মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রকল্পের আওতায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা।
নলকূপ স্থাপনের কাজে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গড়িমসি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি বারবার জানানো হলেও এর সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে সমস্যার কারণ হিসেবে মেকানিকের সংকট ও নারী মেকানিকদের জন্য দূরের রাস্তায় যাওয়া কঠিন হওয়াকে দায়ী করছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
এখলাছুর রহমান নামের নলকূপের এক গ্রহীতা তাঁর নিজের বাড়িতে গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নানা গাফিলতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, নিজের বাড়িতে বসানোর একটি গভীর নলকূপের (সাবমার্সিবল) আবেদন করার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার ১০০ টাকা মোহনগঞ্জ জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ে জমা দিই। পরে ১৫ মার্চ মিস্ত্রিরা পাইপ নিয়ে গিয়ে নলকূপ বসানো শুরু করেন। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক দিনও জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের কেউ তদারকিতে আসেননি।
এখলাছুর রহমানের অভিযোগ, হাজার ফুটের নলকূপ বসানোর কথা থাকলেও মিস্ত্রিরা স্বেচ্ছাচারিতা করে ৮০০ ফুটে লেয়ার পেয়েছেন বলে সেখানেই থেমে যান। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে যথাসময়ে লোহার পাইপ সরবরাহ না করায় মিস্ত্রিরা দেড় দিন অলস বসে কাটান। এদিকে এই সময়ে পাইপলাইন জ্যাম হয়ে যায়।
ওয়াশ ছাড়াই বসানো হয় পাইপ। এরপর মোটর নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়েছে আরও কয়েক দিন। সবশেষে মোটর লাগানোর পর আবার পানি ওঠে না। জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ে জানানো হলেও কেউ আসেননি।
একপর্যায়ে জানানো হয়, ওয়াশ মেশিন কলমাকান্দায় আছে। সেটা এলে তাঁরা আসবেন। ওয়াশ মেশিন নিয়ে মিস্ত্রিরা যান ২১ এপ্রিল। সারা দিন চেষ্টার পর তাঁরা জানান, এই লাইন ড্যামেজ, পানি উঠবে না। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো ফল হয়নি। এখন পর্যন্ত এভাবেই নলকূপটির যন্ত্রপাতি বাড়িতে পড়ে আছে।
এ সময় এখলাছুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নলকূপটি বসিয়ে ভোগান্তি নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শুধু এখলাছুর রহমানই নন, নুরুল ইসলামসহ একই ধরনের হয়রানির অভিযোগ অন্যান্য গ্রহীতারও।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্যের মোহনগঞ্জ কার্যালয়ের উপপ্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কাদা জমে জ্যাম হয়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অফিসে পাইপেরও সংকট ছিল। তবু আমরা যথাযথভাবে ম্যানেজ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ঈদের পরে মেকানিক এখনো কাজে যোগ দেননি। দু-তিন দিনের মধ্যে চলে আসবেন। এখলাছুর রহমানের নলকূপের কাজটা প্রথমে করে দেওয়া হবে।
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ে মূলত চারজন মেকানিক রয়েছেন। ওই সময়ে একসঙ্গে ২০টির মতো নলকূপের কাজ চলছিল। তাই সব জায়গায় যেতে পারেননি তাঁরা। তা ছাড়া নারী মেকানিকদের জন্য দূরের রাস্তায় যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্যই সংকট দেখা গেছে।’
জনস্বাস্থ্যের নলকূপে ভোগান্তিউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, শুধু এখলাছুর রহমান নন, আরও অনেকে নলকূপ নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। প্রকৌশলীকে অনেকবার তাগাদাও দিয়েছি যথাসময়ে কাজ করার জন্য। আমি আবারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রকল্পের আওতায় থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা।
নলকূপ স্থাপনের কাজে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গড়িমসি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। বিষয়টি বারবার জানানো হলেও এর সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে সমস্যার কারণ হিসেবে মেকানিকের সংকট ও নারী মেকানিকদের জন্য দূরের রাস্তায় যাওয়া কঠিন হওয়াকে দায়ী করছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
এখলাছুর রহমান নামের নলকূপের এক গ্রহীতা তাঁর নিজের বাড়িতে গভীর নলকূপ বসানো নিয়ে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নানা গাফিলতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, নিজের বাড়িতে বসানোর একটি গভীর নলকূপের (সাবমার্সিবল) আবেদন করার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার ১০০ টাকা মোহনগঞ্জ জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ে জমা দিই। পরে ১৫ মার্চ মিস্ত্রিরা পাইপ নিয়ে গিয়ে নলকূপ বসানো শুরু করেন। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক দিনও জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের কেউ তদারকিতে আসেননি।
এখলাছুর রহমানের অভিযোগ, হাজার ফুটের নলকূপ বসানোর কথা থাকলেও মিস্ত্রিরা স্বেচ্ছাচারিতা করে ৮০০ ফুটে লেয়ার পেয়েছেন বলে সেখানেই থেমে যান। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য কার্যালয় থেকে যথাসময়ে লোহার পাইপ সরবরাহ না করায় মিস্ত্রিরা দেড় দিন অলস বসে কাটান। এদিকে এই সময়ে পাইপলাইন জ্যাম হয়ে যায়।
ওয়াশ ছাড়াই বসানো হয় পাইপ। এরপর মোটর নিয়ে যেতেও বেগ পেতে হয়েছে আরও কয়েক দিন। সবশেষে মোটর লাগানোর পর আবার পানি ওঠে না। জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ে জানানো হলেও কেউ আসেননি।
একপর্যায়ে জানানো হয়, ওয়াশ মেশিন কলমাকান্দায় আছে। সেটা এলে তাঁরা আসবেন। ওয়াশ মেশিন নিয়ে মিস্ত্রিরা যান ২১ এপ্রিল। সারা দিন চেষ্টার পর তাঁরা জানান, এই লাইন ড্যামেজ, পানি উঠবে না। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনো ফল হয়নি। এখন পর্যন্ত এভাবেই নলকূপটির যন্ত্রপাতি বাড়িতে পড়ে আছে।
এ সময় এখলাছুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নলকূপটি বসিয়ে ভোগান্তি নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
শুধু এখলাছুর রহমানই নন, নুরুল ইসলামসহ একই ধরনের হয়রানির অভিযোগ অন্যান্য গ্রহীতারও।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্যের মোহনগঞ্জ কার্যালয়ের উপপ্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন বলেন, কাদা জমে জ্যাম হয়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অফিসে পাইপেরও সংকট ছিল। তবু আমরা যথাযথভাবে ম্যানেজ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে ঈদের পরে মেকানিক এখনো কাজে যোগ দেননি। দু-তিন দিনের মধ্যে চলে আসবেন। এখলাছুর রহমানের নলকূপের কাজটা প্রথমে করে দেওয়া হবে।
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ে মূলত চারজন মেকানিক রয়েছেন। ওই সময়ে একসঙ্গে ২০টির মতো নলকূপের কাজ চলছিল। তাই সব জায়গায় যেতে পারেননি তাঁরা। তা ছাড়া নারী মেকানিকদের জন্য দূরের রাস্তায় যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়ে। এ জন্যই সংকট দেখা গেছে।’
জনস্বাস্থ্যের নলকূপে ভোগান্তিউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহম্মেদ আকুঞ্জি বলেন, শুধু এখলাছুর রহমান নন, আরও অনেকে নলকূপ নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ করেছেন। প্রকৌশলীকে অনেকবার তাগাদাও দিয়েছি যথাসময়ে কাজ করার জন্য। আমি আবারও বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪