মো. মাহবুব-উল-আহসান উল্লাস, খোকসা (কুষ্টিয়া)
লাল তেঁতুলের কথা শুনেছেন কি? পাকলে তেঁতুলের রং হয় হালকা খয়েরি। কিন্তু হিজলাবট গ্রামের মানুষ বুক ফুলিয়ে বলবে, ‘তেঁতুলের রং লালও হয়। আসুন আমাদের গ্রামে। দেখিয়ে দেব।’ ঠিকই পড়েছেন। হিজলাবট গ্রামটিই এ দেশের একমাত্র গ্রাম, যেখানে কালের সাক্ষী হয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে তিনটি তেঁতুলগাছ এবং সেগুলোতে লাল রঙের তেঁতুল ধরে থোকায় থোকায়। তেঁতুলের রং লাল সেটা নিশ্চিত হলেও গ্রামটির বয়স কত? সেটা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের বয়স তাঁদের কল্পনার শেষ সীমানায় নিয়ে যেতে চান। এর কারণও আছে।
খোকসা উপজেলা সদর থেকে গড়াই নদ পেরোলেই হিজলাবট গ্রাম। ‘হিজলাবট’ নামটি শুনলে বা পড়লেই মনে হবে, চিনি উহারে। কেন চিনি? তার অনেক গল্প আছে। সেসব গল্পে যাওয়ার আগে এ গ্রামের পথে পথে একটু হেঁটে ঘুরেফিরে আসা যাক।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার হিজলাবট গ্রামটি আর দশটি গ্রামের মতো নয়। গড়ন এক হলেও গালগল্পে আর ইতিহাসে কিছুটা অন্য রকম তো বটেই। ইট বিছানো আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই পাশে গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো ছড়িয়ে আছেই। এর পথে পথে ছড়িয়ে আছে গল্প। সে গল্পের গরু কখনো গাছে ওঠে তো কখনো জলে ডোবে। গল্পের সেসব গরু খোঁজার আগে গ্রামটিকে চিনে নেওয়া যাক। গড়াই নদের তীরে ৪টি পাড়া নিয়ে গঠিত হিজলাবট নামের এই গ্রাম। এই পাড়াগুলো হলো দাশপাড়া, মধ্যপাড়া, পুকুরপাড়া ও ব্রিক ফিল্ড। গ্রামে ১২৭ পরিবারে প্রায় ৮৫৫ জন মানুষ বসবাস করে। গড়াই নদসহ গ্রামটির আয়তন আড়াই বর্গকিলোমিটার। তবে নদ বাদে দেড় বর্গকিলোমিটার। অব্যাহত নদভাঙনের ফলে গ্রামটির ঘরবাড়ি ও অধিকাংশ ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে।
গ্রামটির আছে অতীত ইতিহাস। গ্রামের মধ্যে আছে প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইংরেজদের আমলে নির্মিত নীল কুঠি। কথিত আছে, ইংরেজ আমলে এখান থেকে কুমারখালী ও খোকসা অঞ্চলের নীল চাষ পরিচালনা করা হতো। দুইতলা এই ভবনটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এই ভবনটির পাশে রয়েছে পাশাপাশি ৩টি তেঁতুলগাছ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই তেঁতুলের বীজ থেকে চারা হয় না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট এলাকায় এক পীরের মাজারে এমনই একটি গাছ আছে বলে জানা যায়। শোনা যায়, সেটির বয়স ৫০০ বছরেরও বেশি। হিজলাবট গ্রামের স্থানীয় মানুষের ধারণা, নদীয়া থেকে সে পীরের কোনো মুরিদ খোকসার হিজলাবটে এই লাল তেঁতুলগাছের চারা এনে লাগান।
হিজলাবটে অলৌকিক লাল তেঁতুল নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, গাছটির বয়স ৩০০ বছর কিংবা তারও বেশি। তাঁদের ধারণা, বাংলাদেশের প্রাচীন তেঁতুলগাছ এগুলো। বটগাছের মতো বিশালাকার একেকটি তেঁতুলগাছ। আকারে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট ব্যাসার্ধ ও উচ্চতায় প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ ফুট। রঙের ভিন্নতার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ময়কর এই লাল তেঁতুল দেখতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ।
লাল তেঁতুলের কথা শুনেছেন কি? পাকলে তেঁতুলের রং হয় হালকা খয়েরি। কিন্তু হিজলাবট গ্রামের মানুষ বুক ফুলিয়ে বলবে, ‘তেঁতুলের রং লালও হয়। আসুন আমাদের গ্রামে। দেখিয়ে দেব।’ ঠিকই পড়েছেন। হিজলাবট গ্রামটিই এ দেশের একমাত্র গ্রাম, যেখানে কালের সাক্ষী হয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে তিনটি তেঁতুলগাছ এবং সেগুলোতে লাল রঙের তেঁতুল ধরে থোকায় থোকায়। তেঁতুলের রং লাল সেটা নিশ্চিত হলেও গ্রামটির বয়স কত? সেটা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের বয়স তাঁদের কল্পনার শেষ সীমানায় নিয়ে যেতে চান। এর কারণও আছে।
খোকসা উপজেলা সদর থেকে গড়াই নদ পেরোলেই হিজলাবট গ্রাম। ‘হিজলাবট’ নামটি শুনলে বা পড়লেই মনে হবে, চিনি উহারে। কেন চিনি? তার অনেক গল্প আছে। সেসব গল্পে যাওয়ার আগে এ গ্রামের পথে পথে একটু হেঁটে ঘুরেফিরে আসা যাক।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার হিজলাবট গ্রামটি আর দশটি গ্রামের মতো নয়। গড়ন এক হলেও গালগল্পে আর ইতিহাসে কিছুটা অন্য রকম তো বটেই। ইট বিছানো আঁকাবাঁকা রাস্তার দুই পাশে গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তো ছড়িয়ে আছেই। এর পথে পথে ছড়িয়ে আছে গল্প। সে গল্পের গরু কখনো গাছে ওঠে তো কখনো জলে ডোবে। গল্পের সেসব গরু খোঁজার আগে গ্রামটিকে চিনে নেওয়া যাক। গড়াই নদের তীরে ৪টি পাড়া নিয়ে গঠিত হিজলাবট নামের এই গ্রাম। এই পাড়াগুলো হলো দাশপাড়া, মধ্যপাড়া, পুকুরপাড়া ও ব্রিক ফিল্ড। গ্রামে ১২৭ পরিবারে প্রায় ৮৫৫ জন মানুষ বসবাস করে। গড়াই নদসহ গ্রামটির আয়তন আড়াই বর্গকিলোমিটার। তবে নদ বাদে দেড় বর্গকিলোমিটার। অব্যাহত নদভাঙনের ফলে গ্রামটির ঘরবাড়ি ও অধিকাংশ ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে।
গ্রামটির আছে অতীত ইতিহাস। গ্রামের মধ্যে আছে প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি সময়ের ইংরেজদের আমলে নির্মিত নীল কুঠি। কথিত আছে, ইংরেজ আমলে এখান থেকে কুমারখালী ও খোকসা অঞ্চলের নীল চাষ পরিচালনা করা হতো। দুইতলা এই ভবনটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এই ভবনটির পাশে রয়েছে পাশাপাশি ৩টি তেঁতুলগাছ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই তেঁতুলের বীজ থেকে চারা হয় না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার রানাঘাট এলাকায় এক পীরের মাজারে এমনই একটি গাছ আছে বলে জানা যায়। শোনা যায়, সেটির বয়স ৫০০ বছরেরও বেশি। হিজলাবট গ্রামের স্থানীয় মানুষের ধারণা, নদীয়া থেকে সে পীরের কোনো মুরিদ খোকসার হিজলাবটে এই লাল তেঁতুলগাছের চারা এনে লাগান।
হিজলাবটে অলৌকিক লাল তেঁতুল নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, গাছটির বয়স ৩০০ বছর কিংবা তারও বেশি। তাঁদের ধারণা, বাংলাদেশের প্রাচীন তেঁতুলগাছ এগুলো। বটগাছের মতো বিশালাকার একেকটি তেঁতুলগাছ। আকারে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট ব্যাসার্ধ ও উচ্চতায় প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ ফুট। রঙের ভিন্নতার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্ময়কর এই লাল তেঁতুল দেখতে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪