দেশের প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শামীমা আক্তারের দেহে। তবে তাঁকে বাঁচানো গেল না! গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনি দাতা সারাহ ইসলামের কিডনি পেয়েছিলেন। শামীমার আগে আরেক নারীর দেহে সারাহর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তিনিও মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টেশন বলতে বোঝায়, ক্লিনিক্যালি বা ব্রেইন ডেড কোনো ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা।
গত বছরের জানুয়ারিতে সারাহ ইসলামের অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শামীমা আক্তার ও হাসিনার শরীরে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করে।
কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে হাসিনার মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে শামীমা আক্তারের মৃত্যু হয় বলে খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউয়ের প্রধান প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, ‘প্রথমজনের (হাসিনা) মৃত্যু হয়েছিল ফুসফুসে সংক্রমণে। দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের! শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন শামীমা।’
সম্প্রতি শামীমার ভাই তাঁর ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়া এবং একেবারে শুকিয়ে যাওয়ার কথা জানালে তিন সপ্তাহ আগে আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিলেন সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। ক্রিয়েটিনিন পুনরায় বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ড থেকে তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
শামীমার মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘তাঁর সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম। আমাদের এখানে সমস্যা হওয়ায় ওয়ার্ডে নিয়ে সি ভাইরাস ডায়ালাইসিস দিয়েছিলাম। এরপরও উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হলো।’
অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো রোগীর হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে রক্ত কাজ করে না। এ জন্য বিশেষ রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময় অবস্থা খারাপ হলেও সময়মতো আমাদের জানানো হয়নি। কিছুটা অবহেলা তো ছিলই।’
দেশের প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শামীমা আক্তারের দেহে। তবে তাঁকে বাঁচানো গেল না! গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনি দাতা সারাহ ইসলামের কিডনি পেয়েছিলেন। শামীমার আগে আরেক নারীর দেহে সারাহর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। তিনিও মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টেশন বলতে বোঝায়, ক্লিনিক্যালি বা ব্রেইন ডেড কোনো ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা।
গত বছরের জানুয়ারিতে সারাহ ইসলামের অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শামীমা আক্তার ও হাসিনার শরীরে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করে।
কিন্তু গত বছরের অক্টোবরে হাসিনার মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে শামীমা আক্তারের মৃত্যু হয় বলে খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউয়ের প্রধান প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, ‘প্রথমজনের (হাসিনা) মৃত্যু হয়েছিল ফুসফুসে সংক্রমণে। দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের! শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিলেন শামীমা।’
সম্প্রতি শামীমার ভাই তাঁর ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাওয়া এবং একেবারে শুকিয়ে যাওয়ার কথা জানালে তিন সপ্তাহ আগে আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিলেন সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। ক্রিয়েটিনিন পুনরায় বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ড থেকে তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়। এরপরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
শামীমার মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘তাঁর সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম। আমাদের এখানে সমস্যা হওয়ায় ওয়ার্ডে নিয়ে সি ভাইরাস ডায়ালাইসিস দিয়েছিলাম। এরপরও উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হলো।’
অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কোনো রোগীর হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে রক্ত কাজ করে না। এ জন্য বিশেষ রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময় অবস্থা খারাপ হলেও সময়মতো আমাদের জানানো হয়নি। কিছুটা অবহেলা তো ছিলই।’
প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয়ে চিকিৎসকদের জন্য এক নতুন সতর্কবার্তা নিয়ে এসেছে লিথুয়ানিয়ার ২৯ বছর বয়সী এক নারীর বিরল সমস্যা। বারবার চেষ্টা করেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসায়ও ফল না আসায় ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।
১ ঘণ্টা আগেহাসপাতালে ভর্তি আগুনে পোড়া রোগীদের সেপসিস, একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ, শক ইত্যাদি হতে পারে। ফলে তাদের বিভিন্ন জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা সাধারণ রোগীর চেয়ে বেশি। এসব জীবাণুর অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসের প্রতি রেজিস্ট্যান্স হার অনেক বেশি...
৩ ঘণ্টা আগেআগুনে পুড়ে যাওয়া একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক দুর্ঘটনা। এ দুর্ঘটনা শুধু ত্বকই নয়, চোখের মতো সংবেদনশীল অঙ্গকেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আগুন, গরম বাষ্প, বিস্ফোরণ, রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ধোঁয়ার কারণে হওয়া চোখের ক্ষতি অনেক সময় স্থায়ী অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চোখের...
৪ ঘণ্টা আগেএনুরিসেস বা বিছানায় প্রস্রাব করা একটি সাধারণ শিশু সমস্যা। এটি অনেক সময় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেরে যায়, আবার কখনো কখনো হয়ে দাঁড়ায় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। এটি শুধু শারীরিক নয়, বরং মানসিক ও সামাজিক প্রভাবও ফেলে শিশুর জীবনে। এনুরিসেস শিশুদের জন্য লজ্জার বিষয় নয়। একটি চিকিৎসাযোগ্য অবস্থা...
৫ ঘণ্টা আগে