নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিপস খাওয়ার পর পলিথিনের প্যাকেটটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলছেন? আশপাশে ডাস্টবিন থাকলেও ড্রেনে ফেলছেন সফট ড্রিংকসের ক্যানটি? তাহলে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। এখন থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেখানে-সেখানে অপচনশীল বর্জ্য ফেললে পড়তে পারেন জেল-জরিমানার মুখে। এমন বিধান রেখেই সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বিধিমালায় যে বা যাঁরা অপচনশীল বর্জ্য তৈরি করছেন, তাঁদের সঙ্গে এসবের ব্যবহারকারী, পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারক এবং স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ফলে এখন থেকে জৈবিকভাবে অপচনশীল পণ্যের প্রস্তুতকারী বা আমদানিকারকদের বর্জ্য নিঃশেষ বা পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে অংশ নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অর্থায়নসহ প্রয়োজনে সরকারি সংস্থাকে জনবলও দিতে হবে এসবের প্রস্তুতকারীদের। এসব নিয়ম না মানলে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌর এলাকা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বসবাসরত বর্জ্য সৃজনকারী এবং ব্যবহারকারীকে নিজ কর্মস্থল বা আবাসস্থলে সৃষ্ট সব বর্জ্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফেলতে হবে। জৈবিকভাবে পচনশীল, অপচনশীল এবং গার্হস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ কঠিন বর্জ্য আলাদা করে আঙিনা বা স্থাপনায় ভিন্ন ভিন্ন ঢাকনাযুক্ত ৩টি পাত্রে সংরক্ষণ করে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত শ্রেণির বর্জ্যের জন্য নির্দিষ্ট করা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। বর্জ্যের কোনো অংশ খোলা রাখা যাবে না।
অবকাঠামো নির্মাণ ও ভাঙন থেকে সৃষ্ট বর্জ্য থেকে যাতে বাতাসে ছড়াতে না পারে বা বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনে না পড়ে, সে জন্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে এসব বর্জ্য হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত তা আলাদা রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিধিমালায়। এ ছাড়া একক বা সম্মিলিতভাবে সৃষ্ট বর্জ্য আঙিনার বাইরে রাস্তা, খোলা জায়গা, ড্রেন বা পানিতে ফেলা যাবে না। এসব বর্জ্য খোলা জায়গায় পোড়ানোও যাবে না। পার্ক, স্টেশন, টার্মিনাল বা জনসমাগমস্থলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ছাড়া যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না কঠিন কোনো বর্জ্য।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ) কেয়া খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিধিমালা করা হয়েছে। কাউকে সাজা দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য না। বিধিমালায় সাজা আরোপ করে মানুষকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাইছি, মানুষ সচেতন হোক। কারণ, সবাই সচেতন না হলে শহর পরিষ্কার রাখা সম্ভব নয়।’
নতুন এ বিধিমালা অনুযায়ী, দোকান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার ও অন্য আবাসিক, বাণিজ্যিক বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা জমা করে নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে। আর জৈবিকভাবে অপচনশীল ডিসপোজিবল পণ্যের প্রস্তুতকারী বা আমদানিকারকদের টিন, গ্লাস, প্লাস্টিক, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক, পলিথিন, মাল্টিলেয়ার প্যাকেজিং বা মোড়ক, বোতল, ক্যান বা সমজাতীয় পণ্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বর্জ্য গ্রাহক পর্যায় থেকে সংগ্রহ করে নিঃশেষের ব্যবস্থা করতে হবে।
অতিরিক্ত সচিব কেয়া খান আরও বলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী অপচনশীল বর্জ্য যাঁরা উৎপাদন করছেন, তাঁদের সেগুলো সংগ্রহ করে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটির উর্বরতা শক্তিকে নষ্ট করছে। এজন্য সবাইকে বুঝতে হবে যে যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলা যাবে না। কেউ যাতে আর যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলে আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’
চিপস খাওয়ার পর পলিথিনের প্যাকেটটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলছেন? আশপাশে ডাস্টবিন থাকলেও ড্রেনে ফেলছেন সফট ড্রিংকসের ক্যানটি? তাহলে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। এখন থেকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যেখানে-সেখানে অপচনশীল বর্জ্য ফেললে পড়তে পারেন জেল-জরিমানার মুখে। এমন বিধান রেখেই সম্প্রতি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বিধিমালায় যে বা যাঁরা অপচনশীল বর্জ্য তৈরি করছেন, তাঁদের সঙ্গে এসবের ব্যবহারকারী, পণ্য প্রস্তুতকারক ও আমদানিকারক এবং স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ফলে এখন থেকে জৈবিকভাবে অপচনশীল পণ্যের প্রস্তুতকারী বা আমদানিকারকদের বর্জ্য নিঃশেষ বা পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করতে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে অংশ নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অর্থায়নসহ প্রয়োজনে সরকারি সংস্থাকে জনবলও দিতে হবে এসবের প্রস্তুতকারীদের। এসব নিয়ম না মানলে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন, পৌর এলাকা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় বসবাসরত বর্জ্য সৃজনকারী এবং ব্যবহারকারীকে নিজ কর্মস্থল বা আবাসস্থলে সৃষ্ট সব বর্জ্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফেলতে হবে। জৈবিকভাবে পচনশীল, অপচনশীল এবং গার্হস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ কঠিন বর্জ্য আলাদা করে আঙিনা বা স্থাপনায় ভিন্ন ভিন্ন ঢাকনাযুক্ত ৩টি পাত্রে সংরক্ষণ করে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত শ্রেণির বর্জ্যের জন্য নির্দিষ্ট করা ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। বর্জ্যের কোনো অংশ খোলা রাখা যাবে না।
অবকাঠামো নির্মাণ ও ভাঙন থেকে সৃষ্ট বর্জ্য থেকে যাতে বাতাসে ছড়াতে না পারে বা বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনে না পড়ে, সে জন্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে এসব বর্জ্য হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত তা আলাদা রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিধিমালায়। এ ছাড়া একক বা সম্মিলিতভাবে সৃষ্ট বর্জ্য আঙিনার বাইরে রাস্তা, খোলা জায়গা, ড্রেন বা পানিতে ফেলা যাবে না। এসব বর্জ্য খোলা জায়গায় পোড়ানোও যাবে না। পার্ক, স্টেশন, টার্মিনাল বা জনসমাগমস্থলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ছাড়া যেখানে-সেখানে ফেলা যাবে না কঠিন কোনো বর্জ্য।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ) কেয়া খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিধিমালা করা হয়েছে। কাউকে সাজা দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য না। বিধিমালায় সাজা আরোপ করে মানুষকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাইছি, মানুষ সচেতন হোক। কারণ, সবাই সচেতন না হলে শহর পরিষ্কার রাখা সম্ভব নয়।’
নতুন এ বিধিমালা অনুযায়ী, দোকান, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার ও অন্য আবাসিক, বাণিজ্যিক বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের ময়লা-আবর্জনা জমা করে নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে। আর জৈবিকভাবে অপচনশীল ডিসপোজিবল পণ্যের প্রস্তুতকারী বা আমদানিকারকদের টিন, গ্লাস, প্লাস্টিক, একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক, পলিথিন, মাল্টিলেয়ার প্যাকেজিং বা মোড়ক, বোতল, ক্যান বা সমজাতীয় পণ্যের মাধ্যমে সৃষ্ট বর্জ্য গ্রাহক পর্যায় থেকে সংগ্রহ করে নিঃশেষের ব্যবস্থা করতে হবে।
অতিরিক্ত সচিব কেয়া খান আরও বলেন, ‘বিধিমালা অনুযায়ী অপচনশীল বর্জ্য যাঁরা উৎপাদন করছেন, তাঁদের সেগুলো সংগ্রহ করে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্লাস্টিক ও পলিথিন মাটির উর্বরতা শক্তিকে নষ্ট করছে। এজন্য সবাইকে বুঝতে হবে যে যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলা যাবে না। কেউ যাতে আর যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলে আমরা সেই চেষ্টাই করছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪