শিমুল চৌধুরী, ভোলা
ভোলা জেনারেল হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। এটি হস্তান্তরও হয়ে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। ফলে এ ভবনে পুরোপুরি চালু করা যায়নি স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম। এতে অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি সম্পদ। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, নতুন ভবনের আসবাবপত্র এখনো পাওয়া যায়নি, তাই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
সদর হাসপাতালের প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট এলাকায় গণপূর্ত বিভাগ ভবনটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
নয়তলা ফাউন্ডেশনের ভবনটিতে বর্তমানে সাততলা নির্মিত হয়েছে। ২০১৩ সালে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২০ সালে সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, ভবনটির প্রথম ফ্লোরে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, ইমার্জেন্সি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। দ্বিতীয় ফ্লোরে ডায়াগনস্টিক বিভাগ ও ডাক্তারদের জন্য রুম রয়েছ ১৪ টি। তৃতীয় তলায় রয়েছে চারটি অপারেশন থিয়েটার, অ্যাডমিন ব্লক ও ছয় বেডের আইসিইউ। চতুর্থ তলায় রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটার, ১২টি পোস্ট ওটি, ১৬টি লেবার রুম, রোগীদের ২৮ বেড ও কনফারেন্স রুম রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ফ্লোরে রোগীদের জন্য রয়েছে ১৪০টি বেড। আর সপ্তম তলায় হচ্ছে রোগীদের জন্য ২৮টি কেবিন। ক্যাম্পাসে ডাক্তারদের জন্য তিন তলায় একটি ডরমিটরি ভবনের নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু কেন এখনো এটি উদ্বোধন হচ্ছে না, তা বলতে পারছেন না গণপূর্ত বিভাগ ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মুসা।
এ বিষয়ে স্থানীয় সমাজসেবক বদ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মীর মোশাররফ অমি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতার কারণে ভোলার জনগণ আজ চিকিৎসাবঞ্চিত। আমি মনে করি, ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনটি চালু হলে জনগণের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমবে। যেহেতু ভোলা বরিশাল সেতুর বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। তাই আমাদের চিকিৎসা নিরাপত্তার জন্য আমরা চাই খুব দ্রুত এ হাসপাতাল চালু করা হোক।’
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবে না। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তাদের খেয়াল নেই। তাই, ভোলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবছেন না কেউই।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ লোকমান হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন ভবনের আসবাবপত্র এখনো পাওয়া যায়নি। জনবলসংকটও রয়েছে।
তাই, ভোলায় ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের বর্ধিত নতুন বহুতল ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। তবে, দ্রুতই এটি উদ্বোধন করা হবে।
ভোলা জেনারেল হাসপাতালের বর্ধিত নতুন আধুনিক বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় তিন বছর আগে। এটি হস্তান্তরও হয়ে গেছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। ফলে এ ভবনে পুরোপুরি চালু করা যায়নি স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম। এতে অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সরকারি সম্পদ। পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, নতুন ভবনের আসবাবপত্র এখনো পাওয়া যায়নি, তাই আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
সদর হাসপাতালের প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট এলাকায় গণপূর্ত বিভাগ ভবনটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪২ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার টাকা।
নয়তলা ফাউন্ডেশনের ভবনটিতে বর্তমানে সাততলা নির্মিত হয়েছে। ২০১৩ সালে নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০২০ সালে সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, ভবনটির প্রথম ফ্লোরে রেডিওলজি ডিপার্টমেন্ট, ইমার্জেন্সি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। দ্বিতীয় ফ্লোরে ডায়াগনস্টিক বিভাগ ও ডাক্তারদের জন্য রুম রয়েছ ১৪ টি। তৃতীয় তলায় রয়েছে চারটি অপারেশন থিয়েটার, অ্যাডমিন ব্লক ও ছয় বেডের আইসিইউ। চতুর্থ তলায় রয়েছে একটি অপারেশন থিয়েটার, ১২টি পোস্ট ওটি, ১৬টি লেবার রুম, রোগীদের ২৮ বেড ও কনফারেন্স রুম রয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ফ্লোরে রোগীদের জন্য রয়েছে ১৪০টি বেড। আর সপ্তম তলায় হচ্ছে রোগীদের জন্য ২৮টি কেবিন। ক্যাম্পাসে ডাক্তারদের জন্য তিন তলায় একটি ডরমিটরি ভবনের নির্মাণকাজও শেষ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১ জুলাই ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু কেন এখনো এটি উদ্বোধন হচ্ছে না, তা বলতে পারছেন না গণপূর্ত বিভাগ ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মুসা।
এ বিষয়ে স্থানীয় সমাজসেবক বদ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মীর মোশাররফ অমি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতার কারণে ভোলার জনগণ আজ চিকিৎসাবঞ্চিত। আমি মনে করি, ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনটি চালু হলে জনগণের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমবে। যেহেতু ভোলা বরিশাল সেতুর বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। তাই আমাদের চিকিৎসা নিরাপত্তার জন্য আমরা চাই খুব দ্রুত এ হাসপাতাল চালু করা হোক।’
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ভোলা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবে না। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তাদের খেয়াল নেই। তাই, ভোলার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনের কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ভাবছেন না কেউই।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ লোকমান হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন ভবনের আসবাবপত্র এখনো পাওয়া যায়নি। জনবলসংকটও রয়েছে।
তাই, ভোলায় ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের বর্ধিত নতুন বহুতল ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না। তবে, দ্রুতই এটি উদ্বোধন করা হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪