ফয়সাল হাসান, ঢাকা
বিগত কয়েক দশক ধরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানীরা যেসব সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আসছেন, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতেই তা সামনে আসছে কঠিন বাস্তবতা হয়ে। আবহাওয়ার চিরাচরিত ধরন ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে অচেনা।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের যে ভয়াল রূপ আরও শত বছর পর আমাদের প্রত্যক্ষ করার কথা ছিল, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে আগেভাগেই। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে মানবজাতি যে অনিবার্য এক পরিণতির দিকেই যাচ্ছে, চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়েছে চলতি বছরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস, দাবানল, ভূমিকম্প, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এ-সংক্রান্ত নতুন এক প্রতিবেদন বলছে, বিরূপ আবহাওয়ার ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গেই যুক্ত, ২০২১ সালে যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্দশা বয়ে এনেছে। দাতব্য সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের এক গবেষণায় চরম বিরূপ আবহাওয়ার ১০টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতে প্রাণহানির পাশাপাশি দেড় বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রভাব ফেলে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানা হারিকেন ‘ইদা’। এ ছাড়া বড় প্রভাব ফেলছিল ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা।
২০২১ সালে বন্যা ও ঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন বিশ্বের অনেক দরিদ্র অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। চরম আবহাওয়ার প্রতিটি ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডও জলবায়ুর স্বাভাবিকতা বদলে দিয়েছে অল্প সময়ে। ফলে দুর্যোগের প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণগুলোর সংযোগ খুঁজে বের করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের জন্য।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু গবেষক ড. ফ্রেডেরিক অটো বলেছিলেন, এই বছর পৃথিবীতে যতগুলো তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে এবং সম্ভাব্য যত তাপপ্রবাহ দেখা দেবে, এর প্রতিটির পেছনেই মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন বা টাইফুনের মাত্রাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
গত আগস্টে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজেদের ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের প্রথম অংশ প্রকাশ করে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তসরকার প্যানেল (আইপিসিসি)। এতে বলা হয়, সংস্থাটি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে হারিকেন এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর পেছনে মানবসৃষ্ট নানা কারণই মুখ্য প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।
আইপিসিসির গবেষণায় উঠে আসে, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের অনুপাত, এর বাতাসের গতিবেগ এবং সবচেয়ে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাবে। আর এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘ইদা’। ক্রিশ্চিয়ান এইডের মতে, ৯৫ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি এটি ছিল আর্থিকভাবে বছরের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
আর্থিকভাবে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধ্বংসাত্মক দুর্যোগ ছিল গত জুলাইয়ে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশজুড়ে সৃষ্টি হওয়া বন্যা। ভয়াবহ এই বন্যায় ওই অঞ্চলজুড়ে প্রাণ হারান কমপক্ষে আড়াই শ মানুষ, আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বছরজুড়ে বেশির ভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে উন্নত দেশগুলোতেই।
তবে বছরের শেষ দিকে এসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনকে লন্ডভন্ড করে দেয় সুপার টাইফুন ‘রাই’। ১৬ ডিসেম্বর আঘাত হানা এই টাইফুনে মারা গেছেন অন্তত ৩৭৫ জন, আহত হয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক। এ ছাড়া বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন হাজারো মানুষ।
ক্রিশ্চিয়ান এইডের গবেষক ড. ক্যাট ক্রেমারের মতে, ‘নিজের ঘরবাড়ি, জীবিকাসহ সবকিছু হারানোর পর তা আবারও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া স্পষ্টতই খুব কঠিন। উন্নত দেশগুলোতে অন্তত বিমার সুবিধা থাকে, যা খারাপ সময়ে কিছুটা হলেও সহায়ক। তবে উন্নয়নশীল, অনুন্নত দেশগুলোতে সেই সুবিধা বলতে গেলে নেই।’
সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় ভবিষ্যতে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব কমাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন রোধে প্রচেষ্টা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক আশ্বাসের পরিবর্তে জলবায়ু কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অর্থ বিনিয়োগের। বিশেষ করে সেই সব দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাদের জলবায়ু পরিবর্তনে দায় কম হলেও অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি।
বাংলাদেশে ক্রিশ্চিয়ান এইডের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা নুশরাত চৌধুরীর মতে, ‘এবারের কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি প্রধান ইস্যুতে পরিণত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা স্থায়ী ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তাদের সাহায্য করার জন্য তহবিল গঠন না করা বা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়েই সম্মেলন শেষ হয়ে যাওয়াটা খুবই হতাশাজনক।’
এর আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা, কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ বা অর্থায়নের মতো ইস্যুতে ইতিবাচক সমাধান আসার প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে। তবে গত মাসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলন শেষে প্রকট হয়েছে কেবল হতাশার চিত্রই।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, ইউএন নিউজ
বিগত কয়েক দশক ধরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিজ্ঞানীরা যেসব সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আসছেন, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতেই তা সামনে আসছে কঠিন বাস্তবতা হয়ে। আবহাওয়ার চিরাচরিত ধরন ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে অচেনা।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী, প্রাকৃতিক দুর্যোগের যে ভয়াল রূপ আরও শত বছর পর আমাদের প্রত্যক্ষ করার কথা ছিল, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে আগেভাগেই। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে মানবজাতি যে অনিবার্য এক পরিণতির দিকেই যাচ্ছে, চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়েছে চলতি বছরের অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস, দাবানল, ভূমিকম্প, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এ-সংক্রান্ত নতুন এক প্রতিবেদন বলছে, বিরূপ আবহাওয়ার ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গেই যুক্ত, ২০২১ সালে যা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জন্য দুর্দশা বয়ে এনেছে। দাতব্য সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান এইডের এক গবেষণায় চরম বিরূপ আবহাওয়ার ১০টি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতে প্রাণহানির পাশাপাশি দেড় বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রভাব ফেলে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানা হারিকেন ‘ইদা’। এ ছাড়া বড় প্রভাব ফেলছিল ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা।
২০২১ সালে বন্যা ও ঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েন বিশ্বের অনেক দরিদ্র অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। চরম আবহাওয়ার প্রতিটি ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। মানুষের নানা কর্মকাণ্ডও জলবায়ুর স্বাভাবিকতা বদলে দিয়েছে অল্প সময়ে। ফলে দুর্যোগের প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট কারণগুলোর সংযোগ খুঁজে বের করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞানীদের জন্য।
চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু গবেষক ড. ফ্রেডেরিক অটো বলেছিলেন, এই বছর পৃথিবীতে যতগুলো তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে এবং সম্ভাব্য যত তাপপ্রবাহ দেখা দেবে, এর প্রতিটির পেছনেই মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রয়েছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন বা টাইফুনের মাত্রাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
গত আগস্টে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজেদের ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের প্রথম অংশ প্রকাশ করে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তসরকার প্যানেল (আইপিসিসি)। এতে বলা হয়, সংস্থাটি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে হারিকেন এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর পেছনে মানবসৃষ্ট নানা কারণই মুখ্য প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।
আইপিসিসির গবেষণায় উঠে আসে, ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের অনুপাত, এর বাতাসের গতিবেগ এবং সবচেয়ে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ বাতাসের গতি বৃদ্ধি পাবে। আর এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ‘ইদা’। ক্রিশ্চিয়ান এইডের মতে, ৯৫ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি এটি ছিল আর্থিকভাবে বছরের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাবে ৬৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
আর্থিকভাবে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধ্বংসাত্মক দুর্যোগ ছিল গত জুলাইয়ে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশজুড়ে সৃষ্টি হওয়া বন্যা। ভয়াবহ এই বন্যায় ওই অঞ্চলজুড়ে প্রাণ হারান কমপক্ষে আড়াই শ মানুষ, আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বছরজুড়ে বেশির ভাগ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে উন্নত দেশগুলোতেই।
তবে বছরের শেষ দিকে এসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনকে লন্ডভন্ড করে দেয় সুপার টাইফুন ‘রাই’। ১৬ ডিসেম্বর আঘাত হানা এই টাইফুনে মারা গেছেন অন্তত ৩৭৫ জন, আহত হয়েছে আরও পাঁচ শতাধিক। এ ছাড়া বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন হাজারো মানুষ।
ক্রিশ্চিয়ান এইডের গবেষক ড. ক্যাট ক্রেমারের মতে, ‘নিজের ঘরবাড়ি, জীবিকাসহ সবকিছু হারানোর পর তা আবারও আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া স্পষ্টতই খুব কঠিন। উন্নত দেশগুলোতে অন্তত বিমার সুবিধা থাকে, যা খারাপ সময়ে কিছুটা হলেও সহায়ক। তবে উন্নয়নশীল, অনুন্নত দেশগুলোতে সেই সুবিধা বলতে গেলে নেই।’
সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় ভবিষ্যতে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব কমাতে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন রোধে প্রচেষ্টা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে ক্রিশ্চিয়ান এইডের প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে মৌখিক আশ্বাসের পরিবর্তে জলবায়ু কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অর্থ বিনিয়োগের। বিশেষ করে সেই সব দরিদ্র দেশগুলোকে সাহায্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাদের জলবায়ু পরিবর্তনে দায় কম হলেও অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি।
বাংলাদেশে ক্রিশ্চিয়ান এইডের জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা নুশরাত চৌধুরীর মতে, ‘এবারের কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি প্রধান ইস্যুতে পরিণত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা স্থায়ী ক্ষতির শিকার হচ্ছে, তাদের সাহায্য করার জন্য তহবিল গঠন না করা বা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়েই সম্মেলন শেষ হয়ে যাওয়াটা খুবই হতাশাজনক।’
এর আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা, কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ বা অর্থায়নের মতো ইস্যুতে ইতিবাচক সমাধান আসার প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনকে ঘিরে। তবে গত মাসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই সম্মেলন শেষে প্রকট হয়েছে কেবল হতাশার চিত্রই।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, ইউএন নিউজ
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪