Ajker Patrika

চরমোনাই পীরের দলের মহাসমাবেশ আজ

বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ১৮: ৫৮
চরমোনাই পীরের দলের মহাসমাবেশ আজ

চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানের শহীদ মতিউর রহমান পার্কে মহাসমাবেশ করবে। সমাবেশ সফল করতে বরিশাল বিভাগ থেকে বিপুল নেতা-কর্মী লঞ্চ, বাসে রাজধানীতে পৌঁছেছে। দলটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে মহাসমাবেশে কঠোর বার্তা দেবেন চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালের পর জাতীয় পর্যায়ে বড় কর্মসূচি করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলটির সূতিকাগার বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে। এ অঞ্চলে দলটি সাংগঠনিকভাবেও যথেষ্ট শক্তিশালী। বরিশাল থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী শুক্রবার ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিচ্ছেন।

দলটির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই ঢাকা রওনা হওয়ার জন্য মহানগর কমিটি দুটি এবং জেলা কমিটি পাঁচটি লঞ্চ রিজার্ভ করেছিলেন। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া নেতা-কর্মীরা ১০টি বাসে ঢাকায় যাবেন। এ ছাড়া পটুয়াখালী, ভোলা ও ঝালকাঠী থেকেও একটি করে লঞ্চ রিজার্ভ করা হয়েছে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার জন্য। বরিশাল নৌবন্দরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুরভী লঞ্চে যাচ্ছেন কর্মীরা।

মহাসমাবেশে নির্দিষ্ট পাঁচটি দাবি উল্লেখ করতে যাচ্ছে চরমোনাই পীরের দল। দলের একাধিক নেতা জানান, তাঁরা তিনটি দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে মহাসমাবেশে সরকারকে আলটিমেটাম দেবেন। আলটিমেটাম শেষে দাবি মেনে নিতে দলটির পক্ষ থেকে আন্দোলন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।

দলটির সূত্রে জানা গেছে মহাসমাবেশের প্রধান তিনটি দাবি হচ্ছে—নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন বন্ধ এবং ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের নীতিমালা বাতিল।

ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গুলিস্তানের শহীদ মতিউর রহমান পার্কে মহাসমাবেশ করার প্রশাসনিক অনুমতি পেয়েছেন। জুমার নামাজের পরপরই সমাবেশ শুরু হবে। সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ নেতা-কর্মী মহাসমাবেশে অংশ নেবেন। গাজী আতাউর বলেন, তাদের প্রধান তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মহাসমাবেশে সরকারকে আলটিমেটাম দেবেন দলের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা থাকবে মহাসমাবেশে। তিনি জানান, জোট-মহাজোটের বাইরে থাকা সমমনা ইসলামী দলগুলোকে মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোটভিত্তিক রাজনীতির বাইরে থেকে একক রাজনীতি করা ইসলামী আন্দোলন শুক্রবারের মহাসমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিত করবে। সূত্রমতে, গত তিন বছরে তাদের সাংগঠনিক শক্তি কয়েক গুণ বেড়েছে। এটার প্রমাণ দেওয়া হবে শুক্রবারের মহাসমাবেশে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ দলটির কয়েকটি দাবি মেনে নিতে সরকারকে হুঁশিয়ারি বার্তাও দেওয়া হবে।

দলের মিডিয়া উপকমিটির সদস্য কে এম শরীয়তউল্লা বলেন, ইসলামী আন্দোলন সর্বশেষ ঢাকায় মহাসমাবেশ করে ২০১৮ সালের অক্টোবর। তখন জাতীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে এ সমাবেশ হয়। চলমান রাজনীতিতে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুটি এবারের মহাসমাবেশও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চরমোনাইতে বার্ষিক মাহফিলে ৩১ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশ আহ্বান করা হয়েছিল। ঢাকায় যানজট এড়াতে প্রশাসনের অনুরোধে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে ১ এপ্রিল পুর্ননির্ধারন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোমাদের যে কিছু করিনি, তা-ই ভাগ্য—ডাকাতির সময় দুই কিশোরীকে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

গাজীপুরে সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

সাধুর বেশে এসে সাবেক স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

স্টার্টআপ থেকে স্মার্ট সিটি: যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ টানছে বাংলাদেশ

গাজীপুরে ইট দিয়ে সাংবাদিকের পা থেঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত