Ajker Patrika

আর তিন ফুট ভাঙলেই বন্ধ হবে চলাচল

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ জুন ২০২২, ১৫: ৩৭
আর তিন ফুট ভাঙলেই বন্ধ হবে চলাচল

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় ৩ দিনের টানা বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়ক। আর মাত্র ৩ ফুট ভাঙলেই বন্ধ হবে চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েছে কচাকাটা ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ।

এদিকে সড়কধসে যাওয়ায় ওই স্থানে থাকা বিদ্যুতের একটি খুঁটিও উপড়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে একটি গ্রামের ৬০টি বাড়িতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কচাকাটা কলেজ থেকে কচাকাটা ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ব্যাপারীটারী এলাকায় ধসে গেছে। প্রায় ৩০ ফুট সড়ক বৃষ্টির কারণে ধসে গেছে। আর ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটির মাত্র ৩ ফুট সড়ক রক্ষা পেয়েছে। এতে এই সড়কপথে রিকশা, ইজিবাইক, ট্রলি, ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বাধ্য হয়ে মানুষ হেঁটে চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কের পাশ ঘেঁষে ব্যাপারীটারী ছোট ছড়ার স্রোত প্রবহমান। গত শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে স্রোতের বেগ বেড়ে যায়। এতে পানি ওই স্থান দিয়ে নামায় সড়কটি ধসে যেতে থাকে। সোমবার পর্যন্ত সড়কটি একটু একটু করে ধসে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

কচাকাটা কলেজের প্রভাষক হানিফ উদ্দিন বলেন, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় নিচের মাটি সরে গেছে। এখন ভারী বৃষ্টির কারণে এই স্থানটি একেবারে ধসে গেছে। সড়কটি কচাকাটা ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র পথ এবং উপজেলার সঙ্গে একমাত্র সংযোগকারী সড়ক হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ইউনিয়নবাসী।

ব্যাপারীটারী এলাকার বাসিন্দা মনসুর রহমান ও লিয়াকত আলী জানান, সড়কের সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাঁরা তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

কচাকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস জানিয়েছে, খুঁটিটি পড়ে যাওয়ায় দুটি ট্রান্সফরমার বন্ধ রয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ জানায়, কচাকাটা ইউনিয়নের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কটি ৫ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪৫০ কিলোমিটার পাকাকরণ করা হয়। পাকা অংশ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পুনরায় মেরামত করা হয়।

ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সড়কটি সম্পূর্ণ ধসে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে বাঁশের বেড়া দিয়ে আবর্জনা ও মাটি ফেলে স্রোত আটকানোর চেষ্টা চলছে।

নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াসিম আতাহার বলেন, ‘সড়কধসে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। সরেজমিন দেখে ওখানে কী ব্যবস্থা নিলে ভালো হয়, সেটা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বনশ্রীতে স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার আমিনুল ছাত্রলীগের, সুমন শ্রমিক দলের নেতা

সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন

ককটেল ফুটতেই সেলুনে লুকায় পুলিশ, রণক্ষেত্র হয় এলাকা

মসজিদে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তাঁর ভাই, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল প্রতিপক্ষ

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আবারও যা বললেন ভারতের সেনাপ্রধান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত