আলমগীর আলম
বাদাম দুধ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্ভিদ দুধ। এটি পুষ্টিকর ও কম ক্যালরিযুক্ত। বাদাম দুধ হাড় মজবুত করে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এই দুধ ইফতারে খেতে পারেন। পেটের কোনো সমস্যা হবে না, ডায়বেটিস থাকলেও এই দুধ খাওয়া যায়। ঘরে বানানো বাদাম দুধ নিরাপদ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর।
পানির সঙ্গে আমন্ড বা কাঠবাদাম ব্লেন্ড করে মিশ্রণটি ছেঁকে নিলেই তৈরি করা যায় বাদাম দুধ। অন্য সব বাদামেই দুধ ও মাখন বানানো সম্ভব।
বাদাম দুধের উপকার
বাদামের দুধ ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজসমৃদ্ধ। বাদামে রয়েছে ফেটি অ্যাসিড। একটি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট যা আয়রন, জিংক ও ম্যাগনেশিয়ামের শোষণ কমায়।
বাদাম দুধে ক্যালরি কম থাকে
এটি ৫০ শতাংশ চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ ক্যালরিমুক্ত। এর মানে হলো, এই দুধ খেলে ওজন বাড়ে না। ফলে এটি প্রচুর পরিমাণে পান করা যায়। এক কাপ বাদাম দুধে মাত্র ৩৯ ক্যালরি থাকে, যা পরিমাণে এক কাপ স্কিম দুধে থাকা ক্যালরির অর্ধেক।
বাদাম দুধ রক্তে শর্করা বাড়ায় না
প্রাণিজ দুধ শরীরে সুগার বাড়ায়। কিন্তু বাদাম দুধ সুগার বাড়াবে না। চিনিমুক্ত বাদাম দুধ হলো কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত পানীয়, যার ১ কাপে ২ শতাংশের কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। অথচ একই পরিমাণ গরুর দুধে ৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। বাদামের দুধের কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় চর্বি ও প্রোটিন বেশি থাকে। এ কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি যাঁরা কম কার্ব ডায়েট পছন্দ করেন, তাঁদের জন্যও উপযুক্ত।
এটি ল্যাকটোজ-মুক্ত
বাদামের দুধে ল্যাকটোজ থাকে না। যাঁরা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু বা দুধে যাঁদের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত খাবার। সাধারণ দুধের অপাচ্য ল্যাকটোজ কোলনে চলে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার কারণে গাঁজন হয়। ফলে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, ফোলা ভাব, ডায়রিয়া এবং এসংশ্লিষ্ট অস্বস্তি হয়। ল্যাকটোজ-মুক্ত হওয়ায় বাদামের দুধে এ ধরনের সমস্যা নেই।
হাড় শক্তিশালী করতে পারে
দুগ্ধজাত দ্রব্য ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এক কাপ বাদাম দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকতে পারে দৈনিক চাহিদার প্রায় ২৩ শতাংশ। এটি চমৎকার ক্যালসিয়ামের উৎস। হাড় গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। এ কারণে এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে, যা বাদাম তেলের প্রধান ফ্যাটি অ্যাসিড, রক্তের লিপিডের উপকারী পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। বাদামের দুধে ভিটামিন ই ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এটি নিয়মিত পান করলে হৃৎপিণ্ডের উপকার হতে পারে।
কীভাবে বাদাম দুধ বানাবেন
২০টি কাঠবাদাম বা আমন্ড ছয় থেকে আট ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এই বাদাম থেকে খোসা ছাড়িয়ে এক গ্লাস পানিতে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বাদাম দুধ। কোনো কিছু না মিশিয়ে এটি খাওয়া যায়। এ ছাড়া এই দুধের সঙ্গে কলা, আম, পেঁপে মিশিয়ে মিল্কশেকও বানানো যায়। ইফতারে এটা খেতে পারেন। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়ার সময় এতে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। শিশুদের জন্য একটি চমৎকার খাবার।
পরামর্শ: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
বাদাম দুধ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্ভিদ দুধ। এটি পুষ্টিকর ও কম ক্যালরিযুক্ত। বাদাম দুধ হাড় মজবুত করে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এই দুধ ইফতারে খেতে পারেন। পেটের কোনো সমস্যা হবে না, ডায়বেটিস থাকলেও এই দুধ খাওয়া যায়। ঘরে বানানো বাদাম দুধ নিরাপদ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর।
পানির সঙ্গে আমন্ড বা কাঠবাদাম ব্লেন্ড করে মিশ্রণটি ছেঁকে নিলেই তৈরি করা যায় বাদাম দুধ। অন্য সব বাদামেই দুধ ও মাখন বানানো সম্ভব।
বাদাম দুধের উপকার
বাদামের দুধ ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজসমৃদ্ধ। বাদামে রয়েছে ফেটি অ্যাসিড। একটি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট যা আয়রন, জিংক ও ম্যাগনেশিয়ামের শোষণ কমায়।
বাদাম দুধে ক্যালরি কম থাকে
এটি ৫০ শতাংশ চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ ক্যালরিমুক্ত। এর মানে হলো, এই দুধ খেলে ওজন বাড়ে না। ফলে এটি প্রচুর পরিমাণে পান করা যায়। এক কাপ বাদাম দুধে মাত্র ৩৯ ক্যালরি থাকে, যা পরিমাণে এক কাপ স্কিম দুধে থাকা ক্যালরির অর্ধেক।
বাদাম দুধ রক্তে শর্করা বাড়ায় না
প্রাণিজ দুধ শরীরে সুগার বাড়ায়। কিন্তু বাদাম দুধ সুগার বাড়াবে না। চিনিমুক্ত বাদাম দুধ হলো কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত পানীয়, যার ১ কাপে ২ শতাংশের কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। অথচ একই পরিমাণ গরুর দুধে ৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। বাদামের দুধের কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় চর্বি ও প্রোটিন বেশি থাকে। এ কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি যাঁরা কম কার্ব ডায়েট পছন্দ করেন, তাঁদের জন্যও উপযুক্ত।
এটি ল্যাকটোজ-মুক্ত
বাদামের দুধে ল্যাকটোজ থাকে না। যাঁরা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু বা দুধে যাঁদের অ্যালার্জি আছে, তাঁদের জন্য এটি একটি উপযুক্ত খাবার। সাধারণ দুধের অপাচ্য ল্যাকটোজ কোলনে চলে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার কারণে গাঁজন হয়। ফলে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, ফোলা ভাব, ডায়রিয়া এবং এসংশ্লিষ্ট অস্বস্তি হয়। ল্যাকটোজ-মুক্ত হওয়ায় বাদামের দুধে এ ধরনের সমস্যা নেই।
হাড় শক্তিশালী করতে পারে
দুগ্ধজাত দ্রব্য ক্যালসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস। এক কাপ বাদাম দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ থাকতে পারে দৈনিক চাহিদার প্রায় ২৩ শতাংশ। এটি চমৎকার ক্যালসিয়ামের উৎস। হাড় গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্যালসিয়াম অপরিহার্য। এ কারণে এটি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে
নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে, যা বাদাম তেলের প্রধান ফ্যাটি অ্যাসিড, রক্তের লিপিডের উপকারী পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। বাদামের দুধে ভিটামিন ই ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এটি নিয়মিত পান করলে হৃৎপিণ্ডের উপকার হতে পারে।
কীভাবে বাদাম দুধ বানাবেন
২০টি কাঠবাদাম বা আমন্ড ছয় থেকে আট ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর এই বাদাম থেকে খোসা ছাড়িয়ে এক গ্লাস পানিতে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে বাদাম দুধ। কোনো কিছু না মিশিয়ে এটি খাওয়া যায়। এ ছাড়া এই দুধের সঙ্গে কলা, আম, পেঁপে মিশিয়ে মিল্কশেকও বানানো যায়। ইফতারে এটা খেতে পারেন। ডায়াবেটিস না থাকলে খাওয়ার সময় এতে মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। শিশুদের জন্য একটি চমৎকার খাবার।
পরামর্শ: খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
দীর্ঘ কয়েক দশক গবেষণা ও বিতর্কের পর এবার একটি নতুন ধরনের ডায়াবেটিসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ)। ‘টাইপ ৫ ডায়াবেটিস’ হিসেবে চিহ্নিত এই রোগ মূলত অপুষ্টিজনিত এবং সাধারণত কমবয়সী, হালকা-গড়নের ও অপুষ্টিতে ভোগা তরুণ-তরুণীদের মধ্যে দেখা যায়।
১ দিন আগেদুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
২ দিন আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
৪ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
৪ দিন আগে