Ajker Patrika

নদীরক্ষা বাঁধে কষ্ট দূর চার গ্রামের মানুষের

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৪: ৫০
Thumbnail image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নে টেংরামারী নদীর ভাঙন রক্ষা বাঁধ হওয়ায় চার গ্রামের মানুষের কষ্ট লাঘব হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পের অর্থায়নে এ বাঁধ তৈরি করা হয়েছে।

গ্রামের মানুষের কষ্ট লাঘবে ভূমিকা রাখেন পাটগ্রাম টিএন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল ওহাব প্রধান। তিনি বলেন, ‘বহুদিন ধরে কৃষকদের জমি আবাদ করা যাচ্ছিল না। মানুষ চলাচলও করতে পারত না। সরকারি অর্থ বরাদ্দ কাজ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের কষ্ট দূর হয়েছে।’

জানা গেছে, পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে খ্যানপাড়া, কামারটারি, মসল্লিটারী ও প্রধানপাড়া গ্রাম হয়ে বয়ে গেছে টেংরামারী নদী। নদীর পূর্ব দিকে প্রায় ২৫০ ফুট ভাঙন অংশে বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ দেওয়ার ও ঘাস লাগানোর কাজ করছেন ১০ জন শ্রমিক।

স্থানীয়দের মতে, শুষ্ক মৌসুমে নদীটিতে পানি থাকে না। বর্ষার সময় বন্যায় প্রবল স্রোত ভয়ংকর রূপ নেয় টেংরামারী নদী। এ সময় গ্রামবাসীকে অন্তত ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়। গ্রামের লোকদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শে স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনকে আবেদনপত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নদীর ওই অংশে বাঁধের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার/রক্ষণাবেক্ষণ (কাবিখা/কাবিটা/টিআর) দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেন সাংসদ। এ কাজ বাস্তবায়নে ৭ সদস্যের কমিটির মধ্যে সভাপতি হন আব্দুল ওহাব প্রধান। বরাদ্দের টাকায় ভাঙনকবলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালু ও বালুর বস্তা ফেলে, বাঁশের পাইলিং দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এখনো কাজ চলছে।

বাঁধের সুবিধা ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী পরিবার পাচ্ছে এমনটি জানিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজামাল বলেন, ‘এসব বরাদ্দের কাজ অনেকে ঠিকমতো করে না। কিন্তু আব্দুল ওহাব প্রধান স্যার ব্যতিক্রম। তিনি যা বরাদ্দ পেয়েছেন এর চেয়ে অনেক বেশি খরচ করেছেন। এলাকার মানুষ তাঁর প্রশংসা করছেন।’

সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব প্রধান বলেন, ‘এলাকাটি আমার গ্রামের বাড়ি। মানুষের কষ্ট পোহাতে দেখে কিছুটা চেষ্টা করেছি। সাংসদ মোতাহার হোসেন ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুলের সহযোগিতায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পের মাধ্যমে নদীতে বিলীন হওয়া অংশে বাঁশের আড় ও বাঁধ দিয়ে, ঘাস লাগিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এতে এলাকার মানুষের কষ্ট কমবে।’

পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) উত্তম কুমার নন্দী বলেন, ‘গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পের অর্থায়নে পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙনকবলিত স্থানে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও কৃষিজমি ক্ষতি হতে রক্ষা পেয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত