আজিজুল হক, বেনাপোল (যশোর)
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর একের পর এক হরতাল, অবরোধের কারণে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহনে ট্রাকসংকট সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে প্রতিদিন ৪৫০ ট্রাক ভারতীয় আমদানি পণ্য খালাস হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে।
অতিরিক্ত ভাড়া বেড়েছে ট্রাকপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে ব্যাহত হচ্ছে দেশের অন্যতম এই বন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত রোববার ও গতকাল সোমবার এই দুই দিনের বিএনপির হরতালের কারণে বন্দরে আমদানী পণ্যবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বন্দরে আমাদানী পণ্যবাহী ভারতীয় অন্তত সাত শ ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় ছিল।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধীদের এক দিনের হরতাল পালিত হয়। এরপর থেকে পাঁচ দফায় মোট ১০ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। সর্বশেষ আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে গত রবি ও গতকাল সোমবার দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হয়।
বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাকসংকট দেখা দেয়। তবে হরতাল-অবরোধের বাইরের দিনগুলোতে পণ্য পরিবহন অনেকটা স্বাভাবিক থাকে।
আমদানিকারক ও পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে রেল ও সড়কপথে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় ভারত থেকে। এসব পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশ শিল্পকারখানার যন্ত্রাংশ, উৎপাদনসামগ্রীর কাঁচামাল, রাসায়নিক পদার্থ, অক্সিজেন ও খাদ্যপণ্য রয়েছে।
বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক আছে। বেনাপোল বন্দরে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক ঘটনায় চাহিদামতো ট্রাক বন্দরে আসছে না। এতে পণ্য খালাসের পরিমাণ কমেছে। স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে প্রায় ৪৫০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়। হরতাল ও অবরোধের দিনগুলোতে ট্রাকসংকটের কারণে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন হচ্ছে।’
আমদানিকারক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের সময় বেশি ভাড়া দিয়েও ট্রাক না মেলে না। বেনাপোল থেকে ঢাকায় এক ট্রাক পণ্য সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার এবং বেনাপোল থেকে চট্টগ্রামে পণ্য নিতে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, ‘কাস্টমসের কাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে হরতালে বন্দরে ট্রাকসংকট সৃষ্টি হয়। এতে জরুরি আমদানি পণ্য সব গন্তব্যে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) সজিব নাজির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত রোববার ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৬৮ ট্রাক পণ্য। রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৫৬ ট্রাক পণ্য। ভারত থেকে পচনশীল খাদ্যপণ্য এসেছে ২৬ ট্রাক। খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে প্রায় ৭০০ ভারতীয় ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে।’
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর একের পর এক হরতাল, অবরোধের কারণে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহনে ট্রাকসংকট সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে প্রতিদিন ৪৫০ ট্রাক ভারতীয় আমদানি পণ্য খালাস হলেও এখন তা কমে অর্ধেকে নেমেছে।
অতিরিক্ত ভাড়া বেড়েছে ট্রাকপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে ব্যাহত হচ্ছে দেশের অন্যতম এই বন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গত রোববার ও গতকাল সোমবার এই দুই দিনের বিএনপির হরতালের কারণে বন্দরে আমদানী পণ্যবাহী ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বন্দরে আমাদানী পণ্যবাহী ভারতীয় অন্তত সাত শ ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় ছিল।
গত ২৯ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধীদের এক দিনের হরতাল পালিত হয়। এরপর থেকে পাঁচ দফায় মোট ১০ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। সর্বশেষ আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে গত রবি ও গতকাল সোমবার দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হয়।
বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। ফলে দেশের অভ্যন্তরে বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাকসংকট দেখা দেয়। তবে হরতাল-অবরোধের বাইরের দিনগুলোতে পণ্য পরিবহন অনেকটা স্বাভাবিক থাকে।
আমদানিকারক ও পরিবহন ব্যবসায়ীরা জানান, বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করে রেল ও সড়কপথে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় ভারত থেকে। এসব পণ্যের মধ্যে বড় একটি অংশ শিল্পকারখানার যন্ত্রাংশ, উৎপাদনসামগ্রীর কাঁচামাল, রাসায়নিক পদার্থ, অক্সিজেন ও খাদ্যপণ্য রয়েছে।
বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ‘ভারত থেকে পণ্য আমদানি স্বাভাবিক আছে। বেনাপোল বন্দরে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক ঘটনায় চাহিদামতো ট্রাক বন্দরে আসছে না। এতে পণ্য খালাসের পরিমাণ কমেছে। স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে প্রায় ৪৫০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়। হরতাল ও অবরোধের দিনগুলোতে ট্রাকসংকটের কারণে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পণ্য দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন হচ্ছে।’
আমদানিকারক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধের সময় বেশি ভাড়া দিয়েও ট্রাক না মেলে না। বেনাপোল থেকে ঢাকায় এক ট্রাক পণ্য সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত ৫ হাজার এবং বেনাপোল থেকে চট্টগ্রামে পণ্য নিতে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক আবদুল লতিফ বলেন, ‘কাস্টমসের কাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে হরতালে বন্দরে ট্রাকসংকট সৃষ্টি হয়। এতে জরুরি আমদানি পণ্য সব গন্তব্যে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) সজিব নাজির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরতাল ও অবরোধে বেনাপোল বন্দরের বাণিজ্যে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গত রোববার ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩৬৮ ট্রাক পণ্য। রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৫৬ ট্রাক পণ্য। ভারত থেকে পচনশীল খাদ্যপণ্য এসেছে ২৬ ট্রাক। খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে প্রায় ৭০০ ভারতীয় ট্রাক অপেক্ষায় রয়েছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪