ সালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন তৈরি করে। কিন্তু আমদানি করা যন্ত্রপাতির মান যাচাইয়ের সক্ষমতা ঔষধ প্রশাসনের নেই। যন্ত্রপাতির সঠিক পরিমাপ জানতে হলে বিএসটিআই থেকে ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন দরকার।
জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ূব হোসেন বলেন, আমদানিকারকেরা নিজেরাই যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করে। অনেক সময় তৃতীয় কোনো মাধ্যমেও এটি করা হচ্ছে। তবে বিএসটিআইয়ের মেটেরোলজি ল্যাব থেকে করা হচ্ছে কি না, সেটি তাঁর জানা নেই।
মেডিকেল যন্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হেলথওয়ের মালিক নূর হোসেন বলেন, ওজন মাপার যন্ত্র ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রেশার, থার্মোমিটার, ডায়াবেটিস মেশিন ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে না। সরকার বাধ্যতামূলক করলে সবাই সেটি করবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে ইব্রাহিম সরকারের মতো সবাই এখন আর বাইরে এসব পরীক্ষা করান না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনসহ নানা রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। অনেকে এখন প্রেশার বা রক্তের চাপ মাপার মেশিন, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ওজন মাপার যন্ত্র, ডায়াবেটিস পরিমাপের যন্ত্র ঘরেই রাখেন। কিন্তু আমদানি করা এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতির মান যাচাই করা হচ্ছে না। এগুলোর পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। অথচ এসব যন্ত্রের রোগের পরিমাপ সঠিক কি না, সেটি নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমদানির পর জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)-এর ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব (এনএমএল) বিভাগ এসব যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন (পরিমাপের সূক্ষ্মতা নির্ণয়) ও ভেরিফিকেশন করে। কিন্তু এটি বাধ্যতামূলক নয়। তাই ক্যালিব্রেশনে খরচ আছে বিধায় বেশির ভাগ আমদানিকারক বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। উৎপাদনকারী কোম্পানির দেওয়া ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশনেই এসব যন্ত্রপাতি বাজারজাত হচ্ছে।
জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মেডিকেল যন্ত্রপাতির ক্যালিব্রেশন ও ভেরিফিকেশন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যন্ত্রপাতি সঠিক না হলে ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। একই সঙ্গে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ভোক্তা রীতিমতো প্রতারণার শিকার হওয়ার শঙ্কা থাকে।
উত্তরার বাসিন্দা রাফি হোসেনের কথায় প্রমাণ মেলে প্রতারণার। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি একটি ওষুধের দোকান থেকে ডায়াবেটিস পরিমাপক (গ্লুকোমিটার) যন্ত্র কেনেন। কিন্তু তাঁর সেই যন্ত্রে ডায়াবেটিস অবিশ্বাস্য রকম কম রিডিং দেখাচ্ছিল। সন্দেহ হলে তিনি পরে হাসপাতালে গিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন। এতে দেখা যায়, তাঁর কেনা যন্ত্রের চেয়ে হাসপাতালের পরীক্ষায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ অনেক বেশি দেখাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান প্যাথলজিস্ট আলমাস উদ্দিন বলেন, রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন, ভেরিফিকেশন ছাড়াও নিয়মিত কিউসি (মান নিয়ন্ত্রণ) করতে হয়। এটি করা না হলে একই পরীক্ষা ভিন্ন ল্যাবে ভিন্ন ফল দেবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উন্নত বিশ্বের রোগ নির্ণয়ের জন্য আমদানি করা মেডিকেল যন্ত্রপাতি বাজারজাত করার আগে বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন নিতে হয়। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ), ইউরোপের ইইউ এবং সিইর মতো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন লাগে। এসব যন্ত্রপাতি আমদানির পর মান যাচাই বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকেরা তা মানতে বাধ্য হবেন।
মেডিকেল যন্ত্রপাতি শতভাগই আমদানিনির্ভর। চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি হয়। তবে টাকা খরচের ভয়ে বিএসটিআইয়ের এনএমএল বিভাগ থেকে আমদানিকারকেরা যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করেন না। এই সুযোগে তাঁরা নিম্নমানের যন্ত্রপাতি আমদানি করে বাজারজাত করেন। এতে ঠকছেন ক্রেতা। শুধু তাই নয়, ভুল রিডিংয়ের কারণে এসব যন্ত্রপাতির ব্যবহারকারীকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে।
বিএসটিআই সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে ন্যাশনাল মেটেরোলজি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর থেকে বিগত সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখান থেকে প্রায় ২৮ হাজার যন্ত্রের ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন করেছে।
বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, প্রেশার মেশিন, থার্মোমিটার ও ওয়েট মিটার—এই তিনটি যন্ত্রের ক্যালিব্রেশন করা উচিত। তবে বাধ্যবাধকতা না থাকায় আমদানিকারকেরা সুযোগ নিচ্ছেন। অর্থ বাঁচাতে তাঁরা ক্যালিব্রেশন করান না।
সূত্র জানায়, দেশে মেডিকেল যন্ত্রপাতির গুণাগুণ পরীক্ষার কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। ২০১৫ সালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর মেডিকেল ডিভাইস গাইডলাইন তৈরি করে। কিন্তু আমদানি করা যন্ত্রপাতির মান যাচাইয়ের সক্ষমতা ঔষধ প্রশাসনের নেই। যন্ত্রপাতির সঠিক পরিমাপ জানতে হলে বিএসটিআই থেকে ভেরিফিকেশন ও ক্যালিব্রেশন দরকার।
জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ূব হোসেন বলেন, আমদানিকারকেরা নিজেরাই যন্ত্রপাতি ক্যালিব্রেশন করে। অনেক সময় তৃতীয় কোনো মাধ্যমেও এটি করা হচ্ছে। তবে বিএসটিআইয়ের মেটেরোলজি ল্যাব থেকে করা হচ্ছে কি না, সেটি তাঁর জানা নেই।
মেডিকেল যন্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হেলথওয়ের মালিক নূর হোসেন বলেন, ওজন মাপার যন্ত্র ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রেশার, থার্মোমিটার, ডায়াবেটিস মেশিন ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে না। সরকার বাধ্যতামূলক করলে সবাই সেটি করবে। তবে এটি বাধ্যতামূলক করা হলে আমদানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে—অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা ওই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে। গবেষকেরা সুখ, জীবনে সন্তুষ্টি ও পরিপূর্ণতার মতো মানসিক সূচকের সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়—যেসব দম্পতি আলাদা ঘরে ঘুমান, তাঁদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
গবেষকদের মতে, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে থাকা বা একই বাড়িতে বসবাসের চেয়ে একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের ভাষায়—ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।
বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের র্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেলের দ্বারস্থ হয়েছিল ফক্স নিউজ। ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে।’ তিনি জানান, আলাদা ঘুমানোর সিদ্ধান্ত অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যও হতে পারে। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।
ট্রোক্সেল আরও বলেন, ‘বয়স্কদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই অনিদ্রা বা ঘুমে বিঘ্নের সমস্যা থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমও হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। পাশাপাশি একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়—এ যেন এক অবিরাম চক্র।’
ড. ট্রোক্সেল মনে করেন, ঘুমের ধরন নির্ধারণের জন্য একক কোনো সূত্র নেই। কারও জন্য একসঙ্গে ঘুমানো নিরাপত্তা ও ঘনিষ্ঠতার প্রতীক, আবার কারও জন্য আলাদা ঘুমানোই স্বাস্থ্যকর। গুরুত্বপূর্ণ হলো—দম্পতিদের খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
তাঁর মতে, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে কারও ঘুম ব্যাহত হলে, তা সম্পর্কের মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট করতে পারে।
ট্রোক্সেল তাই উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তাঁরা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন—আলাপ, হাসি বা একসঙ্গে বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
১৯ অক্টোবর ২০২১
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দীর্ঘ সময় হাঁটার অভ্যাস শুধু মন ভালো রাখে না, বরং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে। ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা এমনটাই জানিয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
গবেষণার প্রধান লেখক স্পেনের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের সহযোগী অধ্যাপক ড. বোরখা দেল পোজো ক্রুজ বলেন, ‘আমরা সাধারণত দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা নিয়ে কথা বলি—যেমন ১০ হাজার পদক্ষেপের লক্ষ্য। কিন্তু আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে, কীভাবে সেই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে যাঁরা কম সক্রিয়, তাঁরা যদি অল্প সময়ের বদলে কিছু দীর্ঘ হাঁটা যোগ করেন, তাতেও হৃদ্স্বাস্থ্যে বড় পরিবর্তন আসতে পারে।’
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সিএনএন জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৩১ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। তাঁদের অনেকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের কম ব্যায়াম করেন, যা হৃদ্রোগ, অনিদ্রা ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল জিউইশ হেলথ ইনস্টিটিউটের হৃদ্রোগ প্রতিরোধ ও সুস্থতা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্ড্রু ফ্রিম্যান বলেন, ‘প্রায় সবাই কিছু সময় হাঁটতে পারেন, কিন্তু ২০, ৩০ বা ৬০ মিনিট একটানা হাঁটা কঠিন হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে সেই ক্ষমতা তৈরি করাটাই আসল বিষয়।’
দীর্ঘ সময় হাঁটার ফলে শরীরে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, রক্তচাপ কমে এবং রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে প্রদাহ ও মানসিক চাপ কমে, হৃদ্পেশি শক্ত হয়। ফ্রিম্যান বলেন, ‘এটা অনেকটা ৪৫ কেজির ডাম্বেল তোলার মতো। প্রথমে পারা যায় না, কিন্তু অনুশীলনে সক্ষমতা বাড়ে—হৃদ্যন্ত্রও তেমনি।’
গবেষকেরা বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট ধাপের লক্ষ্য না রেখে বরং সময়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দিনে অন্তত কিছু সময় একটানা হাঁটলে উপকার পাওয়া যায়। গতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধারাবাহিক ও দীর্ঘ সময় হাঁটা বেশি ফল দেয়।
ড. দেল পোজো ক্রুজ পরামর্শ দিয়েছেন, ‘দিনে একাধিকবার ২০-৩০ মিনিট করে টানা হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকবে, হৃদ্যন্ত্র মজবুত হবে।’
হাঁটার সঠিক ভঙ্গিও জরুরি—শরীর সোজা রাখুন, কাঁধ পেছনে দিন এবং হাত দোলান। এতে ভারসাম্য বজায় থাকে ও শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
গবেষণাটি যুক্তরাজ্যের ৩৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৈরি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা দৈনিক ৮ হাজার ধাপের কম হাঁটতেন এবং কারও বড় রোগ ছিল না। এক সপ্তাহের ডেটা সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণাটি সম্পন্ন হয়।
সবশেষে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নিয়মিত ও দীর্ঘ সময় হাঁটা এমন একটি সহজ উপায়, যা ব্যয়বহুল চিকিৎসা ছাড়াই হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষা এবং আয়ু বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে।

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
১৯ অক্টোবর ২০২১
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
এ ছাড়া এক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গেছে ১০ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১২৬ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬৯ জন এবং আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৩ জন।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৮১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
১৯ অক্টোবর ২০২১
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া কয়েকজন করে মারা যাচ্ছে মশাবাহিত এ রোগে। চলতি বছর এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৩ জনে।
ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। মৃত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরগুনার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হারও ঊর্ধ্বমুখী। গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১৪৩ জন রোগী। এ নিয়ে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৪৪০ জনে।
এ বছরের শুরু থেকে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছিল সেপ্টেম্বর মাসে, ১৫ হাজার ৮৬৬ জনের। চলতি অক্টোবরের সপ্তাহখানেক বাকি থাকতেই সংক্রমণের সংখ্যা তা ছাড়িয়ে গেছে। অক্টোবর মাসেই সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৯৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৩১৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায়। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ২৮১, ময়মনসিংহে ৫৬, চট্টগ্রামে ১২১, খুলনায় ৬৫, রাজশাহীতে ৫৬, রংপুরে ৫০, বরিশালে ১৮৬ এবং সিলেটে ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২ হাজার ৭৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৩০, আর রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৮০৩ জন ভর্তি রয়েছে।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। সে বছর মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন রোগী। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১,২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২,২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯,২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

পুরান ঢাকার চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরকার প্রতিদিনই রমনা পার্কে হাঁটতে যান। হাঁটাহাঁটি শেষে পার্কের পাশের একটি ভাসমান দোকান থেকে স্বল্প খরচে রক্তের চাপ ও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ পরীক্ষা করান। তবে মাঝেমধ্যেই মেশিনে সঠিক ফল আসে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
১৯ অক্টোবর ২০২১
সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বলেন, এতে ঘুমের মান বাড়ে, ক্লান্তি ও ঝগড়া কমে। এমনকি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহারের চলও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
যাঁরা একটানা ১০ মিনিটের বেশি সময় হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্রোগ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, যাঁরা হাঁটেন, কিন্তু ছোট ছোট সময় ধরে, তাঁদের মধ্যে এই উপকারিতা কম দেখা গেছে।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে এক দিনে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৮৩ জন।
২ দিন আগে