দাকোপ প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, এবার উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা নদীবেষ্টিত তিনটি দ্বীপ নিয়ে দাকোপ উপজেলা গঠিত। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে মিশে আছে সুন্দরবন। এখানকার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি। ফলে দাকোপে একসময় জমিতে একটি মাত্র ফসল চাষ করা হতো। আর তা হচ্ছে আমন ধান। বাকি সময় জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকত। মানুষ বেকার হয়ে বাড়ি বসে থাকত। কোনো কাজ না থাকায় আয় থাকত না। ফলে অভাব-অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করত। তবে কয়েক বছর ধরে কৃষি অফিসের উৎসাহে কেউ কেউ তাঁদের জমিতে রবিশস্য চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাঁদের দেখে এ বছর দাকোপের অধিকাংশ জমিতে তরমুজ, বোরো ধান, শসা, লাউ, উচ্ছে, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙে, তিল, বাঙ্গি, মুগডাল চাষ করেছেন কৃষকেরা।
এতে একদিকে যেমন এলাকার হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, অন্যদিকে ভালো ফসল ফলিয়ে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্যমতে, গত বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টরে। এ ছাড়া বোরো ধান চাষ হয়েছে ২১৫ হেক্টর, তিল ৩ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর, বাঙ্গি ১৫ হেক্টর ও শাকসবজি ৫০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোব, বানিশান্ত, দাকোপ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, পানখালী ইউনিয়ন ও চালনা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ পানি সেচ দিচ্ছেন জমিতে, কেউ গাছে কীটনাশক দিচ্ছেন, কেউ কেউ আবার সার দিচ্ছেন। যাঁদের তরমুজ বড় হয়ে গেছে, তাঁরা বিক্রি করে দিচ্ছেন। ক্রেতারা শ্রমিকের মাধ্যমে তরমুজ ট্রাক ও ট্রলারে উঠিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। মোট কথা, কৃষক এখন খুবই ব্যস্ত। এসব কাজ টাকার বিনিময়ে করছেন এলাকার হাজারো পুরুষ ও নারী শ্রমিক। কাজ শেষে পারিশ্রমিকের টাকা নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
কথা হয় বাজুয়া এলাকার তপন সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো জায়গাজমি নেই। অন্যের বাড়ি কাজ করে খাই। আগে কাজ ছিল না, তখন চলতে খুব কষ্ট হতো। এ বছর জমিতে তরমুজের চাষ হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেশ ভালো। মাঠে কাজ করে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা করে পাচ্ছি। তা দিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে বেশ ভালোই আছি।’
দাকোপ এলাকার নারী শ্রমিক গীতা মন্ডল বলেন, ‘আগে কোনো কাজ ছিল না। তখন খুব খারাপ সময় পার করেছি। স্বামীর ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে হতো। নিজের ছেলে-মেয়েকে ইচ্ছেমতো কিছু কিনে দিতে পারতাম না। এখন অনেক ভালো আছি। তরমুজ খেতে কাজ করে ঘণ্টায় ৬০-৭০ টাকা পাই। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় করি। অনেক ভালো আছি।’
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, দাকোপে এ বছর ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ, ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, তিল ৩ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর, বাঙ্গি ১৫ হেক্টর ও ৫০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। এবারও দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে তরমুজের দাম কম থাকায় কৃষকেরা চিন্তিত।
খুলনার দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় খুশি চাষিরা। উপজেলায় গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে, এবার উপজেলায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
জানা গেছে, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা নদীবেষ্টিত তিনটি দ্বীপ নিয়ে দাকোপ উপজেলা গঠিত। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে মিশে আছে সুন্দরবন। এখানকার পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি। ফলে দাকোপে একসময় জমিতে একটি মাত্র ফসল চাষ করা হতো। আর তা হচ্ছে আমন ধান। বাকি সময় জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকত। মানুষ বেকার হয়ে বাড়ি বসে থাকত। কোনো কাজ না থাকায় আয় থাকত না। ফলে অভাব-অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করত। তবে কয়েক বছর ধরে কৃষি অফিসের উৎসাহে কেউ কেউ তাঁদের জমিতে রবিশস্য চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তাঁদের দেখে এ বছর দাকোপের অধিকাংশ জমিতে তরমুজ, বোরো ধান, শসা, লাউ, উচ্ছে, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙে, তিল, বাঙ্গি, মুগডাল চাষ করেছেন কৃষকেরা।
এতে একদিকে যেমন এলাকার হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, অন্যদিকে ভালো ফসল ফলিয়ে কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্যমতে, গত বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টরে। এ ছাড়া বোরো ধান চাষ হয়েছে ২১৫ হেক্টর, তিল ৩ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর, বাঙ্গি ১৫ হেক্টর ও শাকসবজি ৫০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলার বাজুয়া, কৈলাশগঞ্জ, লাউডোব, বানিশান্ত, দাকোপ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, পানখালী ইউনিয়ন ও চালনা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ পানি সেচ দিচ্ছেন জমিতে, কেউ গাছে কীটনাশক দিচ্ছেন, কেউ কেউ আবার সার দিচ্ছেন। যাঁদের তরমুজ বড় হয়ে গেছে, তাঁরা বিক্রি করে দিচ্ছেন। ক্রেতারা শ্রমিকের মাধ্যমে তরমুজ ট্রাক ও ট্রলারে উঠিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। মোট কথা, কৃষক এখন খুবই ব্যস্ত। এসব কাজ টাকার বিনিময়ে করছেন এলাকার হাজারো পুরুষ ও নারী শ্রমিক। কাজ শেষে পারিশ্রমিকের টাকা নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।
কথা হয় বাজুয়া এলাকার তপন সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো জায়গাজমি নেই। অন্যের বাড়ি কাজ করে খাই। আগে কাজ ছিল না, তখন চলতে খুব কষ্ট হতো। এ বছর জমিতে তরমুজের চাষ হওয়ার কারণে অনেক মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরি বেশ ভালো। মাঠে কাজ করে প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা করে পাচ্ছি। তা দিয়ে বউ-বাচ্চা নিয়ে বেশ ভালোই আছি।’
দাকোপ এলাকার নারী শ্রমিক গীতা মন্ডল বলেন, ‘আগে কোনো কাজ ছিল না। তখন খুব খারাপ সময় পার করেছি। স্বামীর ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে হতো। নিজের ছেলে-মেয়েকে ইচ্ছেমতো কিছু কিনে দিতে পারতাম না। এখন অনেক ভালো আছি। তরমুজ খেতে কাজ করে ঘণ্টায় ৬০-৭০ টাকা পাই। সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা আয় করি। অনেক ভালো আছি।’
উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, দাকোপে এ বছর ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ, ২১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, তিল ৩ হেক্টর, মুগডাল ৪ হেক্টর, বাঙ্গি ১৫ হেক্টর ও ৫০ হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। এবারও দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজারে তরমুজের দাম কম থাকায় কৃষকেরা চিন্তিত।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪