অর্চি হক, ঢাকা
ঘিঞ্জি পরিবেশে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সারি সারি ঘরবাড়ি। তার মাঝেই ছোট্ট পরিপাটি একটি পাঠাগার। নাম ‘শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগার’। রাজধানীর কড়াইল বস্তির এই পাঠাগারে প্রতি শুক্র ও শনিবার জড়ো হয় শিশু, কিশোর, কিশোরী আর নারীরা। কেউ আঁকে ছবি, কেউ লেখে গল্প, কেউবা চিঠি। চলে আড্ডা, গল্প বলা, আবৃত্তি আর গানের আসর। তবে যে যা-ই করুক না কেন, সবার কাজের মধ্যে থাকে একটি আকুতি, একটি চাওয়া, একটি স্বপ্ন। এই পুরো আয়োজনের নেপথ্যে যিনি কাজ করছেন, তিনি হলেন সাদিয়া শারমিন। ২০১৬ সাল থেকে কড়াইল বস্তিতে সহযোগিতামূলক গবেষণার কাজ করছেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক শেষে জার্মানির হ্যাবিট্যাট ফোরাম বার্লিনের গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে শিক্ষকতা করছেন সাদিয়া শারমিন। স্থাপত্যের শিক্ষার্থী হলেও কখনোই প্রথাগত স্থপতি হওয়ার পথে হাঁটেননি তিনি। আজকের পত্রিকাকে সাদিয়া বলেন, ‘প্রথাগত স্থাপত্য অনুশীলনের বাইরে গিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবতে চাইছি। আমরা ইন্টারডিসিপ্লিনারি প্র্যাকটিস গড়ে তুলতে চাই, যেন আমরা যে কাজটা করব, সেখানে স্থপতি ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা থাকে।’
এই আগ্রহের জায়গা থেকে ‘ঢাকা মেমোরি’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন সাদিয়া শারমিন। এই সংগঠনের মাধ্যমে শহরকে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশার কথা তুলে আনতে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মশালা পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সদস্যদের নিয়ে পাঠ কর্মশালা। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের শহরে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের প্রতিদিনের ভোগান্তি নিয়ে ‘প্রতিদিনের গল্প’ নামের একটি বই লিখেছেন সাদিয়া শারমিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের গল্প বইটিকে আমরা একটি ক্রিয়েটিভ অ্যাডভোকেসি টুল হিসেবে ব্যবহার করছি। বইটিতে আমরা সরাইলে বাস করা নারীদের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। রাস্তাঘাটে নারীদের হয়রানি, ছেলেমেয়ের পার্থক্য, যোগ্যতা প্রকাশে বাধা—এমন অনেক ঘটনা প্রতিদিন মেয়েদের জীবনে ঘটে। আসলে শুধু সরাইল বা ঢাকা নয়, আমাদের দেশের প্রতিটি শহরেরই চিত্র এটা। আমরা স্বপ্ন দেখি এই চিত্রটা বদলে দেওয়ার। এমন শহর আমরা গড়তে চাই, যেটা হবে সবার।’
শহর এলাকার বাইরে গিয়ে গ্রামাঞ্চলেও কর্মশালা পরিচালনা করছেন সাদিয়া শারমিন। কিশোরগঞ্জে পরিচালিত হচ্ছে তাঁদের ‘লাইট হাউস’ প্রকল্প। এর লক্ষ্য নারীর প্রতি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়া।
সাদিয়া শারমিন জানিয়েছেন, একজন স্থপতি হয়ে নিজের ধারণা চাপিয়ে না দিয়ে তিনি চেষ্টা করছেন বসবাসের এলাকা ঘিরে সবার প্রত্যাশার কথাগুলো তুলে আনতে। তাঁর প্রজেক্টে কেউ বলেছেন, তিনি তাঁর শহরে স্বাধীনভাবে ঘুরতে চান, কেউ বলেছেন তিনি মানসম্মত বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট চান, কেউ বলেছেন তিনি সবুজে ঘেরা শহর চান। এই কথাগুলোকেই সাদিয়া শারমিন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে চান। সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘আমরা জানি, এর কোনোটাই রাতারাতি হয়ে যাবে না। এর জন্য সময় দরকার। একটু একটু করে আমাদের শহরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যেকের স্বপ্নগুলো পূরণ হবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস।’
ঘিঞ্জি পরিবেশে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সারি সারি ঘরবাড়ি। তার মাঝেই ছোট্ট পরিপাটি একটি পাঠাগার। নাম ‘শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগার’। রাজধানীর কড়াইল বস্তির এই পাঠাগারে প্রতি শুক্র ও শনিবার জড়ো হয় শিশু, কিশোর, কিশোরী আর নারীরা। কেউ আঁকে ছবি, কেউ লেখে গল্প, কেউবা চিঠি। চলে আড্ডা, গল্প বলা, আবৃত্তি আর গানের আসর। তবে যে যা-ই করুক না কেন, সবার কাজের মধ্যে থাকে একটি আকুতি, একটি চাওয়া, একটি স্বপ্ন। এই পুরো আয়োজনের নেপথ্যে যিনি কাজ করছেন, তিনি হলেন সাদিয়া শারমিন। ২০১৬ সাল থেকে কড়াইল বস্তিতে সহযোগিতামূলক গবেষণার কাজ করছেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক শেষে জার্মানির হ্যাবিট্যাট ফোরাম বার্লিনের গবেষক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে শিক্ষকতা করছেন সাদিয়া শারমিন। স্থাপত্যের শিক্ষার্থী হলেও কখনোই প্রথাগত স্থপতি হওয়ার পথে হাঁটেননি তিনি। আজকের পত্রিকাকে সাদিয়া বলেন, ‘প্রথাগত স্থাপত্য অনুশীলনের বাইরে গিয়ে আমরা নতুনভাবে ভাবতে চাইছি। আমরা ইন্টারডিসিপ্লিনারি প্র্যাকটিস গড়ে তুলতে চাই, যেন আমরা যে কাজটা করব, সেখানে স্থপতি ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সম্পৃক্ততা থাকে।’
এই আগ্রহের জায়গা থেকে ‘ঢাকা মেমোরি’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন সাদিয়া শারমিন। এই সংগঠনের মাধ্যমে শহরকে ঘিরে মানুষের প্রত্যাশার কথা তুলে আনতে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মশালা পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ রুমি স্মৃতি পাঠাগারের সদস্যদের নিয়ে পাঠ কর্মশালা। এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের শহরে লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের প্রতিদিনের ভোগান্তি নিয়ে ‘প্রতিদিনের গল্প’ নামের একটি বই লিখেছেন সাদিয়া শারমিন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের গল্প বইটিকে আমরা একটি ক্রিয়েটিভ অ্যাডভোকেসি টুল হিসেবে ব্যবহার করছি। বইটিতে আমরা সরাইলে বাস করা নারীদের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। রাস্তাঘাটে নারীদের হয়রানি, ছেলেমেয়ের পার্থক্য, যোগ্যতা প্রকাশে বাধা—এমন অনেক ঘটনা প্রতিদিন মেয়েদের জীবনে ঘটে। আসলে শুধু সরাইল বা ঢাকা নয়, আমাদের দেশের প্রতিটি শহরেরই চিত্র এটা। আমরা স্বপ্ন দেখি এই চিত্রটা বদলে দেওয়ার। এমন শহর আমরা গড়তে চাই, যেটা হবে সবার।’
শহর এলাকার বাইরে গিয়ে গ্রামাঞ্চলেও কর্মশালা পরিচালনা করছেন সাদিয়া শারমিন। কিশোরগঞ্জে পরিচালিত হচ্ছে তাঁদের ‘লাইট হাউস’ প্রকল্প। এর লক্ষ্য নারীর প্রতি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়া।
সাদিয়া শারমিন জানিয়েছেন, একজন স্থপতি হয়ে নিজের ধারণা চাপিয়ে না দিয়ে তিনি চেষ্টা করছেন বসবাসের এলাকা ঘিরে সবার প্রত্যাশার কথাগুলো তুলে আনতে। তাঁর প্রজেক্টে কেউ বলেছেন, তিনি তাঁর শহরে স্বাধীনভাবে ঘুরতে চান, কেউ বলেছেন তিনি মানসম্মত বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট চান, কেউ বলেছেন তিনি সবুজে ঘেরা শহর চান। এই কথাগুলোকেই সাদিয়া শারমিন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দিতে চান। সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘আমরা জানি, এর কোনোটাই রাতারাতি হয়ে যাবে না। এর জন্য সময় দরকার। একটু একটু করে আমাদের শহরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যেকের স্বপ্নগুলো পূরণ হবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫