মো. ইকবাল হোসেন
মায়ের বুকের দুধ শিশুর জীবনে শ্রেষ্ঠ সূচনা। শিশুর আয়ু, পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বিকাশ—সব মঙ্গল নিহিত আছে এতে। বলা হয়ে থাকে, জন্মের পর শালদুধ শিশুর প্রথম টিকা। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চা যার, দুধ তার হতে হবে। আপনি যদি মানবশিশুকে জন্মের পর গরু-ছাগলের শালদুধ খাওয়ান, তাহলে সেটা কাজে আসবে না। মানবশিশুর হাড়, দাঁত, মস্তিষ্কসহ শরীরের প্রতিটি অংশের গঠনে যে উপাদান যতটুকু দরকার, মায়ের দুধে ঠিক ততটুকুই আছে। প্রতি ১০০ মিলিলিটার দুধে যা থাকে—
উপাদান | মায়ের দুধ | গরুর দুধ |
শর্করা | ৭.১ গ্রাম | ৪.৫ গ্রাম |
প্রোটিন | ১.১ গ্রাম | ৩.৫ গ্রাম |
চর্বি | ৪.১ গ্রাম | ৩.৯ গ্রাম |
আয়রন | ০.২ মিলিগ্রাম | ০.১ মিলিগ্রাম |
ফাইবার | ০.২ গ্রাম | ০.১ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৩৩ মিলিগ্রাম | ১২৫ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ০.১৭ গ্রাম | সোডিয়াম ০.৭৭ গ্রাম |
জিংক | ১.৮ মিলিগ্রাম | জিংক ৪ মিলিগ্রাম |
মায়ের দুধে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। এটি শিশুর জন্য খুব দরকারি। এতে উন্নতমানের কার্বোহাইড্রেট অলিগোস্যাকারাইড পাওয়া যায়, যা গরুর দুধে পাওয়া যায় না। গরুর দুধে আয়রন ও ফাইবারের পরিমাণ খুবই কম থাকে, যা মায়ের দুধে অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে গরুর দুধে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই প্রোটিন বাছুরের দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু এই উচ্চ প্রোটিন মানব শিশুর জন্য প্রযোজ্য নয়। এ ছাড়া মায়ের বুকের দুধে চর্বি পরিপাককারী লাইপেজ এনজাইম থাকে। এটি অন্য কোনো দুধে থাকে না। মায়ের দুধ যেহেতু সরাসরি পান করা হয়, তাই প্রতিটি এনজাইমের কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন থাকে।
অন্যদিকে গরুর দুধে কিছু প্রয়োজনীয় এনজাইম থাকলেও তা বারবার ফুটানোর কারণে অনেকটাই অকেজো হয়ে যেতে পারে। মানুষের শিশুর জন্য মানুষের দুধ আর গরু-ছাগলের বাচ্চার জন্য তাদের দুধই দরকার। একজনের দুধ অন্যজনের জন্য প্রযোজ্য নয়। জন্মের পর আধা ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা উচিত। শুরুতেই হয়তো শিশু বুকের দুধ পাবে না। তাই বলে খাওয়ানো বন্ধ রাখা যাবে না। শিশুকে পূর্ণ ছয় মাস; অর্থাৎ ১৮০ দিন বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এই ছয় মাস মায়ের দুধেই শিশুর শরীর ও মস্তিষ্ক গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান পাবে।
মায়ের দুধে শিশুর উপকারিতা
বুকের দুধ খাওয়ানোয় মায়ের উপকারিতা
বিকল্প দুধ খাওয়ালে যা হতে পারে
বিকল্প দুধ মায়ের দুধের চেয়ে কিছুটা মিষ্টি স্বাদের। ফলে শিশু মায়ের দুধ খেতে চায় না এবং ধীরে ধীরে মায়ের দুধ খাওয়া কমিয়ে দেয়। ফলে বুকের দুধ ক্রমে শুকিয়ে যায়। তাই একান্ত বাধ্য না হলে শিশুকে মায়ের দুধের বিকল্প কোনো দুধ না খাওয়ানো সবচেয়ে ভালো।
মো. ইকবাল হোসেন: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
মায়ের বুকের দুধ শিশুর জীবনে শ্রেষ্ঠ সূচনা। শিশুর আয়ু, পুষ্টি, বৃদ্ধি ও বিকাশ—সব মঙ্গল নিহিত আছে এতে। বলা হয়ে থাকে, জন্মের পর শালদুধ শিশুর প্রথম টিকা। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বাচ্চা যার, দুধ তার হতে হবে। আপনি যদি মানবশিশুকে জন্মের পর গরু-ছাগলের শালদুধ খাওয়ান, তাহলে সেটা কাজে আসবে না। মানবশিশুর হাড়, দাঁত, মস্তিষ্কসহ শরীরের প্রতিটি অংশের গঠনে যে উপাদান যতটুকু দরকার, মায়ের দুধে ঠিক ততটুকুই আছে। প্রতি ১০০ মিলিলিটার দুধে যা থাকে—
উপাদান | মায়ের দুধ | গরুর দুধ |
শর্করা | ৭.১ গ্রাম | ৪.৫ গ্রাম |
প্রোটিন | ১.১ গ্রাম | ৩.৫ গ্রাম |
চর্বি | ৪.১ গ্রাম | ৩.৯ গ্রাম |
আয়রন | ০.২ মিলিগ্রাম | ০.১ মিলিগ্রাম |
ফাইবার | ০.২ গ্রাম | ০.১ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৩৩ মিলিগ্রাম | ১২৫ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ০.১৭ গ্রাম | সোডিয়াম ০.৭৭ গ্রাম |
জিংক | ১.৮ মিলিগ্রাম | জিংক ৪ মিলিগ্রাম |
মায়ের দুধে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। এটি শিশুর জন্য খুব দরকারি। এতে উন্নতমানের কার্বোহাইড্রেট অলিগোস্যাকারাইড পাওয়া যায়, যা গরুর দুধে পাওয়া যায় না। গরুর দুধে আয়রন ও ফাইবারের পরিমাণ খুবই কম থাকে, যা মায়ের দুধে অনেক বেশি থাকে। অন্যদিকে গরুর দুধে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই প্রোটিন বাছুরের দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু এই উচ্চ প্রোটিন মানব শিশুর জন্য প্রযোজ্য নয়। এ ছাড়া মায়ের বুকের দুধে চর্বি পরিপাককারী লাইপেজ এনজাইম থাকে। এটি অন্য কোনো দুধে থাকে না। মায়ের দুধ যেহেতু সরাসরি পান করা হয়, তাই প্রতিটি এনজাইমের কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন থাকে।
অন্যদিকে গরুর দুধে কিছু প্রয়োজনীয় এনজাইম থাকলেও তা বারবার ফুটানোর কারণে অনেকটাই অকেজো হয়ে যেতে পারে। মানুষের শিশুর জন্য মানুষের দুধ আর গরু-ছাগলের বাচ্চার জন্য তাদের দুধই দরকার। একজনের দুধ অন্যজনের জন্য প্রযোজ্য নয়। জন্মের পর আধা ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা উচিত। শুরুতেই হয়তো শিশু বুকের দুধ পাবে না। তাই বলে খাওয়ানো বন্ধ রাখা যাবে না। শিশুকে পূর্ণ ছয় মাস; অর্থাৎ ১৮০ দিন বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এই ছয় মাস মায়ের দুধেই শিশুর শরীর ও মস্তিষ্ক গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত উপাদান পাবে।
মায়ের দুধে শিশুর উপকারিতা
বুকের দুধ খাওয়ানোয় মায়ের উপকারিতা
বিকল্প দুধ খাওয়ালে যা হতে পারে
বিকল্প দুধ মায়ের দুধের চেয়ে কিছুটা মিষ্টি স্বাদের। ফলে শিশু মায়ের দুধ খেতে চায় না এবং ধীরে ধীরে মায়ের দুধ খাওয়া কমিয়ে দেয়। ফলে বুকের দুধ ক্রমে শুকিয়ে যায়। তাই একান্ত বাধ্য না হলে শিশুকে মায়ের দুধের বিকল্প কোনো দুধ না খাওয়ানো সবচেয়ে ভালো।
মো. ইকবাল হোসেন: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
অনেকে মনে করি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর হলো দীর্ঘদিন খাবার ভালো রাখার নিরাপদ জায়গা। কিন্তু সব খাবার ফ্রিজে ভালো থাকে না। কিছু কিছু খাবার ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। আধুনিক জীবনব্যবস্থায় ফ্রিজ অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, যা আমাদের জীবনযাত্রার সঙ্গে মিশে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেকানে পানি ঢুকলে কান পাকে, এ ধারণা ভুল। আগে থেকে যদি কারও মধ্যকর্ণে বা কানের পর্দায় ফুটো থাকে, তাহলে পানি ঢুকলে কান পাকে। যাদের আগে থেকে কান পাকার সমস্যা, তাদের কানে পানি ঢুকলে সমস্যাটি আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। তবে যাদের এ ধরনের সমস্যা নেই, তাদের কানে পানি প্রবেশ করলেও কান পাকার আশঙ্কা নেই...
৬ ঘণ্টা আগেকাজ, পড়াশোনা কিংবা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাপে অনেকের মনে অস্থিরতা কাজ করে। অনেক সময় মন শান্ত রাখা খুব কঠিন। এমনকি দিনের পর দিন কাজের শেষে বিশ্রাম নিলেও মন খারাপ হওয়া থামতে চায় না। জেনে রাখা ভালো মন শান্ত রাখার কিছু সহজ উপায়—
৬ ঘণ্টা আগেশিশুর মনোবল বাড়ানোর জন্য মা-বাবা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা থেকে শিশুর মনোবল বাড়ানোর কিছু কার্যকরী কৌশল খুঁজে পেয়েছেন। এসব কৌশল শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে।
৭ ঘণ্টা আগে