অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান
১৯২১ সালে আবিষ্কৃত ইনসুলিন ইনজেকশনই আজ পর্যন্ত ডায়াবেটিসের সবচেয়ে কার্যকর, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু দিনে কয়েকবার এই ইনসুলিন সুইয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এভাবে ইনসুলিন গ্রহণ করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী কোনো বেলা ইনসুলিন নিতে ভুলে যায়। সমীক্ষায় দেখা যায়, কিছুদিন ইনসুলিন নেওয়ার পর রোগী ইনসুলিন নিতে চায় না এবং বন্ধ করে দেয়। নিজে বা অন্য কোনো চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়ার ওষুধে চলে যায়। ফলে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।
বর্তমানে সুচের মাধ্যমে দিনে দুই থেকে চারবার, একবারে সমস্ত ডোজ ইনসুলিন প্রয়োগ হয়। তাতে দেখা যায়, রক্তে শর্করার তারতম্য হয়। কারণ সমস্ত মাত্রা একবারেই দেওয়া হয় এবং চামড়ার শোষণ প্রক্রিয়া সব সময় এক হয় না। শর্করা তারতম্যের কারণে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা তৈরি করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রয়োগ হলো ইনসুলিনের অভাব পূরণ করা।
আমার অগ্ন্যাশয় প্রতিদিন যেভাবে ইনসুলিন নিঃসারণ করে, তিন থেকে চার বার সুচের মাধ্যমে প্রয়োগে যথাযথভাবে স্বাভাবিক অগ্ন্যাশয়ের মতো কখনো হয়ে ওঠে না। অগ্ন্যাশয়ের এই স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা মাথায় রেখে আর্টিফিশিয়ালভাবে আধুনিক সিজিএম ও ইনসুলিন পাম্প পদ্ধতি কিছুটা হলেও সফল করতে পেরেছে। তা ছাড়া দিনে কয়েকবার ইনসুলিন দেওয়ার ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার স্বপ্ন ডায়াবেটিস রোগীদের সুযোগ করে দিয়েছে। এই ইনসুলিন পাম্প চিকিৎসায় রোগীদের ইনসুলিন বন্ধ করার প্রবণতা কমেছে। রোগীদের ভেতরে ইনসুলিন গ্রহণের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
সিজিএম হলো কনটিনিউয়াস গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম, যা প্রতি মুহূর্তের শর্করা পরিমাপ করতে পারে। সাধারণ গ্লুকোমিটারের সাহায্যে আমরা কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে শর্করা পরিমাপ করতে পারি। এটা অনেকটা ক্যামেরার স্ন্যাপ শটের মতো। একটি মুহূর্তের ছবি ধারণ করে মাত্র। কিন্তু সিজিএম সিস্টেম হলো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মতো, মানে প্রতিমুহূর্তের ঘটনা এতে ধরা পড়ে। এতে বারবার আঙুলে সুই ফুটিয়ে রক্তে শর্করা মাপার দরকার পড়ে না। ত্বকের নিচে একটি সেনসরের মাধ্যমে দিনে প্রায় ২৮৮ বার শর্করার মান নির্ণয় করতে পারে এই যন্ত্র। এটি গ্রাফের মাধ্যমে রক্তে শর্করার ওঠানামা ও পরিবর্তনগুলোকে নির্ণয় করে। এর সঙ্গে ছোট্ট একটি মুঠোফোনের আকৃতির ইনসুলিন পাম্প বেল্টের সাহায্যে পেটের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি অতি সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের নল ত্বকের নিচে চলে যায়, যা দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন দেহে প্রবেশ করে। এটি দেহে লাগিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম, খেলাধুলা, ব্যায়াম, গোসল সবই অনায়াসে করা যায়। এই যন্ত্র অগ্ন্যাশয়ের মতোই রক্তে শর্করার ওঠানামা মেপে কী পরিমাণ ইনসুলিন দরকার তা জানিয়ে দেবে এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেই পরিমাণ ইনসুলিন দেহে ঢুকিয়ে দেবে।
সিজিএম ও ইনসুলিন পাম্প ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করতে সক্ষম হয়েছে। আর সর্বাধুনিক এই চিকিৎসাপদ্ধতি আমাদের দেশেও পাওয়া যায়।
লেখক: অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
১৯২১ সালে আবিষ্কৃত ইনসুলিন ইনজেকশনই আজ পর্যন্ত ডায়াবেটিসের সবচেয়ে কার্যকর, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু দিনে কয়েকবার এই ইনসুলিন সুইয়ের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এভাবে ইনসুলিন গ্রহণ করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী কোনো বেলা ইনসুলিন নিতে ভুলে যায়। সমীক্ষায় দেখা যায়, কিছুদিন ইনসুলিন নেওয়ার পর রোগী ইনসুলিন নিতে চায় না এবং বন্ধ করে দেয়। নিজে বা অন্য কোনো চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়ার ওষুধে চলে যায়। ফলে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।
বর্তমানে সুচের মাধ্যমে দিনে দুই থেকে চারবার, একবারে সমস্ত ডোজ ইনসুলিন প্রয়োগ হয়। তাতে দেখা যায়, রক্তে শর্করার তারতম্য হয়। কারণ সমস্ত মাত্রা একবারেই দেওয়া হয় এবং চামড়ার শোষণ প্রক্রিয়া সব সময় এক হয় না। শর্করা তারতম্যের কারণে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা তৈরি করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন প্রয়োগ হলো ইনসুলিনের অভাব পূরণ করা।
আমার অগ্ন্যাশয় প্রতিদিন যেভাবে ইনসুলিন নিঃসারণ করে, তিন থেকে চার বার সুচের মাধ্যমে প্রয়োগে যথাযথভাবে স্বাভাবিক অগ্ন্যাশয়ের মতো কখনো হয়ে ওঠে না। অগ্ন্যাশয়ের এই স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা মাথায় রেখে আর্টিফিশিয়ালভাবে আধুনিক সিজিএম ও ইনসুলিন পাম্প পদ্ধতি কিছুটা হলেও সফল করতে পেরেছে। তা ছাড়া দিনে কয়েকবার ইনসুলিন দেওয়ার ব্যথা ও যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়ার স্বপ্ন ডায়াবেটিস রোগীদের সুযোগ করে দিয়েছে। এই ইনসুলিন পাম্প চিকিৎসায় রোগীদের ইনসুলিন বন্ধ করার প্রবণতা কমেছে। রোগীদের ভেতরে ইনসুলিন গ্রহণের আগ্রহ বাড়িয়েছে।
সিজিএম হলো কনটিনিউয়াস গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেম, যা প্রতি মুহূর্তের শর্করা পরিমাপ করতে পারে। সাধারণ গ্লুকোমিটারের সাহায্যে আমরা কোনো এক নির্দিষ্ট সময়ে শর্করা পরিমাপ করতে পারি। এটা অনেকটা ক্যামেরার স্ন্যাপ শটের মতো। একটি মুহূর্তের ছবি ধারণ করে মাত্র। কিন্তু সিজিএম সিস্টেম হলো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার মতো, মানে প্রতিমুহূর্তের ঘটনা এতে ধরা পড়ে। এতে বারবার আঙুলে সুই ফুটিয়ে রক্তে শর্করা মাপার দরকার পড়ে না। ত্বকের নিচে একটি সেনসরের মাধ্যমে দিনে প্রায় ২৮৮ বার শর্করার মান নির্ণয় করতে পারে এই যন্ত্র। এটি গ্রাফের মাধ্যমে রক্তে শর্করার ওঠানামা ও পরিবর্তনগুলোকে নির্ণয় করে। এর সঙ্গে ছোট্ট একটি মুঠোফোনের আকৃতির ইনসুলিন পাম্প বেল্টের সাহায্যে পেটের সঙ্গে লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি অতি সূক্ষ্ম প্লাস্টিকের নল ত্বকের নিচে চলে যায়, যা দিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী ইনসুলিন দেহে প্রবেশ করে। এটি দেহে লাগিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম, খেলাধুলা, ব্যায়াম, গোসল সবই অনায়াসে করা যায়। এই যন্ত্র অগ্ন্যাশয়ের মতোই রক্তে শর্করার ওঠানামা মেপে কী পরিমাণ ইনসুলিন দরকার তা জানিয়ে দেবে এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেই পরিমাণ ইনসুলিন দেহে ঢুকিয়ে দেবে।
সিজিএম ও ইনসুলিন পাম্প ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করতে সক্ষম হয়েছে। আর সর্বাধুনিক এই চিকিৎসাপদ্ধতি আমাদের দেশেও পাওয়া যায়।
লেখক: অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন।
১১ ঘণ্টা আগেঈদের ঠিক দুইদিন আগে, যখন উৎসবের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে রাজধানী, তখন অন্ধকার নেমে আসে জামাল আহমেদের জীবনে। রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে খাদ্যজনিত রোগের কারণে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বোঝা বছরে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
২ দিন আগেগরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২ দিন আগে