সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে যে গ্রামীণ সড়কব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বইয়ে পড়া সেই গ্রাম্য মেঠোপথ আর সেভাবে দেখা যায় না। শহর থেকে যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন সহজে যাওয়া যায়। কারণ দেশের অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পরিণত হয়েছে ‘পাকা সড়কে’। এত উন্নয়নের পরেও মাঝেমধ্যে কিছু সংবাদ আমাদের ধন্দে ফেলে দেয়। ঘটনাগুলো মেনে নেওয়ার মতো নয়। আবার মেনে না নিয়েও কোনো উপায় থাকে না। যেমন সেতু আছে, কিন্তু তার দুই পাশের সংযোগ সড়ক নেই। আবার সড়ক আছে, কিন্তু সেতু নেই। তখন মনে হয় এত উন্নয়ন তাহলে হলো কোথায়? এ রকম বাস্তবতায় বলতে বাধ্য হতে হয়—অদ্ভুত এ দেশের অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা।
এ দেশে কয়েক সেকেন্ডে বা মিনিটে ইন্টারনেটের সুবাদে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, কিন্তু সড়ক থাকার পরেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যায় না। সড়কে চলাচল করতে ভোগান্তির শেষ নেই। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের তিন কিলোমিটার সড়কটি যেন আমাদের এ রকমই বার্তা দিচ্ছে। কারণ, এখানকার করজোনা বাজার থেকে নয়াচর ভায়া হিজুলিয়া খালপাড় পর্যন্ত সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই পুরোটা পানি-কাদায় একাকার হয়ে যায়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আরও অবাক করা বিষয়, ওই তিন কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করার জন্য ১১ বছর আগে ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছিল। সেই ভিত্তিপ্রস্তর করেন তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য। কাজটি ভিত্তিপ্রস্তরেই আটকে আছে, একচুল পরিমাণ এগোয়নি। এটা কীভাবে সম্ভব যে ১১ বছর পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি! আর গ্রামবাসীর দুঃখ-কষ্টেরও লাঘব হয়নি। এই সড়ক দিয়ে ১৬ গ্রামের লোকজনসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। আর সড়কটির কাজ হওয়ার কথা ছিল জেলা পরিষদের মাধ্যমে এবং তা বাস্তবায়ন করার কথা ছিল এলজিইডির।
সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর হলে, সেটার জন্য তো আগে প্রকল্প বরাদ্দ হওয়ার কথা। সেই প্রকল্পের টাকা কোথায় গেল? কারাইবা সেই বরাদ্দের টাকা নয়ছয় করেছে? নাকি প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ না করেই ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে? এই প্রশ্নগুলো উত্থাপন না করে কোনোভাবে আসল ঘটনাটি জানা যাবে না যে কেন ১১ বছর পরেও সড়কটির কাজ হলো না।জবাবদিহি করার তালিকায় পড়েন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও এলজিইডির কর্তাব্যক্তিরা। একই সঙ্গে এসব দেখভালের দায়িত্ব তো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের ওপরও বর্তায়। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে অনেক সময় সরকারি বাজেট যে জলে যায়, এ ঘটনা তার বড় প্রমাণ।
সরকারি উদ্যোগে দেশে যে উন্নয়নের জন্য কাজ হচ্ছে, সেটা মিথ্যা নয়। কিন্তু সেই কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সেটা কে দেখবে? কারও কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা না থাকলে এ রকম ঘটনা অবশ্য ঘটারই কথা।
আমাদের দেশে যে গ্রামীণ সড়কব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বইয়ে পড়া সেই গ্রাম্য মেঠোপথ আর সেভাবে দেখা যায় না। শহর থেকে যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন সহজে যাওয়া যায়। কারণ দেশের অধিকাংশ এলাকার গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পরিণত হয়েছে ‘পাকা সড়কে’। এত উন্নয়নের পরেও মাঝেমধ্যে কিছু সংবাদ আমাদের ধন্দে ফেলে দেয়। ঘটনাগুলো মেনে নেওয়ার মতো নয়। আবার মেনে না নিয়েও কোনো উপায় থাকে না। যেমন সেতু আছে, কিন্তু তার দুই পাশের সংযোগ সড়ক নেই। আবার সড়ক আছে, কিন্তু সেতু নেই। তখন মনে হয় এত উন্নয়ন তাহলে হলো কোথায়? এ রকম বাস্তবতায় বলতে বাধ্য হতে হয়—অদ্ভুত এ দেশের অদ্ভুত সব কাণ্ডকারখানা।
এ দেশে কয়েক সেকেন্ডে বা মিনিটে ইন্টারনেটের সুবাদে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, কিন্তু সড়ক থাকার পরেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যায় না। সড়কে চলাচল করতে ভোগান্তির শেষ নেই। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের তিন কিলোমিটার সড়কটি যেন আমাদের এ রকমই বার্তা দিচ্ছে। কারণ, এখানকার করজোনা বাজার থেকে নয়াচর ভায়া হিজুলিয়া খালপাড় পর্যন্ত সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই পুরোটা পানি-কাদায় একাকার হয়ে যায়। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আরও অবাক করা বিষয়, ওই তিন কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করার জন্য ১১ বছর আগে ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছিল। সেই ভিত্তিপ্রস্তর করেন তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য। কাজটি ভিত্তিপ্রস্তরেই আটকে আছে, একচুল পরিমাণ এগোয়নি। এটা কীভাবে সম্ভব যে ১১ বছর পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি! আর গ্রামবাসীর দুঃখ-কষ্টেরও লাঘব হয়নি। এই সড়ক দিয়ে ১৬ গ্রামের লোকজনসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। আর সড়কটির কাজ হওয়ার কথা ছিল জেলা পরিষদের মাধ্যমে এবং তা বাস্তবায়ন করার কথা ছিল এলজিইডির।
সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর হলে, সেটার জন্য তো আগে প্রকল্প বরাদ্দ হওয়ার কথা। সেই প্রকল্পের টাকা কোথায় গেল? কারাইবা সেই বরাদ্দের টাকা নয়ছয় করেছে? নাকি প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ না করেই ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে? এই প্রশ্নগুলো উত্থাপন না করে কোনোভাবে আসল ঘটনাটি জানা যাবে না যে কেন ১১ বছর পরেও সড়কটির কাজ হলো না।জবাবদিহি করার তালিকায় পড়েন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও এলজিইডির কর্তাব্যক্তিরা। একই সঙ্গে এসব দেখভালের দায়িত্ব তো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের ওপরও বর্তায়। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে অনেক সময় সরকারি বাজেট যে জলে যায়, এ ঘটনা তার বড় প্রমাণ।
সরকারি উদ্যোগে দেশে যে উন্নয়নের জন্য কাজ হচ্ছে, সেটা মিথ্যা নয়। কিন্তু সেই কাজগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, সেটা কে দেখবে? কারও কাছে জবাবদিহির ব্যবস্থা না থাকলে এ রকম ঘটনা অবশ্য ঘটারই কথা।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫