অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ সেবনের হার গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে প্রায় আট গুণ বেশি তরুণ এই ওষুধ সেবন করছেন।
এইচআইভি প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রি-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস বা প্রেপ (PrEP) ব্যবহারে এই অগ্রগতি ইতিবাচক হলেও, গবেষণাটি বলছে—ওষুধটি নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মী ও জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান মেডিকেল স্কুলের একটি দল। এতে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের ওরাল প্রেপ ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণার শুরুতে অর্থাৎ ২০১৬ সালে প্রতি ১ লাখ তরুণের মধ্যে মাত্র ২৬ জন প্রেপ সেবন করতেন, যা ২০২৩ সালের শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ২০৮ জনে। তবে দেখা গেছে, ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের তুলনায় ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রেপ সেবনের হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
গবেষণায় উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো—এই সময়ের মধ্যে প্রেপ ব্যবহারের গড় মেয়াদ দুই সপ্তাহেরও বেশি কমে গেছে। এটি হয়তো ওষুধটি নিয়মিত গ্রহণে অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়, কিংবা প্রয়োজনীয় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে।
এই বয়সসীমার তরুণদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাই এই গবেষণাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ও সঠিকভাবে প্রেপ সেবন করলে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ডা. নিনা হিল জানান, তরুণেরা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যায় না। ফলে প্রেপ ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল হয়ে ওঠে। সঠিকভাবে প্রেপ ব্যবহার করতে হলে, একজনকে প্রথমে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এটি তার জন্য প্রয়োজনীয় কি না তা নির্ণয় করতে হয়। তারপর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা এবং এইচআইভিসহ অন্যান্য যৌন রোগের পরীক্ষার পর ওষুধ নিতে হয়। এরপর প্রতি তিন থেকে ছয় মাস অন্তর এইচআইভি, কিডনির কার্যক্ষমতা ও অন্যান্য যৌন রোগের পরীক্ষাও করতে হয়।
অনেকে প্রেপ প্রতিদিন না নিয়ে নির্দিষ্ট সময় বা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে খানিকটা অনিয়মিতভাবে নেন। তাঁদের জন্যও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা এবং প্রেপের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।
এই গবেষণায় ২ লাখ ৪০ হাজারে তরুণের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রায় ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন (১৪ লাখ ৫০ হাজার) প্রেসক্রিপশনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব তরুণদের গড় বয়স ছিল ২২ বছর এবং ৮৭ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। গবেষণার নেতৃত্বে থাকা হিল জানান, কিছু নারীও এইচআইভি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন এবং তাঁরাও প্রেপ গ্রহণে উপযুক্ত হতে পারেন।
এই তরুণদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে বাস করতেন—এই অঞ্চলটি এইচআইভি সংক্রমণের দিক থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষণার শুরুতে এই এলাকায় প্রেপ ব্যবহারের হার সবচেয়ে কম ছিল, তবে এই অঞ্চলে বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
২০১২ সালে বাজারে আসা প্রথম প্রেপ ওষুধ ছিল ‘ট্রুভাডা’ (Truvada), যার আরেক সংস্করণ ২০২০ সালে চালু হয়। এরপর ২০১৯ সালে বাজারে আসে আরেকটি ওরাল প্রেপ ওষুধ ‘ডেসকোভি’ (Descovy)। যদিও ২০২১ সালে ইনজেকশন আকারে প্রেপ অনুমোদন পায়, তরুণদের মধ্যে এর ব্যবহার কম হওয়ায় তা এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
পুরো গবেষণা সময়কালে ৭০ শতাংশের বেশি প্রেসক্রিপশন ছিল ট্রুভাডা ও তার জেনেরিক সংস্করণের জন্য।
গবেষণায় দেখা গেছে, মোট প্রেসক্রিপশনের ৩৯ শতাংশ দিয়েছেন নার্স প্র্যাকটিশনাররা, ২২ শতাংশ পরিবার চিকিৎসক বা সাধারণ চিকিৎসক, ১৪ শতাংশ ইন্টারনাল মেডিসিন চিকিৎসক এবং ১১ শতাংশ ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের দেওয়া প্রেসক্রিপশনের হার সামগ্রিকভাবে কম হলেও, গবেষণা সময়কালে এটি ১০ গুণ বেড়েছে।
২০১৯ সাল থেকে ইউএস প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স (ইউএসপিএসটিএফ) ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে। ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের অন্তত একবার এইচআইভি পরীক্ষারও পরামর্শ দেওয়া হয়। অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট অনুযায়ী, যেসব রোগী ইউএসপিএসটিএফ মানদণ্ডে পড়েন, তাদের জন্য প্রেপ ও এইচআইভি পরীক্ষার খরচ বিমা কোম্পানিগুলোকে বহন করতে হয়।
তবে এই বিষয়টি বর্তমানে একটি মামলার কেন্দ্রবিন্দু—ব্রেইডউড ভি. কেনেডি। মামলাটি সম্প্রতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থাপন হয়েছে এবং শিগগিরই রায় ঘোষণা করা হবে।
গবেষণাটি ‘জার্নাল অব জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের মধ্যে এইচআইভি প্রতিরোধী ওষুধ সেবনের হার গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ বছর আগের তুলনায় বর্তমানে প্রায় আট গুণ বেশি তরুণ এই ওষুধ সেবন করছেন।
এইচআইভি প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রি-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস বা প্রেপ (PrEP) ব্যবহারে এই অগ্রগতি ইতিবাচক হলেও, গবেষণাটি বলছে—ওষুধটি নিয়মিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যকর্মী ও জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান মেডিকেল স্কুলের একটি দল। এতে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের ওরাল প্রেপ ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণার শুরুতে অর্থাৎ ২০১৬ সালে প্রতি ১ লাখ তরুণের মধ্যে মাত্র ২৬ জন প্রেপ সেবন করতেন, যা ২০২৩ সালের শেষে বেড়ে দাঁড়ায় ২০৮ জনে। তবে দেখা গেছে, ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের তুলনায় ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রেপ সেবনের হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
গবেষণায় উদ্বেগের আরেকটি বিষয় হলো—এই সময়ের মধ্যে প্রেপ ব্যবহারের গড় মেয়াদ দুই সপ্তাহেরও বেশি কমে গেছে। এটি হয়তো ওষুধটি নিয়মিত গ্রহণে অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়, কিংবা প্রয়োজনীয় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরে।
এই বয়সসীমার তরুণদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাই এই গবেষণাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ও সঠিকভাবে প্রেপ সেবন করলে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ডা. নিনা হিল জানান, তরুণেরা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যায় না। ফলে প্রেপ ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি কিছুটা জটিল হয়ে ওঠে। সঠিকভাবে প্রেপ ব্যবহার করতে হলে, একজনকে প্রথমে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এটি তার জন্য প্রয়োজনীয় কি না তা নির্ণয় করতে হয়। তারপর চিকিৎসকের কাছে গিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা এবং এইচআইভিসহ অন্যান্য যৌন রোগের পরীক্ষার পর ওষুধ নিতে হয়। এরপর প্রতি তিন থেকে ছয় মাস অন্তর এইচআইভি, কিডনির কার্যক্ষমতা ও অন্যান্য যৌন রোগের পরীক্ষাও করতে হয়।
অনেকে প্রেপ প্রতিদিন না নিয়ে নির্দিষ্ট সময় বা যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে খানিকটা অনিয়মিতভাবে নেন। তাঁদের জন্যও নিয়মিত চিকিৎসাসেবা এবং প্রেপের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।
এই গবেষণায় ২ লাখ ৪০ হাজারে তরুণের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রায় ১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন (১৪ লাখ ৫০ হাজার) প্রেসক্রিপশনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এসব তরুণদের গড় বয়স ছিল ২২ বছর এবং ৮৭ শতাংশ ছিলেন পুরুষ। গবেষণার নেতৃত্বে থাকা হিল জানান, কিছু নারীও এইচআইভি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন এবং তাঁরাও প্রেপ গ্রহণে উপযুক্ত হতে পারেন।
এই তরুণদের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে বাস করতেন—এই অঞ্চলটি এইচআইভি সংক্রমণের দিক থেকে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষণার শুরুতে এই এলাকায় প্রেপ ব্যবহারের হার সবচেয়ে কম ছিল, তবে এই অঞ্চলে বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
২০১২ সালে বাজারে আসা প্রথম প্রেপ ওষুধ ছিল ‘ট্রুভাডা’ (Truvada), যার আরেক সংস্করণ ২০২০ সালে চালু হয়। এরপর ২০১৯ সালে বাজারে আসে আরেকটি ওরাল প্রেপ ওষুধ ‘ডেসকোভি’ (Descovy)। যদিও ২০২১ সালে ইনজেকশন আকারে প্রেপ অনুমোদন পায়, তরুণদের মধ্যে এর ব্যবহার কম হওয়ায় তা এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
পুরো গবেষণা সময়কালে ৭০ শতাংশের বেশি প্রেসক্রিপশন ছিল ট্রুভাডা ও তার জেনেরিক সংস্করণের জন্য।
গবেষণায় দেখা গেছে, মোট প্রেসক্রিপশনের ৩৯ শতাংশ দিয়েছেন নার্স প্র্যাকটিশনাররা, ২২ শতাংশ পরিবার চিকিৎসক বা সাধারণ চিকিৎসক, ১৪ শতাংশ ইন্টারনাল মেডিসিন চিকিৎসক এবং ১১ শতাংশ ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকদের দেওয়া প্রেসক্রিপশনের হার সামগ্রিকভাবে কম হলেও, গবেষণা সময়কালে এটি ১০ গুণ বেড়েছে।
২০১৯ সাল থেকে ইউএস প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস টাস্ক ফোর্স (ইউএসপিএসটিএফ) ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে। ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের অন্তত একবার এইচআইভি পরীক্ষারও পরামর্শ দেওয়া হয়। অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট অনুযায়ী, যেসব রোগী ইউএসপিএসটিএফ মানদণ্ডে পড়েন, তাদের জন্য প্রেপ ও এইচআইভি পরীক্ষার খরচ বিমা কোম্পানিগুলোকে বহন করতে হয়।
তবে এই বিষয়টি বর্তমানে একটি মামলার কেন্দ্রবিন্দু—ব্রেইডউড ভি. কেনেডি। মামলাটি সম্প্রতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে উপস্থাপন হয়েছে এবং শিগগিরই রায় ঘোষণা করা হবে।
গবেষণাটি ‘জার্নাল অব জেনারেল ইন্টারনাল মেডিসিনে’ প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে (এনআইসিভিডি) পুরোনো করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে সেটির নির্মাণকাজ। এই অবস্থায় সংকটাপন্ন রোগীদের জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে অস্থায়ী সিসিইউতে। কিন্তু একটি সিসিইউর জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেখানে তা নেই।
১১ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৭ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৯ ঘণ্টা আগেঅ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা এমন একটি মানসিক রোগ, যেখানে একজন মানুষ সব সময় মনে করেন তিনি মোটা। যদিও বাস্তবে হয়তো তিনি খুবই পাতলা। এই ভয়ে তিনি খাওয়া-দাওয়া একেবারে কমিয়ে দেন বা বাদই দিয়ে দেন।
২০ ঘণ্টা আগে